দেওয়ানবাগ ডেস্ক: বাংলাদেশে মালালা ফান্ডের সহযোগী সংস্থা পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশনের (পপি) নির্বাহী পরিচালক মোরশেদ আলম সরকার বলেছেন, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই ঝরে পড়ে। ১২ বছর শিক্ষা জীবনে টিকে থাকা শিক্ষার্থীর হার ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ, মালালা ফান্ডের বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোশাররফ তানসেন প্রমুখ।
বক্তব্যে মোরশেদ আলম সরকার বলেন, সরকারি হিসেবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য যেভাবেই দেওয়া হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে এটিই সত্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার শিক্ষাসম্পর্কিত লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য ‘রূপান্তর মূলক-শিক্ষা সম্মেলন’ (টিইএস) সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গণসাক্ষরতা অভিযান, ফ্রেন্ডশিপ, পপি ও মালালাফান্ড যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত শিক্ষার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০২২ সালের অর্ধেক সময় চলে গেলেও কাঙ্ক্ষিত কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে আছে দেশ। করোনার দুইবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা থেকে আমরা আরও পিছিয়ে পড়েছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকে ঝরে পড়ার পর ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ৬০ শতাংশ। দশম শ্রেণি পর্যন্ত তা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে দাঁড়ায়। আর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আসতে পারে মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী। যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেন সেই শিক্ষার মান নিয়েও রয়েছে সংশয়। বক্তারা বিশ্বব্যাপী মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকরণে মালালা ফান্ডের প্রতিশ্রুতি এবং কর্মকাণ্ড বিষয়েও আলোকপাত করেন।