মোহাম্মদী ইসলামের জোয়ারে একদিন সারা দুনিয়া উদ্ভাসিত হবে-ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা

মোহাম্মদী ইসলামের জোয়ারে একদিন সারা দুনিয়া উদ্ভাসিত হবে-ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা

বিশেষ সংবাদদাতা: আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের এই জগতে পাঠিয়েছেন, আবার দিন শেষে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। তাহলে পাঠানো থেকে যাওয়ার সময় পর্যন্ত কারো বয়স ৩০ বছর, কারো ৪০ বছর, কারও ৫০ বছর, কেউ ৬০, কেউ ৭০ বয়সে মৃত্যুবরণ করবেন। এই সময়ের মাঝে আমাদের কর্মে নির্ধারিত হবে, আমরা কি আমাদের মালিকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পেরেছি, কি পারিনি? এই সময়ের মধ্যে আমাদের নির্ধারিত হবে, আমরা কি মালিকের ইচ্ছায় নিজেকে পরিচালিত করতে পারলাম, কি পারলাম না? যদি করে থাকি, আমাদের মুক্তি হবে। আর যদি আমরা না পারি, তাহলে আমাদের মুক্তি হবে না।


মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর গত ২ জুন শুক্রবার বাণী মোবারক প্রদান করতে গিয়ে এই কথা বলেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, তাই এই সময়ে আমাদের কি করণীয়? আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমের মাঝে একটি গাইড লাইন দিয়েছেন। সৎকর্ম করবে, সৎ পথে চলবে, পিতা-মাতার হক রক্ষা করবে, স্ত্রী-সন্তানের হক রক্ষা করবে, প্রতিবেশীর হক রক্ষা করবে, নিজেকে সঠিক পথে রাখবে, জুলুম করবে না, অন্যায় করবে না, মিথ্যা বলবে না, খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরীভূত রাখবে, অতি মুনাফার চিন্তা করবে না। গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়ার পরে আমরা তো এই গাইডলাইন মানতে রাজি না; সেজন্যে তিনি নবুয়তের যুগে নবি-রাসুল এবং বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্দের পাঠাচ্ছেন। অলী-আল্লাহ্ এবং নবি-রাসুলগণ জগতের বুকে আসেন শিক্ষকরূপে। জগতের মানুষকে ছাত্র বানিয়ে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর পথ দেখান। যে পথে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-কে পাওয়া যাবে এবং যে পথে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে, ঐ পথগুলো দেখানো হয়। ঐ গাইডলাইন পেয়ে, ঐ শিক্ষকের শিক্ষা নিয়ে আমরা যাতে নিজেকে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর পথে ধাবিত করতে পারি। এই যে দেখুন আমি শিক্ষকরূপে এখন আপনাদের বলছি, ছাত্র রূপে আপনারা সবাই নিশ্চুপ হয়ে বসে আছেন। আমার কথা শুনছেন, আমার কথায় নিজেকে আবেগাপ্লুত করছেন এবং আমার কথায় নিজেকে চরিত্রবান বানানোর চেষ্টা করছেন। এই একই কাজ যুগে যুগে অলী-আল্লাহগণ করেছেন।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, প্রযুক্তি আধুনিক হয়েছে, এখন আপনার বাড়িতে একটি মোবাইল থাকলে আপনার সামনে আমি পৌঁছে যেতে পারি। আপনাদের বাড়ি-ঘর সব দেখতে পাই। আগে অলী-আল্লাহদের কাছে যাওয়া কঠিন ছিল। অলী-আল্লাহর দরবার, সেখানে সরজমিনে যাওয়া, সেখানে গিয়ে থাকা, রাত্রি যাপন করা এবং দিনে দিনে চরিত্রবান হওয়া। অলী-আল্লাহর ইতিহাস আপনারা দেখতে পাবেন যে, কেউ ১২ বছর, কেউ ২৪ বছর, কেউ ৩৬ বছর অলী-আল্লাহর দরবারে গোলামী করেছে। আমাদের মোর্শেদ কেবলাজানের দিকেই তাকান। সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহ.) তার মোর্শেদ ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.)-এর দরবারে এক যুগ সাধনা ও গোলামী করেছেন। বর্তমান সমাজে কি ১২ বছর গিয়ে গোলামী করার সুযোগ আছে। যদি থাকেও কিছু কিছু মানুষ হয়তো পারবেন। ম্যাক্সিমাম মানুষই এখন আর ১২ বছর গোলামী করতে পারবেন না। আগেকার সমাজ ব্যবস্থা এবং বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা এক রকম নয়। পূর্বে সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের একান্নবর্তী পরিবার ছিল। আমার বাবাকে দেখেছি, দাদাকে দেখেছি। আপনারা আপনাদের বাবাকে দেখেছেন, দাদাকে দেখেছেন বা আপনার বাবা তার দাদাকে দেখেছে। তখন একান্নবর্তী পরিবার ছিল। এক বাড়িতে ১০ জন ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বাচ্চারা সবাই সুখে-দুঃখে একসাথে থেকেছে। এখন এই একান্নবর্তী পরিবারের অবস্থান আমাদের অনেক কমে গিয়েছে। আগে এক মায়ের ৫ সন্তানের ২ সন্তানকে মোর্শেদের কদমে পাঠিয়ে দিয়েছেন, গোলামী করেছে। বাকি ৩ সন্তান রোজকার করে সংসারে দিয়েছে। এখন এরকম কমে গিয়েছে।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, করোনা মহামারির কারণে দরবারে আসা যাচ্ছে না, দরবার বন্ধ রাখতে হয়েছে। সেইসময় সকল প্রতিষ্ঠানই বন্ধ ছিল। তখন মালিকের দয়ায় আমরা এই অনলাইন প্রযুক্তি চালু করি। চালু করার উদ্দেশ্য কিন্তু আজকে আপনাদের সাথে আমি বসবো এবং আপনাদের সাথে কথা বলবো এইরকম চিন্তা ছিল না। তখন চিন্তা ছিল মোর্শেদ কেবলাজানকে আপনারা দেখতে পাবেন। আমি একদা বাবাজানের কাছে গেলাম। বাবাজান করোনার সময় একটু পর পর খবর নেন, এই কে এসেছে আমার সাথে দেখা করতে? সারা জীবন উনি আপনাদের সাথে থেকেছেন। আপনাদের দিল ও জানছে ভালোবাসতেন। তখন ওনার মধ্যে একটি চিন্তা হলো যে, কে আছে আমার সাথে দেখা করবে? কে দেখা করতে চায় আমার সাথে? তখন দেখা গেলো দরবারে কোনো লোকজন নেই, কারণ দরবার শরীফ তো বন্ধ। লোকজন না থাকলে কিভাবে দেখা করবে? দরবার শরীফ বন্ধ, লোকজন দেখা করতে পারছে না। বাবাজানের মন খুব খারাপ হয়ে গেলো।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমি তখন কি করবো? খুঁজে পাচ্ছি না। তখন আমাদের অনলাইন টিমের কয়েকজনকে নিয়ে বসলাম যে, কি করতে পারি? পরে মালিকের অশেষ দয়ায় আমরা অনলাইনের এই প্ল্যাটফরমের কাজ করার সুযোগ পাই এবং সেটিতেই এখন পর্যন্ত আমরা কাজ করছি। মূলত আজকের এই অনলাইন প্ল্যাটফরমের উদ্দেশ্যে ছিল আপনারা যাতে মোর্শেদকে দেখেন এবং মোর্শেদও যাতে আপনাদের দেখেন। করার পরে আমি একটি জিনিস রিয়েলাইজ করতে পেরেছি যে, আজকে যারা আপনারা দরবার শরীফে, খানকাহ্গুলোতে একত্রিত হয়েছেন, জাকের বোনেরা যারা বাড়ি বাড়ি একত্রিত হয়েছেন, আপনাদের অনলাইনে অনেক বড় একটি জোয়ার আনা সম্ভব।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গা দরবার শরীফে এবং রংপুরে বাবে নাজাত দরবার শরীফে যে ভাইয়েরা আছেন, এক সময় ঐখান থেকে ১ হাজার/দেড় হাজার টাকা খরচ করে একবেলা বাবাজানের বয়ান শোনার জন্যে ৮/১০ ঘন্টা গাড়িতে বসে থেকে বাবে রহমতে আসতে হয়েছে। কিছু বোনেরা দরবার শরীফে আসলে বাবাজানের বয়ান শুনতে পেরেছেন, যদি তারা ৪ তলায় জায়গা পেয়েছে। ম্যাক্সিমাম বোন সরাসরি বাবাজানের বয়ান শুনতে পারেন নি। দূর থেকে স্বামীর কাছে শুনেছেন; ভাইয়ের কাছে শুনেছেন। মাঝে মধ্যে দরবারে আসলে দয়াল মায়ের সাথে দেখা হয়েছে। এইভাবে ভালোবাসা চলেছে। তরিকার সঠিক জ্ঞান এবং মোর্শেদের কাছ থেকে সরাসরি সবক পাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি। তখন আমি ভাবলাম, এটা তো অনেক বড় রেভুলেশন যে, আমি যদি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপনাদের বাড়িতে, আপনাদের খানকাহ্তে, আপনাদের মজলিসে, আপনাদের এলাকায়-এলাকায় কথা বলার সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে তো আপনার এই টাকা খরচ করতে হবে না। আপনারা আপনাদের বাড়িতে বসে, আপনাদের এলাকার খানকাহ্তে বসে, আপনাদের এলাকায় দরবার শরীফে বসেই একই নেয়ামত, একই বরকত, একই বাণী শুনতে পারবেন। লাইভ অন-টাইম শুনতে পারবেন, পরিষ্কারভাবে দেখতে পারবেন এবং আমিও আপনাদের দেখতে পারবো।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, নরমালি দরবার শরীফে আসলেও বাবে রহমতের এক তলায় সর্বোচ্চ ৩শ, ৪শ, ৫শ লোকের জায়গা হয়। এর চেয়ে বেশি দেখার তো সুযোগ ছিল না। আপনার দূর থেকে দেখতে হতো। আর রাস্তায় যারা বসতো বা ওপরে ৬ তলা, ৭ তলা, ৮ তলায় যারা বসতো তাদের দেখার সুযেযগ হতো না। আর এখন দেখুন, আপনার বাড়ি এবং আপনার সুবিধা-অসুবিধা, সবই দেখতে পারি। আপনি একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ আমাকে দেখতে পারেন। এই যে প্রযুক্তি আমাদের এক করিয়ে দিয়েছে, এটি মোহাম্মদী ইসলামে একটি বিজয়। আমি এই প্রযুক্তিকে শুধু বক্তব্য শোনার জন্যে ব্যবহার করতে চাই না। আমি এই প্রযুক্তিকে ভবিষ্যতে এ তালিমের জন্যও ব্যবহার করতে চাই। আল্লাহ্ যদি সুযোগ দেন, আগামীতে আমাদের অনলাইনে ক্লাস শুরু হবে। আপনারা কিভাবে আল্লাহ্কে পাবেন? কোন পথে আল্লাহ্কে পাবেন? কিভাবে চললে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবেন- এই ক্লাসগুলো অনলাইনে চালু করবো।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, মোহাম্মদী ইসলাম একটি চলমান ধারা। এই ধারা তো চলবে। এখন এই ধারাকে চলানোর জন্য আমাদের কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে। এক নাম্বার দায়িত্ব হচ্ছে নিজেকে চরিত্রবান বানানো। দ্বিতীয় দায়িত্ব এই তরিকার প্রচার এবং প্রসার করা। চরিত্রবান হওয়ার জন্যে কি করতে হবে? চরিত্রবান বানানোর জন্যে আমার পরামর্শে চলতে হবে, আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো মানতে হবে, নামাজ পড়তে হবে, রোজা রাখতে হবে, মোরাকাবা করতে হবে, সাধনা করতে হবে। এই কাজগুলোতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আর তরিকার প্রচার এবং প্রসার, সেটি কিভাবে করবো? সেটি হবে ঘরোয়া মিলাদের মাধ্যমে। অনেক আশেকে রাসূল ভাই ঘরোয়া মিলাদ দেন। আমরা মনে করি, আমরা একটি ঘরোয়া মিলাদ দিয়েছি মানে আমাদের দায়িত্ব শেষ। এতে কি দায়িত্ব শেষ? বছরে এক একজন জাকের ভাইকে ন্যূনতম ২টি ঘরোয়া মিলাদ দিতে হবে। এই তরিকাকে কি এখানেই রাখবেন না আরও সামনে এগিয়ে নিতে চান? সামনে এগিয়ে নিতে চাইলে এক একজন জাকেরকে বছরে ন্যূনতম ২টি ঘরোয়া মিলাদ দিতে হবে। আপনি কি চান না আপনার বাসায়, ইয়া রাসুলাল্লাহ্, ইয়া হাবিবাল্লাহ্” সুর বাজুক? আপনি কি চান না, এই মোহাম্মদী ইসলাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়–ক? আপনি কি চান না, মোহাম্মদী ইসলামের জোয়ারে সারা দুনিয়া উদ্ভাসিত হোক? কিভাবে এই কাজে আপনি সহযোগিতা করতে পারেন? আপনি ঘরোয়া মিলাদ দিন। আপনি আপনার বাড়িতে একটি মিলাদ দিলে, মিলাদে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকে দাওয়াত দিলেন এবং আপনার বাড়িতে ২ জন লোক তরিকা নিলো! এই ২ জন লোকই আমার ২ লক্ষ লোকের সমান তৈরি হয়ে যায়। কারণ আপনার মতো একই দিনে ১শ আলেম মাঠে নামলে এবং ২ জন করে তরিকা নিলে প্রতিদিন ২শ লোক তরিকা নেয়।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, এই তরিকাকে আমি তো আপনাদের জন্যে অনেক সহজ করে দিয়েছি। বাবাজানের সময় দরবার শরীফে প্রতি সপ্তাহে আসতে হয়েছে। বাবাজানের সময় দরবার শরীফে অনেকগুলো অনুষ্ঠান পালন করতে হয়েছে। অনেক শরিক দিতে হয়েছে। এখন তো এগুলো নেই। আপনাদের ফ্রী করে দিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে আপনাদের দরবারে আসতে হয় না। বাড়ি-বাড়ি, খানকাহ্ শরীফ, মজলিস এবং দরবারগুলোতে আপনারা থাকতে পারেন। এখন এই সময়কে কাজে লাগান। এলাকা এবং অঞ্চলভিত্তিক তরিকাকে অগ্রসর করার জন্য। একটি ঘরোয়া মিলাদ দিলে আমাদের একজন আলেম ভাই যায়। ২ জন, ৫ জন, ১০ জন, ২০ জনকে তরিকা দেয়। এই তরিকা দিলে তখন কি হয়? আপনার এলাকাতে ৫ জন লোক তরিকা নিলো। আপনার এলাকাতে ৫ জন লোক আল্লাহ্ ও রাসূল (সা.)-এর দিদার পেতে পারে। আপনার এলাকাতে ৫ জন লোক চরিত্রবান হতে পারে। কাল আপনার দ্বারা সারা বিশ্বে মোহাম্মদী ইসলাম আগাবে, যদি আপনি একটু চেষ্টা করেন। তাই আমি প্রত্যেক আশেকে রাসুলকে উদাত্ত আহ্বান জানাই, আপনারা যার সামর্থ্য আছে দয়া করে ঘরোয়া মিলাদ দিন। তরিকাতে একটি জোয়ার আনুন। আলেম ভাইয়েরা ফ্রী বসে আছে। আমি ফ্রী দেখতে চাই না। আমি দেখতে চাই আলেম ভাইয়েরা প্রতিদিন (সকালে একটি, দুপুরে একটি, বিকেলে একটি) ৩ বেলা প্রোগ্রাম করছে। আমি দেখতে চাই ঘরোয়া মিলাদের জোয়ার এসেছে। আমরা এমন জোয়ার আনতে চাই। আমরা শাহ্ দেওয়ানবাগীর গোলাম, আমরা হযরত রাসূল (সা.)-এর গোলাম, আমরা আল্লাহর গোলাম। আমরা চেষ্টা করছি মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শকে সারা বিশ্বময় তুলে ধরতে। ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আপনারা যদি ঘরোয়া মিলাদ দেন, তাহলে তরিকা অনেক অগ্রসর হবে। আলেম ভাইয়েরা তরিকাকে এগিয়ে নিতে পারবে এবং আপনারাও তরিকা এগিয়ে নিতে পারবেন। আপনার এলাকায় ১০ জন জাকের আছেন, এই ১০ জন ভাই ১০টি ঘরোয়া মিলাদ দিলো, তাতে কি হবে জানেন? ২ জন করেও যদি তরিকা নেয়, ঐ ১০ দিন পর থেকে আপনার এলাকায় (২০ জন আর আপনারা ১০ জন) টোটাল ৩০ জন আশেকে রাসূল হবেন। আগে ভাবুন! আপনার এলাকায় ৩০ জন আশেকে রাসূল আছেন। ৩০টি ঘরোয়া মিলাদ দিলেন। ৩০টি ঘরোয়া মিলাদে যদি ২ জন করে তরিকা নেয়, ৩০ দিন পরে আপনার এলাকাতে (৬০ জন আশেকে রাসুল প্লাস আপনারা আগের ৩০ জন) টোটাল ৯০ জন আশেকে রাসুল হবেন। এলাকাভিত্তিক, জেলাভিত্তিক সমন্বয় করে সবাই ঘরোয়া মিলাদ শুরু করুন। এখন সারা বছর, আগামী সম্মেলনের আগ পর্যন্ত যাতে প্রত্যেক এলাকায় ঘরোয়া মিলাদের মাধ্যমে এলাকা গরম থাকে, মোহাম্মদী ইসলামের জাগরণ থাকে। এই মোহাম্মদী ইসলাম এগিয়ে যাবে। মোহাম্মদী ইসলাম থামবে না। এই জোয়ার এগিয়ে যাবে। তখনই আগাবে, যদি আপনারা নিজেদের চরিত্রবান বানান। তাই আমি আপনাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই, দয়া করে নিজেদের চরিত্রবান বানান।


পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *