স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রতি বছর বিশ্বে ২০ লাখের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। প্রতি ৮ জনে এক জন নারী স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কারণ স্তন ক্যানসার নিজে নিজেই শনাক্ত করা যায়। আর প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গত বুধবার রাজধানীর স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। এই সেমিনারের আয়োজন করে ইনার হুইল ক্লাব অব জাহাঙ্গীরনগর, ঢাকা। আয়োজনে স্বাস্থ্যবিষয়ক পার্টনার ছিল ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার। এছাড়া অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল ১৮টি ক্লাব। সেমিনারে স্তন ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ১০ নারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সচেতনতার অভাবে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। এছাড়া খাদ্যাভ্যাস, বয়স, ওজনাধিক্য, দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের ওষুধ খাওয়ার কারণেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণে নারীরা নিজেই বড় পরীক্ষক। প্রতিবার ঋতুস্রাবের তিন থেকে চার দিন পর নারীরা নিজ স্তন পরীক্ষা করে এ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। কোনো সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলেই স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। তারা বলেছেন, দেশে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার উদ্বেগজনক। তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব হয়নি। গ্লোবাল ক্যানসার স্ট্যাটিস্টিকস ২০১৮ (গ্লোবোক্যান)-এর তথ্যমতে, প্রতি বছর নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৯ জন নারী। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
সেমিনারে ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের অনকোপ্লাস্টিক ব্রেস্ট সার্জন ডা. আলি নাফিসা বলেন, স্তন ক্যানসারকে ভয় না পেয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন হবে, তা জানতে হবে। স্তন ক্যানসার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে এবং এ বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ডা. মো. ইউসুফ আলী।