আরবি কবিতায় বিশ্বসাহিত্যের মেলবন্ধন

আরবি কবিতায় বিশ্বসাহিত্যের মেলবন্ধন

কাউসার মাহমুদ: পৃথিবীর প্রাচীন যে কয়টি ভাষা ও সংস্কৃতি হাজার বছর ধরে মানবসভ্যতায় প্রাণের সঞ্চার জুগিয়েছে, আরবি তার অন্যতম। বরং বলা যায়, যাযাবর আরবরা প্রাচীনকালে কোনো ধরনে লিখিত পুস্তক কিংবা উন্নত লিখন প্রণালির সহায়তা ছাড়াই, যেভাবে তাদের ভাষাটিকে পরিপুষ্ট রেখেছে-তা বিস্ময়করই বটে। অধিকন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো- এ কাজে তারা পৌরাণিক গল্প, রূপকথা এমনকি তাদের ঘোড়ার বংশ তালিকাও কবিতার ভাষায় মুখস্থ রাখত। যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই রীতিতে চলে আসত। এমনকি এটিকে তারা গৌরবের বিষয় হিসাবেই বিবেচনা করত। ফলে, এ ভাষাটি যেমন পৃথিবীর প্রাচীনতম একটি ভাষা, তেমনি এ ভাষার কাব্যসম্ভার, সাহিত্যরস ও যাবতীয় উপাদান অন্য যে কোনো প্রধান ভাষা ও সাহিত্যের চেয়েও কম নয়। অতএব, আরবি ভাষাকে একপাশে রেখে যেমন ভাষার ইতিহাস অপূর্ণ, তেমনি আরবি সাহিত্যের ইতিহাস ও ভূমিকা ছাড়া বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসও ম্লান-বিষণœ। কেননা আমরা জানি, ‘বিশ্ব সাহিত্য’ সেই সাহিত্যকর্ম, যা তার স্বদেশ, সমাজ সংস্কৃতি ও ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে সমগ্র বিশ্বের কাছে এক অপূর্ব মহিমায় পৌঁছে যায়। যেন তার আবেদন ও প্রবাহ পৃথিবীর সব মানুষের, সব সমাজের। যার আওয়াজ একইভাবে মানুষকে উদ্বেলিত করে, একই সুরে মানুষকে মোহিত করে। তাই এ বিবেচনায় পৃথিবীর প্রায় সব ভাষা ও সংস্কৃতির প্রধান চারটি সাহিত্য ধারা হলো : কবিতা, কথাসাহিত্য, নন-ফিকশন বা প্রকৃত তথ্যভিত্তিক সাহিত্য এবং নাটক। যেগুলোর প্রতিটিরই রয়েছে নিজস্ব এক শৈলী, গঠন, বিষয়বস্তু এবং রূপক ভাষার চমৎকার সব বিবিধ ব্যহবহার। যে সবের মাধ্যমে স্ব-স্ব ভাষার মানুষেরা তাদের ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখে। লেখক, শিল্পীরা তাতে অভূতপূর্ব কলা সংযোজনের মাধ্যমে অপর ভাষার সঙ্গে গড়ে তোলে এক মেলবন্ধন। যার ফলে কখনো কখনো সেই ভাষাটি হয়ে ওঠে সামগ্রিক। যেমন, ইংরেজির মতো এ আরবি ভাষা। প্রাচীনকালে আরবরা যা মুখে মুখে তাদের কবিতা পাঠের মাধ্যমে শোনাত। আর তা যে কেবল নিছকই বলার জন্য বলা কিংবা এমনিতেই পাঠ-তা নয়। বরং এ সম্বন্ধে চমৎকার একটি কথা বলেছেন, ফ্রান্সিসকো ভিলাসপাসা (১৮৭৭-১৯৩৬, স্পেনিশ কবি, লেখক ও চিন্তক)। তিনি বলেন, ‘আরবদের মতো কবিতার এমন ঐশ্বরিক উপহার দ্বারা পৃথিবীর আর কোনো মানুষ পরিব্যাপ্ত হয়নি।’ তিনি এও লিখেন, ‘ইসলামের বিজয় মানে আরব কবিতারও বিজয়।’ তাই ভিলাসপাসার কথা ধরে এ বিষয়টি মানতেই হয় যে, কবিতাকে আরবরা যেভাবে আঁকড়ে ধরেছিল, যেভাবে তারা তা আলিঙ্গন করেছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে তেমন ঘনিষ্ঠতা খুব কমই আছে। ফলে, যুদ্ধ, বীরত্ব প্রদর্শন কিংবা ঘোড়ার পিঠে আরবদের বর্বরতার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা বিষয়ও প্রকট হয়ে ওঠে, যা বিশ্বসাহিত্যে আরবি কবিতার ক্রমশ বর্ধমান প্রভাবকে আরও অত্যুজ্জ্বল করে তুলেছিল।

তা হলো নারীদের প্রতি প্রেম নিবেদন। তাদের পূজা। এক কথায়, ভালোবাসা থেকে আরবি কবিতা উৎপাদন করেছে মহান এক সাহিত্য এবং নারীদের থেকে উদ্ভূত করেছে বিরল এক নিসর্গ নিবেদন। এমন এক মর্ম-যা কেবলই আরবি কবিতা দ্বারা সৃষ্ট। যা কেবলই তার স্বতন্ত্র কাব্যিক ছাঁচে ভর করে সমগ্র বিশ্বে ভ্রমণ করেছিল। তাই ভিলাসপাসা এভাবেও বলেন যে, ‘আরবি কবিতার প্রভাব যদি কোথাও প্রবলভাবে অনুভূত হয়, তবে সেটি স্পেন। যেখানে স্প্যানিশ শব্দভান্ডারের এক চতুর্থাংশেরও বেশি আরবিতে যোগ রয়েছে এবং যেখানে আরবিসাহিত্য আমাদের কল্পনাকে প্রজ্বলিত করেছে, আমাদের রক্তকে উষ্ণ করেছে এবং মহান অর্জনের জন্য আমাদের দুঃসাহসিক কাজের দিকে পরিচালিত করেছে।’
তাই নিঃসংকোচে এ কথা বলা যায় এবং ইতিহাসও তাই বলে, আরব উপদ্বীপ থেকে উদ্ভূত আরবি কবিতা অন্যান্য ভাষা ও বিশ্বসাহিত্যে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় কবিতায়-যার মাধ্যমে পৃথিবীকে প্রেম, বীরত্ব এবং নৈতিকতার নতুন এক কোণ দিয়েছে আরবি কবিতা। তাই তো অলৌকিকের মতো এ ভাষার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে ফরাসি প্রাচ্যবিদ, দার্শনিক ও লেখক আর্নেস্ট রেনান (১৮২৩-১৮৯২) বলেছিলেন, ‘এটি প্রথমে অজানা ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে এত নিখুঁতভাবে আবির্ভূত হয়েছিল যে, আজ অবধি এটি সামান্যতম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়নি, কারণ এটির শৈশব বা বার্ধক্য নেই।’


তদুপরি এ বিষয়ে রেনানের সঙ্গে একমত ছিলেন তারই স্বদেশি ক্যাথলিক পণ্ডিত লুই ম্যাসাইনন (১৮৮৩-১৯৬২)। যিনি ইউরোপীয় চিন্তাধারায় আরবি ভাষার প্রভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন এবং এটিকে গ্রিক যুগের উত্তরাধিকার থেকে মুক্ত করেছিলেন। আরবি ভাষা সম্বন্ধে তিনি বলেছিলেন, ‘এটি বিমূর্ত চিন্তা প্রকাশ করার মহৎ ক্ষমতা বিকাশ করতে সক্ষম। এর আছে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষাগত কাঠামো যা ফোকাস এবং নিয়ন্ত্রণের সম্মতি দেয়। যা পদার্থবিদ্যা এবং গণিত থেকে শুরু করে ভূমি অন্বেষণ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই সাহায্য করেছে। এমনকি মানুষের আত্মার স্বপ্ন এবং গোপন বিষয়গুলোও অনুসন্ধান করার ক্ষমতা রয়েছে এর।’


ফলে সাম্প্রতিক সময় কিংবা বিগত কয়েক দশক ধরে যেই ‘রোমান্টিকতা’ আরবি সাহিত্যে নতুনভাবে পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এ মূলত আরবি সাহিত্যের প্রাচীন ও প্রধান একটি থীম। পৃথিবী এবং বিশ্বসাহিত্যের পাঠকেরা সময় ও সাহিত্যের প্রকরণের সঙ্গে নতুনভাবে তা পাঠ করে বিমুগ্ধ হচ্ছে শুধু। একটু পরিষ্কার করে বললে, অধিকাংশ পশ্চিমা পাঠকদের জন্য ‘বিশ্বসাহিত্য’ যেহেতু বিস্তৃতভাবে ‘কল্পনামূলক সাহিত্য’ যেমন উপন্যাস, ছোট গল্প, লোককাহিনি, নাটক, কবিতা কিংবা অন্যান্য সংস্কৃতিতে তাদের ঘনিষ্ঠ বা কাছাকাছি শিল্পকেই সম্মোহিত করে তোলে-তাই তুলনামূলক স্বতন্ত্র ও বেশ জটিল এ ভাষার রস ও স্বাদের পরিপূর্ণ বিকাশ পর্যন্ত তাদের আড়ালেই ছিল। যদিও পঞ্চম শতকে এ ভাষার বিকাশের পর সপ্তম থেকে তেরো শতকের মাঝামাঝি সময়ে এটি এর স্বর্ণশিখরে পৌঁছে, তবে বহু প্রাক-ইসলামিক কবিতাই ষষ্ঠ শতাব্দীতে মহান খ্যাতি ও খেতাব অর্জন করেছিল। এ আধুনিক সময়ে এসে যা বিশ্বসাহিত্যে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কিছু কাব্যের সঙ্গে অনন্ত মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। সেই সঙ্গে বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে এ ভাষার কবি ও কবিতারা রেখেছেন তুলনাহীন এক প্রভাব। যেমন, আরবি সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন কবি হলেন : ইমরুল কায়েস, নাবেগা, যুহাইর, তরফা বিন আল-আবদ, লাবীদ, আনতারা বিন শাদ্দাদ, আমর বিন কুলসুম, হারিস বিন হালযাহ, আবিদ বিন আল-আবরাস প্রমুখ। তাদের প্রত্যেকের কবিতায়ই আরব্য ঐতিহ্য, শৌর্যবীর্য এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে রয়েছিল অপূর্ব এক প্রেমাখ্যান, প্রেমের আশ্চর্য এক বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীর ইতিহাসে যা বিরল ও বিস্ময়কর। যে ব্যাপারে সাহিত্য সমালোচক ও ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে, আরবি কবিতার সত্তর শতাংশ কবিতাই প্রেমের। যেগুলো আবার ছন্দ, বয়ান ও বুননে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও আগ্রহোদ্দীপক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব গ্রহণ করেছে বিশ্বসাহিত্য। যেমন ইসলামপূর্ব যুগের সবচেয়ে প্রাচীন গল্পগুলোর একটি হলো কবি ও যোদ্ধা আনতারা বিন শাদ্দাদ ও তার প্রেমিকা কৃষ্ণাঙ্গ দাসী আবলা বিনতে মালিকের। যেখানে আনতারা একজন মহান আরব গোত্রপতির ছেলে, প্রেমে পড়েছিল কৃর্ষাঙ্গ আবলার। কিন্তু কোনোভাবেই যখন তাদের মিলন অসম্ভব ছিল, আনতারা তখন আশ্রয় নিয়েছিলেন কবিতার। সেখানে তিনি বছরের পর বছর তার প্রেয়সীর জন্য এমন এমন পংক্তি রচনা করে চলেন, যা তৎকাল থেকে এই আজ, প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর পরও একইভাবে পাঠক ও বোদ্ধাদের হতবুদ্ধ করে রাখে। এ ইবনে শাদ্দাদ ছিলেন, সেই সাত কবির একজন, যাদের কবিতা স্বর্ণে খোদাই করে কাবার দেওয়ালে ঝুলানো হয়েছিল। এবং যার নাম দেওয়া হয়েছিল সাবয়ুল মুয়াল্লাকাহ। আজও যা আরবি সাহিত্যের প্রতি বিশ্বসাহিত্যের যে কোনো পাঠকেরই প্রাথমিক পরিচয়ের সূত্রপাত ঘটায়। আর এ সূত্রপাত কিংবা সাহিত্য-ভাবনা আদান-প্রদানের ফলে বিশ্বসাহিত্যে সংযুক্তির সঙ্গে আরবিসাহিত্যও যে নানাভাবে উপকৃত হয়েছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা, কয়েক শতাব্দী পর ঊনবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলো যখন তাদের সুখনিদ্রা ভঙ্গ করে আধুনিক পৃথিবীর সঙ্গে একতাবদ্ধ হতে শুরু করে, তখন কেবলই বাহ্যিক নতুনত্ব নয় বরং জীবনের প্রতিটি পর্যায়সহ আরবি শিল্প-সাহিত্যেও ইউরোপীয় সাহিত্যের প্রভাব পড়ে। বহু তাত্তি¡ক এবং চিন্তকদের মতে এ প্রভাব আরব উপদ্বীপ মানুষের বোধ-বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে তাদের বিভ্রান্ত করে ফেললেও কবিতা ও গদ্যে ঠিকই নতুন এক স্রোত উপলব্ধি করেছে আরব বিশ্ব। আর তা নির্দিধায় স্বীকার করেছেন আধুনিক আরবি সাহিত্যের প্রধান চার কবি বদর শাকির আল-সাইয়্যাব (১৯২৬-১৯৬৪, ইরাকি কবি), খলিল হাওয়ী (১৯১৯-১৯৮২, লেবানিজ কবি), সালাহ আবদেল সাবুর (১৯৩১-১৯৮১, মিসরীয় কবি) এবং মাহমুদ দারবিশ (১৯৪১-২০০৮, ফিলিস্তিনি কবি)। তাদের প্রত্যেকেই টি এস এলিয়ট (১৮৮৮-১৯৬৫, আমেরিকান কবি, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার) দ্বারা প্রভাবিত বলেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। আমরা যদি এ প্রভাব কিংবা অনুপ্রেরণার একটু গভীরে অনুপ্রবেশ করি, তাহলে দেখি, সারা বিশ্বে এলিয়ট তার যে শক্তিশালী একটি লিগ্যাসি রেখে গেছেন, সেখানে তার সাহিত্যকর্মের সবচেয়ে অনুল্লেখ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য হলো, আরববিশ্বে তিনিই সম্ভবত সবচেয়ে অধিক অনূদিত পশ্চিমা কবি। সেই সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর আরব আধুনিকতাবাদী কবি, লেখক, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক এবং চিত্রকররা যেহেতু বিশেষভাবে পশ্চিমা ভাষা, মতবাদ, চিন্তা, কাঠামো এবং মতাদর্শগুলো গ্রহণ কিংবা নিরিখ করেছেন, তার ফলে দুটি ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির মাঝে এ পরিচয় ও প্রভাব যথেষ্ট সুদৃঢ় এবং বাস্তবসম্মত। তাই তো এলিয়টের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ (১৯২২)-র প্রায় পনেরোটি অনুবাদ করা হয়েছে আরবিতে। যাদের মধ্যে খলিল হাওয়ীও রয়েছেন। যদিও হাওয়ী এলিয়ট দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, কিন্তু তার প্রাথমিক কাজগুলোয় আল-সাইয়্যাব এবং ইলিয়াস আবু শাবাকির (১৯০৩-১৯৪৭, লেবানিজ লেখক) ছাপও পরিলক্ষিত হয়। তবে এলিয়ট এবং হাওয়ীর মাঝে সবচেয়ে যে বিষয়ের মিল, অবশ্যই তা মিথের ব্যবহার এবং সভ্যতার শোকের। তেমনি বদর শাকির আল-সাইয়্যাবও আধুনিক আরব কবিদের সেই একজন, এলিয়টের সৃষ্টির সঙ্গে শক্ত সম্পৃক্তির কারণে যাদের বিশেষভাবে চিহ্নিত করা যায়। এমনকি শাকির নিজেও এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, ‘অভিব্যক্তি প্রকাশে ইংরেজ কবি জন কীটস (১৭৯৫-১৮২১) যে চিত্র কিংবা প্রতিবিম্ব গ্রহণ করেন, আমি তাতে প্রভাবিত হয়েছি। উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬, ইংরেজ কবি, নাট্যকার ও অভিনেতা) দ্বারা তার করুণ চিত্রকল্পে। তেমনি এলিয়টের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই আমি দান্তে (ইটালিয়ান কবি, মৃত্যু ১৩২১) এবং জেমস ফ্রেজারের (১৮৫৪-১৯৪১, স্কটিশ নৃবিজ্ঞানী) গুণগ্রাহী।’ তাই, এ একটি কথা বলাই যায়, ভাষার আদান-প্রদান কিংবা প্রভাবের বিষয়টি মূলত প্রতিটা ভাষা এবং সে ভাষার সাহিত্য ও জীবনকেই সমৃদ্ধ করে তোলে। গত কয়েক শতাব্দীতে ইউরোপীয় ভাষা ও সাহিত্য যেমন গোটা বিশ্বের শিল্পসাহিত্যে কল্পনাতীত প্রভাব রেখেছে, তেমনি প্রাচীনকাল থেকে আরবি ভাষারও ছিল নির্দিষ্ট একটি প্রভাব। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে যে প্রভাব আরও সমুজ্জ্বল ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *