বাংলা অক্ষর চেনে না ১৯ শতাংশ শিশু-কিশোর!

বাংলা অক্ষর চেনে না ১৯ শতাংশ শিশু-কিশোর!


রাজশাহী সংবাদদাতা: ‘বাংলা অক্ষর বা বর্ণ-ই চেনে না রাজশাহী ও খুলনা জেলার ৫-১৬ বছর বয়সী ১৯ শতাংশ শিশু-কিশোর। আবার এই বয়সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে খুবই দুর্বল।’ এডুকেশন আউট লাউট প্রকল্পের এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
স¤প্রতি রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক ফয়জুল্লাহ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুুল মোমেন। এছাড়া ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা, প্রকল্প কর্মকর্তা আরাফাত আল ইয়াসিন, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বাংলাদেশ স্ট্রিট চাইল্ডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইমতিয়াজ হৃদয় প্রমুখ।
জরিপে রাজশাহী ও খুলনা জেলার ১ হাজার ৭৬০টি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ৬-১৬ বছর বয়সী শিশু সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৩ জন। এদের মধ্যে ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৮৮টি গ্রামের ৭৫১ জন ছেলে ও ৭৮২ জন মেয়ে ছিল। গ্রাম, বিদ্যালয় ও পরিবারে গিয়ে এই শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, বাংলা বর্ণ পড়তে পারেনি ১৯% শিক্ষার্থী, শব্দ না চেনায় গল্প পড়তে পারেনি ৬১.৯৫% ছেলে ও ৫৩.১৪% মেয়ে। ইংরেজি বর্ণ চিনতে পারেনি ৩২% শিক্ষার্থী, শব্দ না চেনায় গল্প পড়তে পারেনি ৮৪.৮৫% ছেলে ও ৮২.৮৬% মেয়ে। এছাড়া একক অঙ্ক শনাক্ত করতে পারেনি ২৭.২৫% শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৮০-৯০% শিক্ষার্থী বিয়োগ ও ভাগ করতে পারেনি। প্রকল্প প্রতিবেদনে প্রথমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক ও বাজেট বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
সভায় কানিজ ফাতেমা বলেন, শিশুদের শিখন স্তরের বর্তমান অবস্থা যাচাইকরণে এডুকেশন আউট লাউট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নাগরিক কর্তৃক এ অঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মান মূল্যায়ন ও পরিমাপ করাই ছিল উদ্দেশ্য। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ অনুসারে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *