উন্নয়নশীল হয়েও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

উন্নয়নশীল হয়েও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

বাণিজ্য ডেস্ক: উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর আরও ৩ বছর রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেই হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ববাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

গত শুক্রবার শেষ হওয়া বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় এ কথা বলা হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ডব্লিউটিওর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে। বিশ্ববাণিজ্যের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এবারের সম্মেলনে ১৬৪টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণের পরও শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, কৃষি ও মৎস্য খাতে ভর্তুকি এবং মেধাস্বত্ব সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাপক তৎপরতা সফলতা লাভ করে। তবে সরকারি খাদ্য মজুত, মৎস্য খাতে ভর্তুকির মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই এবারের সম্মেলন শেষ হয়েছে। জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত ডব্লিউটিওর সম্মেলনে সদস্য দেশের মন্ত্রীরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হওয়ার পরও সেসব দেশের জন্য পরবর্তী তিন বছর স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। সদ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বল্পোন্নত দেশের সব শুল্ক সুবিধা কার্যকর রাখা না গেলেও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও পণ্যের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখার ব্যাপারে সম্মতি দেন। ফলে সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় তা স্থান পায়। এ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা ও সাধারণ পরিষদের অগ্রগতি প্রতিবেদন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। যা বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৪তম সম্মেলনে উত্থাপন করা হবে। এছাড়া ই-কমার্সের ওপর আমদানি শুল্ক স্থগিত রাখার মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়াতে রাজি হয়েছে ডবিøউটিওর সদস্য দেশগুলো। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। আর ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির জন্য স্বল্প অথবা শুল্কমুক্ত সুবিধাগুলো পাবে বাংলাদেশ। ডবিøউটিওর বিরোধ নিষ্পত্তি সমঝোতা অনুচ্ছেদ-২৪ অনুসারে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘের ঘোষণার দিন থেকে সেসব দেশ পরবর্তী তিন বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এছাড়া ওই দেশগুলো বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৩ বছর মেয়াদে কারিগরি সহায়তাও পাবে। এ পরিকল্পনার আওতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তন্তুর পোশাকের রপ্তানি বেড়ে ২৯ শতাংশ
বাণিজ্য ডেস্ক: দেশে গত ৩ বছরে কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের রপ্তানি ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে বলে এক সমীক্ষায় তথ্য তুলে ধরেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানি খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। গত রবিবার ‘বিয়ন্ড কটন এ স্ট্র্যাটেজিক বøæপ্রিন্ট’ শীর্ষক এক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, স্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা কৃত্রিম তন্তুর পোশাকে দর ভালো পাওয়ায় এ খাতের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে, একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের আগ্রহও বেড়েছে। এতে বলা হয়, কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের বৈশ্বিক বাজার ৭৫ শতাংশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ তুলার পোশাক রপ্তানি করে।
ভারতীয় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়াজির অ্যাডভাইজার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাবসায়িক পরিচালক বরুণ বৈদ রাজধানীর পূর্বাচলে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন। দুই বছর ধরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উজির অ্যাডভাইজার্স প্রাইভেট লিমিটেড এই সমীক্ষা পরিচালনা করে।
বিশ্বব্যাপী কৃত্তিম তন্তুর পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের নন-কটন ফাইবার ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নন-কটন ফাইবার শিল্পে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলে ২০৩২ সালের মধ্যে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নন-কটন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করে বিজিএমইএ স্থানীয়ভাবে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজার হিস্যা বর্তমান ৭.৮৭ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে চায়। কারণ তুলার তৈরি পোশাকের চেয়ে এসব পণ্যের পোশাকের মূল্য বেশি। তিনি বলেন, এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফ্যাশনেও পরিবর্তন এসেছে।

কারণ ভোক্তারা সুতির আইটেমগুলোর চেয়ে নন-কটন পোশাক বেশি পছন্দ করে। এর স্থায়িত্বও বেশি। তাই সম্প্রীতি নন-কটন ফাইবার আমদানি বেড়েছে। তুলার বৈচিত্র্যের অর্থ এই নয় যে উৎপাদনের ভিত্তিটি তুলা ফাইবার থেকে সরানো হয়েছে। ফারুক হাসান বলেন, স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা বেশির ভাগ সুতি পোশাক তৈরি করছেন। এর ফলে বাজার বড় হলেও ভালো দামের জন্য এবার কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন।

দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ ডেস্ক: দেশের অগ্রযাত্রা সার্বিকভাবে সমৃদ্ধ করতে দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। গত রবিবার সচিবালয়ে প্রথমবারের মতো নিজের দপ্তরে আসেন নতুন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
নিজ দপ্তরে কিছুক্ষণ বসে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা। টানা তিনবার সংরক্ষিত আসন থেকে এমপি হওয়া ওয়াসিকা গত শুক্রবার আরো ছয়জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ নেন।

ওয়াসিকা আয়শা খানের পিতা আতাউর রহমান খান কায়সার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৪ জুলাই আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক হন। এছাড়া চিটাগাং আর্টস কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর জন্য ওকালতি করা ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ নামক নেটওয়ার্কের ভাইস চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন। ২০২১ সালের জুন থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার আগে ২০২২ সালে প্রথম নারী অর্থসচিব পায় বাংলাদেশ। ওই বছরের ১১ জুলাই অর্থসচিব হিসেবে নিয়োগ পান ফাতিমা ইয়াসমিন। এবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন এক নারী।

মন্ত্রণালয়ের কোন বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দেবেন নিজ দপ্তরে বসে প্রথম দিনেই এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কথা যদি বলি, তাহলে দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার জন্যই আমি কাজ করব। যাতে বাংলাদেশের সবদিক থেকে সমৃদ্ধি আনতে ভ‚মিকা রাখতে পারি।’

আলু বাছাইয়ের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র উদ্ভাবন
কৃষি সংবাদদাতা: আলুর আকার, রং ও ত্রুটি নির্ণয় করে আলু বাছাই করতে সক্ষম একটি যন্ত্র আবিস্কার করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এতে করে আলু বাছাই ও সংরক্ষণ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বে সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। প্রতিবছরই চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি আলু উৎপাদিত হয় এখানে। কিন্তু এর বড় একটি অংশ যথাযথ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের অভাবে অপচয় হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ প্রেক্ষিতে আলু বাছাইকরণ এবং সংরক্ষণের সমস্যা নিরসনে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। তারা দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবন করেছেন স্বয়ংক্রিয় আলু বাছাই করার যন্ত্র (অটোমেটেড রিয়েল টাইম পটেটো গ্রেডিং মেশিন)। উদ্ভাবিত এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি আলুর আকার, রং ও ত্রুটি নির্ণয় করে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি আলু বাছাই করতে পারে। এতে আলুর উত্তোলন পরবর্তী ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

গবেষকরা জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে আলুর উৎপাদন ছিল ১১ মিলিয়ন টনেরও বেশি। সেই সময় অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল ৭.৭ মিলিয়ন টন। সেই অনুযায়ী আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা ছিল প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন টন। কিন্তু যথাযথ প্রযুক্তির অভাবে দেশের কৃষকেরা হাত ও চোখের আন্দাজেই আলু বাছাই এবং সংগ্রহ করায় আলু সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। এর ফলে বাজারে দেখা যায় আলুর সংকট, ভরা মৌসুমেও থাকে চড়া দাম। উৎপাদিত আলু সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা গেলে বাজারে আলুর সংকট হবে না। বিষয়টি মাথায় রেখেই যন্ত্রটি উদ্ভাবন করা হয়।

মাঠ থেকে আলু তোলার পর সেগুলো সংরক্ষণের জন্য সঠিকভাবে আকার, রং ও ত্রুটি অনুযায়ী বাছাই করা না হলে তাতে ক্ষতির শঙ্কা থাকে। কেননা রোগাক্রান্ত আলুগুলো সংরক্ষিত অন্যান্য আলুর সঙ্গে থেকে সেগুলোকেও নষ্ট করে দেয়। উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় সরবরাহকৃত প্রতিটি আলুর ছবি নেবে এবং তা প্রক্রিয়াকরণ করে আলুর রং, আকার ও রোগাক্রান্ত অংশ শনাক্তকরণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোটরের মাধ্যমে আলু স্থানান্তর করা হবে। ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের আলু বাছাইয়ে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটির সফলতার হার প্রায় ৮৬ শতাংশ। যন্ত্রটির অধিকতর উন্নয়ন হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় আরও বেশি পরিমাণে আলু বাছাই করা এবং যন্ত্রের সফলতার হার আরও কয়েকগুণে বৃদ্ধি করা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)-এর অর্থায়নে ‘মেশিন ভিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলুর জন্য স্বয়ংক্রিয় বাছাই পদ্ধতি’- শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারি মাস থেকে যন্ত্রটির গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। ১ লাখ ২০ হাজার টাকার দুই বছর মেয়াদী ওই গবেষণা প্রকল্পের মেয়াদকাল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। যন্ত্র উদ্ভাবনের গবেষণা পত্রটি ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার টেকনোলজি’ নামক বৈজ্ঞানিক জার্নালে জমা দেওয়া হয়েছে এবং তা প্রাথমিকভাবে প্রকাশনার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
গবেষণা কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত গবেষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটিতে মোটরচালিত ৭ ফুট দীর্ঘ ও দেড় ফুট প্রস্থের কনভেয়ার বেল্ট (আলু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত বেল্ট), ছবি তোলা ও বিশ্লেষণের জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে এলইডি লাইটিং সিস্টেম এবং বাছাইকৃত আলুকে সুনির্ধারিত স্থানে রাখতে সার্ভো মোটর ও মাইক্রো কন্ট্রোলারের সমন্বয়ে নিক্ষেপণ পদ্ধতি। যন্ত্রটিতে ছবি বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাট ল্যাব (উন্নত প্রোগ্রামিং ভাষা), যা খুবই অল্পসময়ে আলুর আকার নির্ধারণ এবং পূর্বনির্ধারিত আলুর আকারের সঙ্গে তুলনা করে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিন আকারের আলু বাছাই করতে পারে। কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় খালি চোখে দৃষ্টিগোচর না হওয়া সব ত্রুটিও ধরা পড়ে যন্ত্রটিতে। ফলে যথাযথভাবে কম সময় ও পরিশ্রমে আলু বাছাই করা সম্ভব। এতে উৎপাদিত আলু সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারবে কৃষকেরা।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *