নারী ডেস্ক: মিশেল ওবামা: যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী আমেরিকা ফেরেরা এ বছর তার আলোচিত সিনেমা বার্বি ও ডাম্ব মানিতে অভিনয়ের জন্য গ্রাইন্ড ব্রেকার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন; হয়েছেন ভোগের ওম্যান অফ দ্যা ইয়ার! অন্যদিকে এ বছর বিবিসির সেরা ১০০ নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মুুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম ল্যাতিন হিসাবে এমি অ্যাওয়ার্ড জয় করা এ অভিনেত্রী ও প্রযোজক। একজন অ্যাক্টিভিস্ট হিসাবে কাজ করেন ফেরেরা; নারীর অধিকার এবং মিডিয়াতে নারীদের আরও বেশি স্বছন্দ উপস্থিতি নিয়ে সরব থাকেন এ নারী। এছাড়া তার অলাভজনক সংস্থা পদেরিস্তার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ল্যাতিন নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বহুদিন থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা, যিনি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও লেখক। ৫৯ বছর বয়সি এ নারী এখনো দাপটের সঙ্গে তার কর্মক্ষেত্রে বিচরণ করছেন। এ বছরের বিবিসির বিশ্ব ১০০ ইনফ্লুয়েন্সার নারীতে তার নাম অগ্রগণ্য। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ‘গার্লস অপর্চুনিটি এলায়েন্স’-এর মাধ্যমে নারীদর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন তৃণমূল সংস্থাকে সহযোগিতা করে মিশেল ওবামার সংস্থটি।
দিয়া মির্জা: ভারতীয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা শুধু অভিনয়েই পুরস্কার জেতেননি, পরিবেশ ও মানবিক অনেক কাজের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। চলতি বছর জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত হিসাবে জলবায়ু পরিবর্তন, বিশুদ্ধ বায়ু এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ে নানা সচেতনতার বার্তা প্রচার করেন দিয়া মির্জা। তিনি ওয়ান ইন্ডিয়া স্টোরিজ নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। সংগঠনটি মানুষের কাছে এমনসব গল্প হাজির করে, যা মানুষকে ভাবতে শেখায়।
নেহা মানকানি: গত বছর পাকিস্তানে মারাত্মক বন্যায় আক্রান্ত দুর্গত এলাকায় ছুটে যান নেহা মানকানি। দাতব্য সংস্থা মামা বেবি ফান্ডের মাধ্যমে মানকানি এবং তার দল ১৫ হাজারের বেশি বন্যার্ত পরিবারকে জীবনরক্ষাকারী জন্মদানসামগ্রী ও ধাত্রীসেবা দেয়। নেহা তার কাজের ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত ও পরিবেশ বিপর্যয়ে আক্রান্ত এলাকায় জরুরি সাহায্যদানে বেশি গুরুত্ব দেয়। নেহার দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছে, যা উপকূলীয় সম্প্রদায়গুলোর গর্ভবতী নারীর জরুরি চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাবে। জলবায়ু সংক্রান্ত বিপর্যয়ের মুখে পড়া এলাকায় ধাত্রীর কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেহা বলেন, আমরা বিপদের সময় জরুরি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে চাই, নারী চরম বিপদের মুহূর্তে প্রজনন সেবা, গর্ভাবস্থা ও প্রসব-পরবর্তী সেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়।