সাহিত্যে কারবালার প্রভাব

সাহিত্যে কারবালার প্রভাব

ইমাম হোসাইন (রা.) শুধু একটি নাম নয়। একটি ইতিহাস, একটি চেতনার নাম- যা সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী। কালজয়ী বীর ইমাম হোসাইন ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে এবং অন্যায়, জুলুম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিপক্ষে অকুতভয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহানায়ক। সত্যান্বেষীদের মন-মগজ জুড়ে থাকা কালোত্তীর্ণ এক অমর ব্যক্তিত্ব। কারবালার শোকাবহ ঘটনা ও আশুরা আন্দোলনের তাৎপর্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বই-পুস্তক লেখা হয়েছে। তবে উর্দু-ফারসি ভাষায়ই এর চর্চা হয়েছে ব্যাপক। হিন্দি ভাষায়ও তা চর্চা হয়েছে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলায়ও কম নয়; বরং অনেক।


বাংলা ভাষায় আশুরার শোকাবহ ঘটনা, মহররমের চেতনা, ইমাম হোসাইন (রা.)-এর সংগ্রামের দর্শন নিয়ে একদিকে যেমন রচিত হয়েছে তাত্তি¡ক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, সেই সাথে কারবালার শোকাবহ ঘটনা ও আশুরা আন্দোলনের আবেগঘন বিষয়ে রচিত হয়েছে মর্সিয়া সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডার। এসবের মধ্যে রয়েছে কবিতা, ছড়া, গান, জারি, মর্সিয়া, এপিক, কথিকা, নাটিকা, উপাখ্যান, পুঁথিসাহিত্য ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী সাহিত্য হিসেবে পরিগণিত হয়ে আছে মর্সিয়া সাহিত্য। তাই বাংলা সাহিত্যে কারবালার চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *