করোনার নতুন ধরন

করোনার নতুন ধরন

করোনা ভাইরাসের থাবা নতুনভাবে আবারও ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। এ বছরের আগস্টে লুক্সেমবার্গে প্রথম করোনার ভ্যারিয়েন্ট জেএন১-তে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যেই বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এ ভ্যারিয়েন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ শতাংশ কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর শরীরে এর সাক্ষাৎ মিলেছে। ফ্রান্স, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য, ভারতেও এ ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এ ধরনকে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। করোনার এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে খুব বেশি ঝুঁকি নেই বলে মনে হচ্ছে। কারণ এখন মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি বেড়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছে। তবে এ তথ্যে স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। কারণ করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন১ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও থাবা বিস্তার করেছে। তাই আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়ালেও জটিলতা কম হচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে শারীরিক জটিলতা আছে কিংবা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব ছড়াচ্ছে করোনা। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত কয়েকদফা করোনার ঢেউ সামলেছে দেশ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এখনো যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা নিতে হবে। যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়া উচিত। করোনাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে জনসমাগমের স্থল, সভা-সমাবেশ-মিছিলে মাস্ক পরে যেতে হবে। বাজার, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় মাস্ক পরে যাওয়াই হবে উত্তম। করোনা ভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেব্যাপারে প্রতিবেশী দেশ থেকে যারা আসছেন তাদের দিকে নজর রাখতে হবে। ভয় নয়, অতীত অভিজ্ঞতা নিয়েই জয় কতে হবে করোনার নতুন ধরনকে।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *