প্রতি ১০ জনে একজন ক্ষুধার্ত: জাতিসংঘ

প্রতি ১০ জনে একজন ক্ষুধার্ত: জাতিসংঘ

দেওয়ানবাগ ডেস্ক: বিশ্বে এখন জনসংখ্যা ৮০০ কোটির ওপরে। এর মধ্যে এ মুহূর্তে ৭০ কোটি মানুষ জানেন না পরের বেলায় তার খাবার আছে কি না। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন চরম খাদ্য সমস্যায় পড়ছে। বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী প্রধান সিন্ডি ম্যাককেইন নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাটছাঁট করতে হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও তা করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি দশজনে একজন ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাতে ঘুমাতে যান। সংস্থার উদ্বেগ, ক্ষুধার সঙ্কট ক্রমবর্ধমান। সিন্ডি প্রয়াত আমেরিকান সিনেটর জন ম্যাককেইনের স্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন সব ঘটমান এবং দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’। এর ধাক্কা আরও অনেক বছর ধরে ভুগতে হবে।’ এ সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশের সঙ্কট এবং পণ্যের দামবৃদ্ধি। এসবের প্রভাব পড়েছে ৫০টি দেশে ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। পাঁচ বছরের কম বয়সী সাড়ে ৪ কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) সদর দফতর রোমে অবস্থিত। ৭৯টি দেশে কাজ করে তারা। সেখানে ৭৮ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে প্রতি দশজনে একজনকে রোজ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যেতে হয়। সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোনো নিরাপত্তা নেই। এ সংখ্যাটা ২০২১ সালের গোড়াতেও এর চেয়ে ২০ কোটি কম ছিল বলে ডব্লিউএফপি জানিয়েছে। মহামারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল করে তুলেছে বলে বলছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে। এমতাবস্থায় ক্ষুধার সঙ্কটকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর ওপরে জোর দিচ্ছে ডব্লিউএফপি। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অবশ্য তাতে অরাজি নয়। মাস্টারকার্ডের সিইও মাইকেল মিব্যাচ যেমন নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘এতদিন পর্যন্ত ত্রাণের কাজটা সরকারের হাতেই থেকেছে। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অর্থ জুগিয়েছে। কিন্তু তারা চাইলে এর বেশিও করতে পারে। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।’ গোল্ডম্যান স্যাক্সের তরফে জ্যারেড কোহেন বলেন, এমন অনেক বহুজাতিক সংস্থা আছে যাদের আয় জি-২০ ভুক্ত কিছু দেশের জিডিপির চেয়ে বেশি।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *