পথ দেখাচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি

পথ দেখাচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি

জিন্নাতুন নূর
বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং জ্বালানি মূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশ সংকটে পড়তে হয় সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগকে। এই অবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব এই জ্বালানি উৎপাদনে সরকার বেশ গুরুত্বও দিচ্ছে। সম্ভাবনা থাকায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি এ খাতে এখন বিনিয়োগে আগ্রহী। এরই মধ্যে এই জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট (১১৯৪.৬৩) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়াও ১০০টি প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আরও প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলছে।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎসের মধ্যে সৌর, বায়ু, জল ও বায়ুগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়াও বর্জ্য থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদু্যুুৎ উৎপাদিত হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ থেকে। সৌর থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ৯৬৬ দশমিক ৬৪ মেগাওয়াট এবং জলবিদ্যুৎ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আরও চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দেশের ২ কোটি মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের আওতায় এসেছেন। সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনাতেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৯০ ভাগই বেসরকারি খাত থেকে হচ্ছে।
আশার আলো সৌরবিদ্যুতে: সম্ভাবনা ও সরকারের আগ্রহ দুটোই থাকায় দেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্র বলছে, গত কয়েক বছরে বিদেশি ৮টি প্রতিষ্ঠান দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে জাপানের মারুবেনি করপোরেশনের যৌথ বিনিয়োগে ফেনী জেলার সোনাগাজীতে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। গত ৩ অক্টোবর সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি সই হয়। পাবনায় ১০০ মেগাওয়াট সোলার পার্কে ভারতীয় কোম্পানি শাপুর্জি পল্লনজি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্যাপিটাল কোম্পানি বেসরকারি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। জাপানি প্রতিষ্ঠান ইকিসোজি কোম্পানির উদ্যোগে সিলেটে নির্মিত হচ্ছে পাঁচ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান হাওর বাংলা কোরিয়া গ্রিন এনার্জি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ৩২ মেগাওয়াট সক্ষমতার সোলার পার্ক নির্মাণ করছে। চীনা প্রতিষ্ঠান সিইটিসি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করছে। চীনের প্রতিষ্ঠান জিয়াংসু জংতিয়ান টেকনোলজি তেঁতুলিয়ার পঞ্চগড়ে ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সোলারল্যান্ড ইলেকট্রিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পাবনার বেড়ায় ৩ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিনিয়োগ করছে। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে দেশের সবচেয়ে বড় ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বেক্সিমকো পাওয়ার এবং চীনা প্রতিষ্ঠান টিবিইএ জিনজিয়াং সান ওয়েসিস কোম্পানি লিমিটেড। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি উৎপাদন শুরু হয়েছে। দেশি বিনিয়োগে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হওয়া উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পঞ্চগড়ে সিঙ্গাপুরের এইট মিনিট এনার্জি সিঙ্গাপুর হোল্ডিংস-২-এর ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, নীলফামারীতে নরওয়ের কোম্পানি স্ক্যাকেট সোলার এএসএ-এর ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, চাঁদপুরে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি এসএমই ইলেকট্রিক্যাল প্রাইভেট-এর ৭ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, খুলনার তেরখাদায় সিঙ্গাপুরের আরেকটি প্রতিষ্ঠান দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাবনার ঈশ্বরদীতে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান এইচআই কোরিয়া কোম্পানি লিমিটেডের ৭০ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ ছাড়াও পিডিবির বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে- রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৬৮ দশমিক ৬০ মেগাওয়াট, রামপালে ২৬০ মেগাওয়াট, মহেশখালীতে ১৬০-২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প। এগুলো ২০২৫ থেকে ২০২৯ এর মধ্যে উৎপাদনে আসার কথা।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট (১১৯৪.৬৩) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও গ্রিডে আসে ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বায়ু ও অফসোর বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ বিভাগ অফসোর বায়ুর সম্ভাব্যতা যাচাই নিয়ে কাজ করছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ অফসোর বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প চলমান আছে এবং ৮ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। তিনি জানান, বর্তমানে ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে অফগ্রিড এলাকার বসবাসরত ২০ মিলিয়ন মানুষকে আলোকিত করা হচ্ছে। সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে অফগ্রিড এলাকায় গ্রিডের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। সাতটি সোলার পার্ক করা হচ্ছে। দেশে রয়েছে প্রায় ১ লাখ বায়ু গ্যাস প¬ান্ট। ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়াও চলমান।
সম্ভাবনা বায়ুবিদ্যুতে: সৌর বিদ্যুতের পাশাপাশি সরকার বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপরও জোর দিচ্ছে। সম্প্রতি কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। দেশে বড় আকারের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প এটিই প্রথম। চীনের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড নামের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। গত মে মাস থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কেন্দ্রটির ১০টি টারবাইনের পরীক্ষামূলক উৎপাদন সফলভাবে শেষ হয়েছে। এ থেকে গড়ে ১৫ থেকে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। অপর ১২টি টারবাইন আগামী এক মাসের মধ্যে উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে বাতাসের গতি বিবেচনায় উপকূলীয় অঞ্চল ও অগভীর সাগর এলাকা বায়ুবিদ্যুতের জন্য সম্ভাবনাময় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেক বিদেশি কোম্পানি এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। গত জুনে সাগরাঞ্চলে ৫০০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করে ডেনমার্ক। এর বাইরে মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য পিডিবির সঙ্গে চীনের একটি কনসোর্টিয়ামের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে বায়ুবিদ্যুৎ থেকে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে বায়ুবিদ্যুতের ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণাধীন ও পরিকল্পনাধীন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে দুটি ও মোংলায় একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণাধীন পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া পরিকল্পাধীন অবস্থায় পটুয়াখালী, চাঁদপুরের কচুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মিলিয়ে বায়ুবিদ্যুতের আরও পাঁচটি প্রকল্প পর্যায়ক্রমে নির্মাণ পরিকল্পনার মধ্যে আছে। সরকার বঙ্গোপসাগরেও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপায় খুঁজছে। এ জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় সাগরে সম্ভাব্যতা যাচাই জরিপ শুরু হয়েছে। আর এই যাচাইয়ের ফলাফল ইতিবাচক হলে সমুদ্রের মধ্যবর্তী এলাকায় বায়ুবিদ্যুৎ টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। সাগরে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য এরই মধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও দেশি-বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম সাগরে বায়ুকল স্থাপনের জন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের এক বিনিয়োগ প্রকল্প সরকারের কাছে জমা দিয়েছে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, বর্তমানে আমাদের সাগরে বায়ুবিদ্যুৎ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জরিপ কাজ চলছে। যখন এটি ফিজিবল হবে তখন সেটা পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় কি না এবং মাছের বিচরণক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়ে কি না- তা বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবার যারা সরকারের কাছে এই প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে তারাও এর সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। স্থলভাগের চেয়ে বাতাস বেশি থাকার কারণে সাগরে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশি। আশা করছি শিগগিরই আমরা সাগরে সম্ভাব্যতা যাচাই এর ফলাফল হাতে পাব।
বর্জ্য বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা: নবায়নযোগ্য জ্বালানির আরেকটি উৎস বর্জ্য থেকে শিগগিরই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন প¬ান্ট নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দৈনিক এই প¬ান্টে ৩ হাজার টন মিক্সড বর্জ্য থেকে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসাবাড়ির সংগ্রহকৃত বর্জ্য থেকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এটি বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করবে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে এ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২৫ বছর পর্যন্ত কিনে নেবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
এর বাইরে নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনে কনসোর্টিয়াম অব ইউডি এনভায়রনমেন্টাল ইক্যুইপমেন্ট টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি চীনা কোম্পানির সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুড়ি এলাকায় এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর বাইরে সরকার দেশের অন্য সিটি করপোরেশনগুলোর সংগ্রহকৃত বর্জ্য থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা চিন্তাভাবনা করছে।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *