বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন আমাদের জন্য পরীক্ষার দিন ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)

বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন আমাদের জন্য পরীক্ষার দিন ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)

বিশেষ সংবাদদাতা: সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা, পালনকর্তা। যার দয়ায়, যার কৃপায় আমরা বেঁচে আছি। যিনি দয়া করে আমাদের সুযোগ দিয়েছেন এই জগতের বুকে এখনো বেঁচে থাকার জন্য এবং ডাক না আসা পর্যন্ত বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। আবার তাঁর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। এই আসা এবং যাওয়ার মাঝে তিনি আমাদের বাঁচার জন্যে অক্সিজেন দিয়েছেন, খাওয়ার জন্য সুষম খাদ্য দিয়েছেন। জমিনকে বলেছেন, “হে জমিন! তুমি উর্বর হয়ে যাও।” গাছকে বলেছেন, “তুমি অক্সিজেন দাও।” গৃহপালিত পশুকে বলেছেন, “তুমি গৃহে থাকো, যাতে মানুষ তোমার মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।” নদীর পানিকে বলেছেন, “তুমি মিষ্টি পানি হয়ে যাও, যাতে মানুষ তোমাকে পান করে বেঁচে থাকতে পারে।” মাছকে বলেছেন, “তুমি জীবিত থাকো, যাতে মানুষ তোমাকে খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারে।” গাছকে বলেছেন, “তুমি ফল দাও, ফুল দাও, যাতে মানুষ তোমার এই ফলমূল খেয়ে আমার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে পারে।” আর মানুষকে বানিয়েছেন তাঁর নিজের মতো করে। মানুষের মধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি দিয়েছেন, মানুষকে তিনি বিবেচনা করার বুদ্ধি দিয়েছেন। মানুষকে তিনি আবিষ্কার করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং বলেছেন, “তোমাকে স্বাধীন বানালাম। তুমি যদিও আমার বান্দা তবুও তোমাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিলাম, তুমি যাতে পছন্দ করতে পারো (কোনটি সঠিক, কোনটি বেঠিক)। তুমি দুনিয়ায় যাও, আমার ইবাদত করো এবং আমার সন্তুষ্টি অর্জন করো।”


গত ৫ই জানুয়ারি বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর এ কথা বলেন।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, হযরত আদম (আ.)-এর সূচনা থেকে মানুষ আসা শুরু করলো। দিনে দিনে আদমের পরে হাবিল কাবিল এলো। হাবিল কাবিলের পরে আস্তে আস্তে আরও মানুষ বাড়তে থাকলো। এই যে মানবকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং এই লম্বা সময় ধরে তাকে বসবাস করার জন্য একটি গ্রহ দিয়েছেন, যার নাম পৃথিবী। পৃথিবীকে মানুষ থাকার উপযোগী করে দিয়েছেন। যদি চন্দ্রের মতো বা মঙ্গল গ্রহের মতো অক্সিজেন না থাকতো, আপনি-আমি বাঁচতে পারতাম? যদি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকতো, তাহলে কি আপনি আমি জমিনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না-কি বাতাসে উড়ে যেতাম? মানুষকে থাকার মতো একটি আবাসস্থল ‘পৃথিবী’ তৈরি করে দিয়েছেন এবং এই পৃথিবীতে মানুষকে বসবাসের জন্যে গাছ-পালা, তরু-লতা, পাহাড়-পর্বত সব দিয়েছেন। তারপরে মানুষকে জগতে ছেড়ে দিয়ে বলেছেন, আমি তোমার সৃষ্টিকর্তা, আর তুমি আমার বান্দা অর্থাৎ তুমি আমার গোলাম। শেষ করেননি।” এবার বলেছেন, “তোমাকে আমি বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান সব দিলাম। এবার তুমি আবিষ্কারক হতে পারবে অর্থাৎ তুমি ইনভেন্টর হতে পারবে৷ কিন্তু তুমি সৃষ্টি করতে পারবে না। সব আমার সৃষ্টি। এই গাছপালা, লোহা ইত্যাদি সব আল্লাহর সৃষ্টি। আমরা শুধু গাছ কেটে তক্তা বানাতে পারি, এটি হলো আবিষ্কার। এই লোহা কি আমরা সৃষ্টি করতে পারি? খনিজ সম্পদ, আমরা আহরণ করি এবং সেটাকে গলিয়ে আমরা আমাদের মতো করে ব্যবহার করতে পারি। আমরা কোনো কিছুই পৃথিবীতে সৃষ্টি করতে পারি না। আমরা সৃষ্টির ১০টি জিনিস একত্রিত করে নতুন একটি জিনিসকে আবিষ্কার করতে পারি। এজন্যে আল্লাহ্কে বলা হয় ক্রিয়েটর, আর বান্দাকে বলা হয় ইনভেন্টর। আল্লাহ্ সৃষ্টিকর্তা আর বান্দা হচ্ছে আবিষ্কারক। আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়টি তিনি নির্ধারণ করেছেন ২০ বছর, ৩০ বছর, ৫০ বছর, ৬০ বছর, ৭০ বছর, ৮০ বছর, কারও ৬ মাস, কারও ৬ দিন, কারও ৬ মিনিট, কারও ৬ সেকেন্ড….। তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং মৃত্যুর পরে আল্লাহ্র কাছে ফিরে যাবো। এই আসা এবং যাওয়ার একটি সময়ও তিনি নির্ধারণ করেছেন। আপনার আমার সকলের একটি সময় নির্ধারিত আছে। আপনি-আমি জানি অথবা না জানি, যেদিন সময় আসবে, সেদিন থেকে এক মুহূর্ত পরেও আপনি মৃত্যুবরণ করবেন না। যেদিন সময় আসবে, তার এক মুহূর্ত আগেও আমি মৃত্যুবরণ করবো না। নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্টক্ষণ, নির্দিষ্ট অবস্থায় আমাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে এবং এই নির্ধারণের যাত্রা তিনি তৈরি করেছেন।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আল্লাহ্ বলেছেন, আমি তোমাকে স্বাধীনভাবে জমিনে ছেড়ে দিলাম। তুমি তোমার মতো বিবাহ করতে পারো, তোমার মতো সংসার করতে পারো, তোমার মতো চাকরি করতে পারো, তোমার মতো ব্যবসা করতে পারো, তুমি তোমার মতো সবকিছু করতে পারো। কিন্তু আমার জন্য তোমাকে একটি জিনিস করতে হবে। আল্লাহর জন্য একটি জিনিস করতে হবে। কি সেটি? আমার সন্তুষ্টি অর্জন কর। এই আমি কে? আল্লাহ্। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। যারা এই সন্তুষ্টি অর্জনের পথে হেঁটেছেন তাদের ধার্মিক বলা হয়ে থাকে। যারা হাঁটেননি, তারা ধার্মিক নয়। ধর্মকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি। অনেক আলেম ওলামা অনেক কঠিনভাবে ব্যাখ্যা করে। আমি এতো কঠিনভাবে ব্যাখ্যা করতে চাই না। কারণ আমাদের সবার জ্ঞান, যোগ্যতা তো একরকম নয়। কেউ মাস্টার্স পাশ, আবার কেউ ফাইভ পাশ। আমি কঠিন করে বললে সবার জন্য সহজতর হবে না। তাহলে এই যাত্রাকে আল্লাহ্ নির্ধারণ করেছেন যে, তোমাকে দুনিয়াতে পাঠালাম। ফুটবল খেলার জন্য সময় ৯০ মিনিট, আর আল্লাহ্ জগতে আমাদের খেলার জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন তার মতো করে। সবকিছু তিনি দিয়েছেন। খাবারের জন্য দেখুন জমিনকে তিনি বলে দিয়েছেন, “হে জমিন! তুমি উর্বর হয়ে যাও।” যে দেশে মরুভূমি সে বোঝে শস্যের মূল্য কেমন? মরুভূমির বেদুঈনদের দেখুন, তারা বুঝে এই জমির শস্যের মূল্য কত। একটি রুটি তারা ভাগ করে খায়। আল্লাহ্ কি আমাদের এর চেয়ে ভালো রাখেননি? জমিনে দানা ফেলে দিলে জমিন থেকে গাছ উঠে আসে। আল্লাহ্ তাহলে সুযোগ দিয়েছেন, “হে মানুষ, তোমাকে সুযোগ দিলাম এবং জমিনকে নির্দেশ দিলাম, তুমি উর্বর হয়ে যাও, যাতে মানুষ এখান থেকে শস্য উৎপাদন করে নিজের জীবন ধারণ করতে পারে।”


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আজ যদি মনে করেন, বাংলাদেশে (আল্লাহ্ না করুক, আল্লাহ্ মাফ করুক) এক বছরের জন্যে খরা হয়ে যায়, বৃষ্টি না হয়; জমি যদি শুকিয়ে যায়। কি বলুন দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যাবে না? অনেকে বলেন না যে, ৫০ টাকা চাল হয়ে গিয়েছে? দুর্ভিক্ষ লাগলে ৫ হাজার টাকা নিয়ে ঘুরলেও ১ কেজি চাল পাওয়া যাবে না। এই টাকা তখন কি? কাগজ। সত্য, না মিথ্যা বলুন? একবার ভাবুন! মালিক যদি বলেন, “জমিন তুমি উর্বরতা বন্ধ করে দাও।” এই টাকা বাতাসে উড়বে, আপনার কোনো কাজে আসবে না। দেখেন আল্লাহ্ কত দয়ালু! তিনি আপনার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন, আমার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। শুধু কি আপনার-আমার জন্য করেছেন? যিনি নাস্তিক তার জন্য করেননি? যিনি তাকে মানেন না, তার জন্য করেননি? যিনি তাঁর অস্তিত্বকে স্বীকার করেন না, তার জন্য করেননি? দেখুন, তিনি কতটুকু দয়ালু! আস্তিক, নাস্তিক সবাইকে তিনি সুযোগ করে দিয়েছেন, এই জমিন উর্বর করে আমাদের খাওয়ার জন্য। আল্লাহ্ কতটুকু দয়ালু! কত কষ্ট দেওয়ার পরেও মালিক আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করছেন, মালিক আমাদের থাকার ব্যবস্থা করছেন, মালিক আমাদের মেঘ দিয়ে ছায়া দিচ্ছেন। শীতকাল, গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল দিয়ে তিনি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। অথচ দিন শেষে আমরা একবারও তাঁর শুকরিয়া করি না। চিন্তা করুন যে মালিক আপনাকে-আমাকে সৃষ্টি করলেন, তাঁকে কয়বার ধন্যবাদ বলেছি? শুকরিয়া করেছি? আল্লাহ্ তোমাকে কত কষ্ট দিয়েছি; তোমার সাথে নাফরমানি করেছি, তবুও তুমি আমাকে সবকিছু দিয়ে আজও বাঁচিয়ে রেখেছো। শুধু গাছকে যদি তিনি বলে দিতেন, তুমি অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দাও? যদি পৃথিবী থেকে ১ ঘন্টার জন্য অক্সিজেন চলে যায়, আমাদের কি আর যাওয়ার জায়গা আছে? পৃথিবী যে ঘূর্ণন করে, পৃথিবী মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে ঘোরে। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণন করে, এখন যদি পৃথিবীকে বলে তুই আর ঘুরবি না? ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে? আপনার আমার অস্তিত্ব থাকবে? যে আল্লাহ আমার সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা, পালনকর্তা, যিনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, খাওয়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন তাঁকে কয়বার শুকরিয়া করেছি?


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমি আপনাকে আল্লাহ্কে পাওয়াতে পারি। আমি ঐ বিদ্যা জানি, যে বিদ্যায় আপনি যদি চলেন, মানেন আপনি মালিককে পাবেন। কিন্তু আপনাকে চলতে হবে। আমি পথ দেখাতে পারবো, চালাতে পারবো না। চলতে হবে আপনাকে। তাই সৎ কাজ করুন, অন্যায় থেকে নিজেকে দূরে করুন, নিজেকে চরিত্রবান বানান, আল্লাহর হুকুম-আহ্কাম মেনে চলুন। নিজেকে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর পথে ধাবিত করেন। আজ আপনি আলোকিত, আমি কাল আপনাকে অন্ধকারে দেখতে চাই না। আজ আপনি আনন্দিত, কাল আপনাকে আমি কষ্টদায়ক রূপে দেখতে চাই না। আজ আপনি খুশি, কাল আপনার কষ্টের যন্ত্রণা আমি দেখতে চাই না। এজন্য আপনাদের আলোর পথে আহবান করি, আলোর পথে আসুন। নিজেকে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর পথে ধাবিত করুন। যারা নিজেকে আলোকিত করতে পারবেন, তারা এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমি আমার পতাকা আপনার হাতে দিতে চাই। আমি আমার সিনা থেকে একখানা নুর আপনার সিনায় দিতে চাই। আপনি যদি নিজের সিনাকে তৈরি না করেন এই নুর রাখতে পারবেন না। তাই আপনাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ! আসুন, আমরা সবাই চরিত্রবান হই, নিজেকে আলোকিত করি। মোহাম্মদী ইসলাম সার্থক সেদিন, যেদিন আপনি নিজেকে আলোকিত করতে পারবেন। আর নয়তো আমি আসবো, আমি যাবো; আমার পরে আরও একজন আসবেন, আরও একজন যাবেন, তারপরে আসবেন আর যাবেন…. এই আসা যাওয়াই থেকে যাবে। আপনি আলোকিত হবেন না। ছাত্র যদি না পড়ে, শিক্ষক ছাত্রকে পাশ করাতে পারে না, যতক্ষণ ছাত্র নিজে না চায়। না পড়লে তো আর আমি জোর করে পড়াতে পারবো না। তাই আসুন, আমরা সবাই আলোকিত হই।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। আমি আমার পক্ষ থেকে আমার মোর্শেদের শুভ জন্মদিন স্মরণে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনে আপনাদের সবাইকে যোগদানের উদাত্ত আহবান জানাই। দেশে-বিদেশের আশেকে রাসুলেরা এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। আমরা যারা রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসি, আমরা যারা মোর্শেদকে ভালোবাসি, এটি হবে আমাদের মিলন মেলার অনুষ্ঠান। সম্মেলেনে এলাকা থেকে জাকেরদের একত্রিত করে, নতুন মানুষ একত্রিত করে বাস নিয়ে আসবেন। এলাকায়-এলাকায় প্রচারের কাজ শুরু করুন। দাওয়াতের কাজ শুরু করুন। এই সম্মেলন আপনার-আমার পরীক্ষার দিন। সারা বছর কি কাজ করলাম, সারা বছর মোর্শেদের জন্য কতটুকু করলাম, হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্য কতটুকু করলাম, আল্লাহর জন্য কতটুকু করলাম সেই পরীক্ষা দিবো ২৩শে ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় বেশি নেই। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের তৗফিক দান করুন।


পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *