ইউরোপে রপ্তানি কমার আশঙ্কা

ইউরোপে রপ্তানি কমার আশঙ্কা

দেওয়ানবাগ ডেস্ক: ইউরোপের বাজারে নিয়মিত মূল্যস্ফীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হিমশিম খেলেও চলতি বছরের প্রথমার্ধে এই বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে আসন্ন মাসগুলোতে এ প্রবণতা কমার আশঙ্কা করছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। ইউক্রেন যুদ্ধে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং ইউরোপের বাজারে মূল্যস্ফীতির কারণে রপ্তানিকারকদের এই আশঙ্কা।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মতে, ‘ইউরোস্ট্যাট’ ২০২২ সালের জানুয়ারি-মে সময়ের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে ৪৫ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হলেও গত জুলাই থেকে ক্রেতাদের কার্যাদেশ কমতে শুরু করেছে। সাধারণ মৌসুমের চেয়ে এটা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম। আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানিতে এর প্রভাব দেখা যাবে।

ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ৪৪.৯৫ শতাংশ বেড়ে ৯৫৮ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে ইউরোপের দেশগুলোর বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ২৪.৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আমদানির পরিসংখ্যান অনুসারে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান দেখালেও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আগামী মৌসুমের কার্যদেশ কমিয়েছে ক্রেতারা। গ্রীষ্ম মৌসুমের পণ্য বিক্রি বন্ধ হওয়ায় কার্যাদেশ কমিয়েছে এবং আগের কাজ স্থগিত করছে।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘ইউরোপে মূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আগামী মৌসুমের জন্য কার্যদেশ প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম। খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিশ্ববাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে, যা তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এসব কারণ বিবেচনা করে আগামী মাসগুলোতে ইইউ বাজারে আমাদের রপ্তানি কম হতে পারে। ’

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুসারে, একই সময়ে বেশ কিছু দেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এগুলো হলো কম্বোডিয়া ৩২.৬৮ শতাংশ, পাকিস্তান ২৯.২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ২৫.৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২২.৩৪ শতাংশ ও মরক্কো ২০.০৫ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত ইইউর আমদানির এই পরিসংখ্যান ইউরোজোনের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান নির্দেশ করে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক তৈরি পোশাক বাজারে শক্তিশালী চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি বছরে ২০.৬৭ শতাংশ বেড়ে ১০.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

তারা জানায়, বর্তমানে গ্রীষ্ম মৌসুম হলেও পোশাক বিক্রি হচ্ছে শীতের। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপে চলতি মৌসুমের পণ্য আমদানি কমিয়েছে ক্রেতারা। এর ফলে পোশাকের অর্ডার কমছে, আগের পণ্য শিফট করছে, একই সঙ্গে কার্যাদেশ স্থগিত করছে ক্রেতারা।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *