মিলাদ পাঠের ফজিলত

মিলাদ পাঠের ফজিলত

ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন (সোহেল)

মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর জ্যোতির্ময় চেহারা মোবারকের নুর থেকে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু দোজাহানের বাদশাহ্ রাহমাতুল্লিল আলামিন, ইমামুল মুরসালিন হযরত রাসুল (সা.)-কে সৃষ্টি করেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ্ ফরমান, ‘‘আমি আমার চেহারা মোবারকের নুর দ্বারা হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে সৃষ্টি করেছি।’’ (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা ৩) আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর সর্বাপেক্ষা প্রিয়বন্ধু হযরত রাসুল (সা.)-কে সৃষ্টির পর রাসুল (সা.)-এর নুর হতে সকল বস্তু সৃষ্টি করেন। সুতরাং এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, মহান আল্লাহর নিকট তাঁর সর্বপ্রথম সৃষ্টি হযরত রাসুল (সা.)-এর সুমহান মর্যাদা সর্বাপেক্ষা বেশি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বন্ধুর শানে মিলাদ শরীফ পাঠ করেন, তাহলে আল্লাহ্ ঐ বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তার উপর অবারিত ফায়েজ, রহমত ও বরকত দান করে থাকেন।

মিলাদের সংজ্ঞা:
মিলাদ আরবি শব্দ, মূল শব্দ বিলাদাতুন থেকে মিলাদ শব্দের উৎপত্তি। মিলাদ শব্দের অর্থ জন্ম, জন্মকাল, জন্মদিন। মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) বলেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মকালীন ঘটনাবলি স্মরণ করাকে মিলাদ বলা হয়ে থাকে। এ মিলাদের মাধ্যমে উম্মতে মোহাম্মদীর পক্ষে হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রতি মহব্বত হাসিলের একটা উপলক্ষ্য সৃষ্টি হয় এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকেও রহমত বর্ষণের উপলক্ষ্য সৃষ্টি হয়।’’ (মুক্তি কোন পথে? পঞ্চম সংস্করণ, পৃষ্ঠা ২৮)

পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরীফে মিলাদ:
আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রতি মহব্বতের সাথে দরূদ ও সালাম পেশ করা হয় মিলাদের মাধ্যমে। দরূদ ফারসি শব্দ, যার আরবি প্রতিশব্দ হলো সালাত। অভিধানে সালাত শব্দটির অর্থ করা হয়েছে- দোয়া, প্রার্থনা, দরূদ, অনুগ্রহ, রহমত কামনা করা।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-এর উপর দরূদ পাঠ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ ও তাঁর ফেরশতারা নবির উপর দরূদ পাঠ করেন; হে মু’মিনগণ! তোমরাও তাঁর উপরে দরূদ পড়ো এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করো।’’ (সূরা আল আহযাব ৩৩: আয়াত ৫৬)

উল্লিখিত পবিত্র কুরআনের আয়াতটি উপস্থাপন করে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান বলেন, ‘‘জগতে এমন কোনো কর্ম নেই, যা আল্লাহ্ সর্বদা করেন। অথচ তিনি স্বয়ং তাঁর ফেরশতাদের নিয়ে তাঁর প্রিয় হাবিবের উপর দরূদ পড়েন এবং মানুষকে লক্ষ্য করে বলেছেন, হে বিশ্বাসী বান্দারা! তোমরাও আমার হাবিবের উপরে দরূদ পড়ো এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করো।’’ [বিশ্বনবীর স্বরূপ উদ্ঘাটনে সূফী সম্রাট: রাসূল (সঃ) সত্যিই কি গরীব ছিলেন? পঞ্চম সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৩৯] সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের উল্লিখিত বাণী মোবারক থেকে সুস্পষ্ট যে, মহান আল্লাহ্ নামাজ পড়েন না, রোজা রাখেন না, জাকাত দেন না, হজ করেন না, অথচ এগুলো বান্দার উপর ফরজ করেছেন। কিন্তু হযরত রাসুল (সা.)-এর উপর দরূদ আল্লাহ্ স্বয়ং তাঁর ফেরশতাদের নিয়ে পাঠ করে থাকেন এবং বিশ্বাসী বান্দাদেরকেও বলেছেন যে, তোমরা তাঁর [হযরত রাসুল (সা.)] উপর দরূদ পড়ো এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করো। সুতরাং মিলাদ পাঠ করা বিদআত নয়, বরং অবশ্য কর্তব্য।

হযরত রাসুল (সা.)-এর উপর দরূদ পাঠের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কতিপয় হাদিস উপস্থাপন করা হলো-
– হযরত আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করা হয় এবং তাঁর মর্যাদার দশটি স্তর বৃদ্ধি করা হয়।’’ (তাফসীরে মাজহারী ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৮)

– হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘‘কিয়ামতের দিন আমার ঘনিষ্ঠতম হবে সেই ব্যক্তি, যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করে।’’ (তাফসীরে মাজহারী ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৮)

– হযরত জাবের ইবনে সামুরাহ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘‘যার সামনে আমার কথা উঠল, অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পড়ল না, ফলে সে জাহান্নামে গেলো, তাকে আল্লাহ্ তায়ালা ধ্বংস করলেন।’’ (তাফসীরে মাজহারী ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৭)

উল্লিখিত হাদিসসমূহ থেকে বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, হযরত রাসুল (সা.)-এর শানে দরূদ শরীফ পাঠ করা হলে, একজন ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, তাঁর গুনাহসমূহ মাফ হয়, সর্বোপরি ঐ ব্যক্তি হযরত রাসুল (সা.)-এর শাফায়াত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করেন।

মিলাদ পাঠের ফজিলত:
তিনটি পর্বের সমন্বয়ে মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফ পাঠ করা হয়ে থাকে। প্রথম পর্বে দরূদ শরীফ, দ্বিতীয় পর্বে কাছিদা শরীফ এবং তৃতীয় বা শেষ পর্বে তাওয়াল্লাদ শরীফ। মিলাদ শরীফে আশেকে রাসুলবৃন্দ মহব্বতের সাথে সুর ও ছন্দে হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মের বর্ণনা, তাঁর সুমহান মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও গৌরবদীপ্ত জীবন-দর্শন এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর প্রতি আশেকদের হৃদয় নিংড়ানো আর্জি পেশ করে থাকেন। এ প্রেমপূর্ণ নিবেদনের সময় আশেক যখন ইয়া রাসুলাল্লাহ্, ইয়া হাবিবাল্লাহ্, ইয়া ইমাম সালামু আলাইকা বলে- দু’চোখের পানি ফেলে মধুর স্বরে হযরত রাসুল (সা.)-কে হৃদয় উজার করে ডাকতে থাকেন, তখন মহান আল্লাহ্ এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থকে অবারিত ফায়েজের ফল্গুধারা আশেকের হৃদয়ে বর্ষিত হয়ে থাকে। সেই ফায়েজ অবগাহন করে আশেকের হৃদয়ের সকল পাপ ঝড়ে গিয়ে আশেক পরিশুদ্ধ হৃদয়ের অধিকারী হয়ে উঠেন। কখনো কখনো আশেকের প্রেমপূর্ণ আহ্বানে সাড়া দিয়ে হযরত রাসুল (সা.) মিলাদে উপস্থিত হয়ে আশেককে তাঁর দিদার দিয়ে থাকেন।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের অপার দয়ায় মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফ পাঠ করে বহু আশেক হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করে ধন্য হয়েছেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের অসংখ্য মুরিদ সন্তান প্রতিনিয়ত মিলাদে হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করছেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের পরামর্শে মিলাদ শরীফ পাঠ করে বিশিষ্ট মুসলিম দার্শনিক, খ্যাতিমান ইসলামি গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রথম মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমাদ খান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ফিরোজ আই ফারুকী, বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) শাহ মো. শফিকুল আমিন ফেরদৌসী প্রমুখ হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভের খোশ নসিব অর্জন করেন। মিলাদে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভের ঘটনাগুলো সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান প্রণীত বিশ্বনবীর স্বরূপ উদ্ঘাটনে সূফী সম্রাট: রাসূল (সঃ) সত্যিই কি গরীব ছিলেন? কিতাবের পঞ্চম সংস্করণের ৬৩-৬৭ পৃষ্ঠায় বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।

মিলাদের ফজিলত উপস্থাপনপূর্বক সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান বলেন, ‘‘হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য স্বীকার করার অর্থ হলো আল্লাহর অনুগত হওয়া। আর তাঁকে ভালোবাসার অর্থ হলো আল্লাহকে ভালোবাসা। সুতরাং হযরত রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা লাভের আশায় যদি কোনো ব্যক্তি মিলাদ পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ্ অবশ্যই ঐ বান্দার উপরে খুশি হবেন এবং তাকে ৫টি পুরস্কার দান করবেন। পুরস্কারগুলো হলো-
(১) মিলাদ পাঠকারীর সংসারে অভাব অনটন দূর হবে।
(২) বালা মুছিবত দূর হবে।
(৩) সংসারে অশান্তি দূর হবে।
(৪) আয়-রোজগারে বরকত হবে এবং
(৫) হযরত রাসুল (সা.)-এর শাফায়াত লাভ হবে। [বিশ্বনবীর স্বরূপ উদ্ঘাটনে সূফী সম্রাট: রাসুল (সঃ) সত্যিই কি গরীব ছিলেন? পঞ্চম সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৪৬]

২০২০ সালে বিশ্বময় করোনা ভাইরাস [কোভিড-১৯] ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রদুর্ভাব বর্তমানেও সারাবিশ্বে বিদ্যমান। এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে ৪৭ লক্ষ ২ হাজার ১০৭ জন মারা গেছেন এবং আমাদের দেশে মারা গেছেন ২৭ হাজার ২২ জন। করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা ২ বার মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ পাঠের পরামর্শ দিয়েছেন। যারা জগৎশ্রেষ্ঠ এ মহামানবের পরামর্শে নিয়মিত মিলাদ শরীফ পাঠ করছেন, তারা করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদেরকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। মূলত কুল-কায়েনাতের রহমত হযরত রাসুল (সা.)-এর আশেকদের জন্য মিলাদ শরীফ বরকতপূর্ণ বিশেষ অনুষ্ঠান। মিলাদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে আপদ-বিপদ, রোগ-শোক ও বালা মুছিবত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে এটি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনাটি হলো-

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রি. সকাল থেকে আমার ছোটো সন্তান ১৩ বছর বয়সী আশেকে রাসুল মিরাজুল মোস্তফা (দানিয়েল)-এর প্রচণ্ড জ্বর ও ঠান্ডা দেখা দেয়। পরিচিত ডাক্তারকে ফোন করলে তিনি আপাতত নাপা ও অ্যালসেট ট্যাবলেট খাওয়ার এবং নাকে ড্রপ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বললেন- বর্তমানে যেহেতু করোনা ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, তাই এই দুটি টেস্ট দ্রুত করিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমার ছেলেকে ঔষধ সেবন করালাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সন্ধ্যার পর ওর জ্বর ১০৩-১০৪ উঠানামা করতে থাকে এবং ঠান্ডার জন্য শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমতাবস্থায় আমি ও আমার স্ত্রী আশেকে রাসুল নাসিমা খান (ঝুমুর) মানত করে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানকে স্মরণ করে আজিজি করতে লাগলাম। আমার হঠাৎ মনে পড়ল দয়াল বাবাজান তো বলেছেন যে, মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফ পাঠ করলে রোগ-শোক, বালা মুছিবত দূর হয়। তাই রাত ১২টার সময় আমার ছেলের সামনে আমি ও আমার স্ত্রী মিলাদ শরীফ পাঠ শুরু করলাম। মিলাদ শরীফ পাঠের পূর্বে ওর জ্বর ছিল ১০৩। মিলাদ পাঠ শেষ করে আমি যখন ওর জ্বর মাপলাম, দেখি জ্বর কমে গিয়ে ১০০-তে নেমেছে। এর কিছুক্ষণ পর পুনরায় জ্বর মেপে দেখলাম তাপমাত্রা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আমার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠে। আমি এবং আমার স্ত্রী অবাক হয়ে গেলাম এবং বুঝতে পারলাম যে, মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের সুমহান শিক্ষানুযায়ী মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ পাঠের কারণে মোর্শেদের অসিলায়, মহান আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাই ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষা করার আর প্রয়োজন হয়নি।

মূলত মিলাদের ফজিলত অনেক বেশি। তাই ইসলামে মিলাদের গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত রাসুল (সা.)-এর জীবদ্দশাতেও সাহাবায়ে কেরামের বাড়িতে বাড়িতে ধুমধামের সাথে মিলাদ অনুষ্ঠিত হতো, যা বিভিন্ন সাহাবিদের বর্ণনায় পাওয়া যায় এবং এ প্রবন্ধে তা রেফারেন্স-সহ উপস্থাপিত হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমার মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান ঘরে ঘরে মিলাদ পাঠের কথা জোর দিয়ে বলে গেছেন। মহান মালিকের নিকট প্রার্থনা- আমরা যেন নিয়মিত মিলাদ পাঠের মাধ্যমে হযরত রাসুল (সা.)-এর সন্তুষ্টি অর্জন করে সত্যিকার আশেকে রাসুল হতে পারি। আমিন।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *