দেওয়ানবাগ ডেস্ক: বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে চলমান ঋণসংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংগঠন ও সংস্থা। এবার সোচ্চার হয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রগ্রাম (ইউএনডিপি)। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করেছে, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে এখন ভয়াবহ ঋণসংকট চলছে। ইউএনডিপির হিসাবে বিশ্বের ৫৪টি দেশে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি দরিদ্র মানুষ বসবাস করে।
এ মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে দেশগুলোর ঋণ সহায়তা প্রয়োজন। তা না হলে তারা আরো দরিদ্র হয়ে পড়বে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ দিতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মারাত্মক ঋণসংকট উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
এ সপ্তাহে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসছেন আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাঁদের আলোচনাজুড়ে থাকবে বৈশ্বিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগ এবং শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান থেকে শুরু করে চাদ, ইথিওপিয়া ও জাম্বিয়ার মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট। তাই এ সময় নতুন করে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে ইউএনডিপি। বৈশ্বিক এই অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি এবং সে কারণে ঝুঁকি আরো বাড়ছে, জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেছেন ইউএনডিপির প্রধান অচিম স্টেইনার।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৪টি দেশের মধ্যে অন্তত ৪৬টি দেশ ২০২০ সালে মোট ৭৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরকারি ঋণ সংগ্রহ করেছে। আর এই ঋণের এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিয়েছে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন ও ভেনিজুয়েলা। ইউএনডিপির প্রধান অর্থনীতিবিদ জর্জ গ্রে মোলিনা সাংবাদিকদের বলেছেন, উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ এরই মধ্যে তাদের ঋণের পরিমাণকে ‘উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি বা খেলাপি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স