বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে চার কারণে

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে চার কারণে

বাণিজ্য ডেস্ক: বাংলাদেশ ও নেপালের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে আশা করা যায়, নতুন বছরে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। এতে আঞ্চলিক মূল্যস্ফীতি কমে ২০২৪ সালে হবে ৬.৭ শতাংশ। গত বুধবার প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ডিসেম্বর-২০২৩’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।


সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হ্রাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া সত্তে¡ও জুলাই-অক্টোবর সময়ে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের কাছাকাছি ছিল। তবে আশা করা যায়, আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। এর কারণ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ, বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমা এবং ফসলের আবাদ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে বলে মনে করে এডিবি।


প্রধান রপ্তানি বাজারে অর্থনৈতিক মন্দায় বাংলাদেশের রপ্তানি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মাঝারি প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি এবং মূল্যস্ফীতি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি আসছে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তাও জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ঝুঁকিতে ফেলবে। এর আগে দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল এডিবি।


প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ, ২০২৪ সালে তা আরো বেড়ে হবে ৬.০ শতাংশ। অন্যদিকে বৈশ্বিক বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর নির্ভর করে ২০২৩ সালে উন্নয়নশীল এশিয়ার প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৪.৯ শতাংশ। ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি থাকবে ৪.৮ শতাংশ। এর পাশাপাশি উন্নয়নশীল এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালে কমে হবে ৩.৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে কিছুটা বেড়ে হবে ৩.৬ শতাংশ। এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করবে উন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ সুদহার।


এর কারণে আর্থিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া এল নিনোর প্রভাবে সম্ভাব্য সরবরাহ বিঘ্ন এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এতে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *