অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে বড় সাফল্য বাংলাদেশের

অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে বড় সাফল্য বাংলাদেশের

অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে বড় সাফল্য বাংলাদেশের

অর্থনৈতিক ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ায় অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে অন্যতম সফল দেশ বাংলাদেশ। ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় গত দুই দশকে অতিদরিদ্রের সংখ্যা ৫০ কোটি থেকে কমে ২৫ কোটির নিচে নেমেছে। এ সময় দেশগুলোর মাথাপিছু আয়ও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অবকাঠামোর উন্নতি হয়েছে।

আর্থিক সেবা ও ইন্টারনেটে মানুষের প্রবেশাধিকার বেড়েছে এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহারেও দারুণ সাফল্য এসেছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়াস পাথ টু রেজিলিয়েন্ট গ্রোথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, দুই দশকের এ সাফল্য কিছুটা থমকে গেছে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। অতিদারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই ধীর হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পাঁচ দশকে বাংলাদেশের মাথাপিছু প্রকৃত জিডিপি তিন গুণের বেশি হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের ১৯৪৭ সালে এবং শ্রীলঙ্কার ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর মাথাপিছ প্রকৃত জিডিপি সাত গুণের বেশি বেড়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও তিনটি দেশের বৈষম্য গত আড়াই দশকে ব্যাপক বেড়েছে। এই তিন দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। আবার বৈষম্যও কমেছে তিনটি দেশে। দেশগুলো হলো ভুটান, মালদ্বীপ ও নেপাল।

বৈষম্য বাড়লেও প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কিছু অর্জনের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কেবল বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ কভিড মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে সবচেয়ে ভালো করেছে।

আইএমএফ বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো উন্নত দেশগুলোর রপ্তানিনীতির পরিবর্তন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশিয়ার তৈরি পোশাক খাত যে কোটা সুবিধা পেত, তা ১৯৯৪-২০০৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তখন কম্বোডিয়া, চীন ও ভিয়েতনাম এই বাজারের প্রবেশাধিকার পায়। ২০০০ সালের পর পোশাকের বাজারে মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বাজার হিস্যা কমে যায়। তবে এই অঞ্চলের মধ্যে পোশাকের বাজারে কেবল বাংলাদেশেরই হিস্যা বেড়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ উচ্চ প্রযুক্তিভিত্তিক রপ্তানির দিকে যেতে পারেনি।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *