বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ

দেওয়ানবাগ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং উভয় দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার, কংগ্রেসম্যান জো উইলসন ওয়াশিংটনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।


বাংলাদেশ দূতাবাস গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কংগ্রেসম্যান জো উইলসন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারি উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিজাবেথ হর্স্ট এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান লুটি সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।


কংগ্রেসম্যান উইলসন বলেন, এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র-উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার একটি বড় সুযোগ। তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং দারিদ্র্য নিরসনে সাফল্য অর্জনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।


বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে উইলসন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি চলতি সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।


বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, সরকার সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন এবং মানবিক সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এলিজাবেথ হর্স্ট বলেন, বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত অংশীদারি গড়ে তুলেছে। ব্রায়ান লুটি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি জাতিসংঘ সনদে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিকে সম্মান করে।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *