বিশেষ সংবাদদাতা: হযরত রাসুল (সা.) যে যুগে এসেছিলেন সেইযুগ ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। যে যুগে নারীরা নিরাপদ ছিল না। আপনারা সকলেই জানেন, হযরত রাসুল (সা.)-এর যুগে যদি নারী সন্তান জন্মগ্রহণ করতো তাহলে তৎকালীন সময়ের মানুষ তাকে জীবিত কবর দিতো। নারী সন্তান অর্থাৎ যদি নারীরা দাস হতো তারা ধর্ষিত হতো, নারীদের কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না। সেই জায়গা থেকে আল্লাহর রাসুল (সা.) নারীদের মর্যাদাবান বানানো এবং পুরুষকে চরিত্রবান বানানোর লক্ষ্যে মূলত এই পর্দার বিধানকে শক্তভাবে ব্যবহার করেছেন। প্রথমত যে পুরুষরা তাদের কামরিপুর দ্বারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা যাতে নিজেরা সংযমিত হতে পারে সেজন্যে পুরুষ-শাসিত সমাজে নারীদের তিনি পর্দায় আবদ্ধ করেন। যার ফলে নারীরা রক্ষা পায় এবং তাদের মধ্যে যারা অসংযমী আচরণ করে তারা যাতে পর্দার মধ্যে থেকে নিজেদের সংযমী করে চরিত্রবান হওয়ার পথে ধাবিত করেন সেজন্যে মূলত এই পর্দার বিধান মুসলমান ধর্মে প্রচলিত আছে। যাতে পুরুষকে সংযমিত রাখার পাশাপাশি নারীরাও নিজেদের সংযমী রাখতে পারে।
গত ২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জামানায়ও পর্দার বিধান ছিল। তখনকার পর্দা আর এখনকার পর্দার মধ্যে পার্থক্য আছে। দেখুন, আমাদের দেশের এক একজনের এক একরকম ড্রেস। আমরা যারা এশিয়ায় আছি তারা সালোয়ার-কামিজ বেশি পরি, শাড়ি বেশি পরি। এটা আমাদের পোশাক হয়ে গিয়েছে। এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন হযরত রাসুল (সা.)-এর জামানায় সেই শাড়ি আর সালোয়ার-কামিজ ছিল সেটা ঠিক হবে না। তখনকার বেশিরভাগ জামাগুলো ছিল লম্বা-চওড়া। নারীরা পর্দা করতেন সাধারণত একটি বড় কাপড়ের মাধ্যমে ঢেকে রাখতেন যাতে নিজের দেহের গঠন দেখা না যায়। সেই পর্দার বিধানগুলোই যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে এসেছে। সেই দেশে এসে সেই দেশের কালচারের সাথে মিলে পর্দার বিধান তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশেকে রাসুল ভাই ও বোনেরা নিজেদের সংযমী রাখার বিদ্যা শিক্ষা করবো এই মোহাম্মদী ইসলাম থেকে। নিজেকে সংযমী রাখার জন্যে শুধু নারীদের পর্দায় আটকালে কি নিজেকে সংযমী রাখা যায়? তা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি আসলে পর্দা যেমন মোহাম্মদী ইসলামে জরুরি পাশাপাশি চরিত্রবান হওয়া তার চেয়ে বেশি জরুরি। আপনি যদি চরিত্রবান না হন আর শুধু পর্দা-পর্দা করেন তাহলে শুধু পর্দাই লাভ করতে পারবেন, কিন্তু পর্দার ভিতরে শয়তানি বন্ধ করতে পরবেন না। আমরা পর্দা রক্ষা করবো এবং নিজেকে চরিত্রবান বানাবো। আপনারা জানেন আমরা এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম-এর কার্যক্রম শুরু করেছিলাম মোর্শেদের জীবদ্দশায়। মোর্শেদের জীবদ্দশায়ই আমি অনলাইনে জাকের বোনদের একত্রিত করেছি এবং আপনারা অনেক আশেকে রাসুল ভাই-বোনদের মোর্শেদ কেবলাজানকে অনলাইনে সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে এবং সেটা মোর্শেদ নিজে অবগত এবং তিনিও আপনাদের দেখেছেন৷ তাহলে আজকে আশেকে রাসুল ভাই ও বোনেরা যারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আসেন তারা মোর্শেদের জীবদ্দশায় অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তাহলে অবশ্যই এই বিষয়টি মোর্শেদ দ্বারা স্বীকৃত এবং ইহাতে যেমন শরিয়তে কোনো সমস্যা নেই এবং মোহাম্মদী ইসলামেও কোনো অসুবিধা আছে বলে আমি মনে করি না। সূফী সম্রাট শাহ্ দেওয়ানবাগী নিজেও আশেকে রাসুল বোনদের অনলাইনে আসার জন্যে অনুমোদন দিয়েছিলেন। ঘটনাটি ছিল এই রকম, বিপথগামী তাহমিনা যখন দরবার শরীফ থেকে বিতাড়িত হয়ে যাওয়ার পরে সে বিভিন্নভাবে আমাদের আশেকে রাসুলবোনদের মিরপুরে দাওয়াত দেওয়া শুরু করলো এবং তারা মোর্শেদের ব্যাপারে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা শুরু করলো। তারা তখন বলতে লাগলো যে, শাহ্ দেওয়ানবাগীর মাথা ঠিক নেই; তার মাথা কার্যকর নয়; তিনি অসুস্থ। বিভিন্নভাবে মোর্শেদ কেবলাজান সম্পর্কে অপপ্রচার করা শুরু করে। বোনদের যেহেতু করোনা মহামারির কারণে দরবার শরীফে আসা বন্ধ ছিল পাশাপাশি তারা তাহমিনার বেড়াজালে পড়ে যায়। তারা মোর্শেদ কেবলাজানকে সরাসরি দেখতে পারছিলেন না। ঐ সময় আমরা আমাদের বোনদের দাওয়াত করলাম যে আপনারা আসুন। আপনারা একটু দরবারে সময় দিন, তাহমিনা মোর্শেদ কেবলাজানের বিরুদ্ধে এ রকম আচরণ করছে। আমি কুদরত এ খোদা সেই ব্যক্তি যিনি মোর্শেদের আদর্শে নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। তখন আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম, জাকের বোনদের আমি অনলাইনে আনবো। আমি মোর্শেদ কেবলাজানের কদমে হাজির হলাম। হাজির হয়ে বললাম, মালিক আমি বোনদের অনলাইনে আনতে চাই। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। হেসে বললেন, এই ব্যাটা এটা নিয়ে সমালোচনা হবে না! আমি বললাম, আপনার এই জীবনে সমালোচনা কি মানুষ কম করেছে? এই আশেকে রাসুলদের মোর্শেদ কে? আপনি, শাহ্ দেওয়ানবাগী; বাবা আপনি নিজে! বললেন, হাঁ আমি। আমি বললাম, বোনদের মোর্শেদ কে? বললো, আমি। আপনার মুরিদ যদি আজকে তাহমিনার প্ররোচনায় পড়ে ইমানহারা হয়ে যায় এই দায়-দায়িত্ব কার কাছে? বললো, আমার কাছে। তো আপনি কি ঐ সমালোচনার ভয়ে আপনার মুরিদদের জলে ভাসিয়ে দিবেন? কালকে যদি আপনার মুরিদ আপনার কাছ থেকে সরে গিয়ে বিপক্ষে দাঁড়ায়; আল্লাহর আদর্শ থেকে সরে যায়! একটি জাকের বোন আপনার দিকে তাকিয়ে ২০ বছর তরিকা করলো। এই ২০ বছর তরিকা করতে গিয়ে মায়ের গালি শুনেছে; নিজের বোনের গালি শুনেছে; নিজের প্রতিবেশীর গালি শুনেছে। আজকে সেইসব কষ্টসহ্য করেও আমার বোনেরা আপনার প্রতি ইমান রেখে দাঁড়িয়ে থাকলো। আজকে আপনার এক মেয়ের চক্রান্তের বেড়াজালে পড়ে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে, আপনি কি তা হতে দিবেন? মোর্শেদ কেবলাজানের দুই চোখ দিয়ে দেখি অশ্রু বিসর্জিত হচ্ছে। আমি বললাম, এই সপ্তাহ থেকে আমি তাদের অনলাইনে আনবো, আপনি দয়া করে অনুমতি দিন! তিনি বললেন, আনো কোনো অসুবিধা নেই। এই আপনাদের আমরা তখন থেকে অনলাইনে নিয়ে আসি। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে মহান আল্লাহর বদৌলতে।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমি আপনাকে একটি সহজ কথা বলি, মানে আপনি যদি আগে দরবার শরীফে নালিশ দিতে এসেছেন প্রথমে আপনার বাড়ি হলো কুমিল্লা (উদাহরণ দিচ্ছি)। কুমিল্লা থেকে আপনাকে দেড়শ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসতে হয়েছে। ৪/৫ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে; ২/৩ ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। সারাদিনের জন্য ছেলে-মেয়েকে রেখে চাকরি-বাকরি বন্ধ করে আসতে হয়েছে। যখন নালিশে বসেছেন তারপরে ধাক্কার চোটে ২ লাইন বলতে পেরেছেন বা পারেন নি, ঠিক আছে আপনার নালিশ শেষ। এভাবেই তো জীবনভর নালিশ দিয়েছেন। ঠিক আছে, মেনে নিয়েছি এটা সহীহ্। এতে কোনো সমস্যা নেই সেটা যদি হয় ১০০ আশেকে রাসুল নালিশ দিতে আসেন। কিন্তু এখন যদি ১ হাজার আশেকে রাসুল নালিশ দিতে আসেন তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব? আপনি কি মনে করেন, তাদের কথা শোনা সম্ভব? আমি আপনাকে আজকে একটি উদাহরণ দেই। বাবাজানের জীবদ্দশায় আমি নালিশ নিতাম, মাত্র এক দিন। এখন যেমন একদিন নেই মোর্শেদের জীবদ্দশায়ও নিতাম। আমার কর্মীরা জানে, শুক্রবার দিন ওনাদের নালিশ দেওয়ার সুযোগ ছিল। আমার নিয়ম একটু কঠিন ছিল যে, বাবাজানের মোনাজাতের পর থেকে ৪টার মধ্যে যারা আসবে শুধুমাত্র তাদের নালিশ নিবো। আর জিজ্ঞেস করে দেখুন ১ মিনিট কথা বলার জন্যে মানুষের ধাক্কাধাক্কির কি অবস্থা শুধু নালিশ দেওয়ার জন্য। এখন দেওয়ানবাগীর মুরিদ সন্তান ৩ কোটি হয়েছে, ৩ কোটি মুরিদ সন্তান থেকে মনে করুন নালিশ দেওয়ার জন্যে প্রতি সপ্তাহে এক- দেড় হাজার লোক এসে হাজির হচ্ছে। আপনি কি মনে করেন, এক-দেড় হাজার লোকের নালিশ নেওয়া সম্ভব? আপনার বাড়িতে আপনি ১০ জনের সাথে কথা বলতে কাহিল হয়ে যান, আপনি কিভাবে আশা করছেন আমি ১ হাজার লোকের সাথে কথা বলতে পারি? তাও আমার বাসায় বসে। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, একে সহজভাবে কি করা যায়? তখন জাকের ভাই ও বোনদের এই নালিশের মসিবত থেকে বের হওয়ার জন্যে তাদের এই নালিশকে সহজ লভ্য করতে আমি এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থা করলাম। এতে আপনার গাড়ি ভাড়ার প্রয়োজন হচ্ছে না, আপনি যাতে বাসায় বসে শুধু লিংক-এ সংযুক্ত হয়ে আপনার জরুরি নালিশ আমার কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং আমি আপনাকে সহজভাবে একটি সমাধান দিতে পারি। দেখুন, নালিশ বলার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম আছে। আপনি চাইলে মোরাকাবায় বসে মোর্শেদের অসিলা ধরে আল্লাহর কাছে নালিশ বলতে পারেন এবং তার জন্য একটি মানত নির্ধারণ করতে পারেন, কোনো অসুবিধা নেই।
পর্দা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, অনলাইনে মেজো হুজুরের সামনে এসেছেন মানে মেজো হুজুরের পর্দা নষ্ট হয়ে গেছে আর আপনার পর্দা নষ্ট হয়ে গেছে। একটি কথা বলি! আপনি যখন ডাক্তারের কাছে যান; ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন তখন কী আপনার পর্দা নষ্ট হয় না? আপনি যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটেন শত-শত পুরুষ মানুষ আপনাকে দেখে তখন কী আপনার পর্দা নষ্ট হয় না? পর্দা হচ্ছে সংযমী করার নাম; পর্দা চরিত্রবান হওয়ার নাম; পর্দা আত্মশুদ্ধি ব্যক্তির নাম। দেহের পর্দা যেমন জরুরি, তেমনি রিপুগুলোর ওপরে পর্দা ফেলা জরুরি। রিপুর ওপরে পর্দা না ফেলে শুধু দেহের উপরে পর্দা ফেললে রিপুগুলোর দ্বারা তো ঐ পর্দার নিচে এর চেয়ে বেশি বেশি পাপ কাজ করবেন। আশেকে রাসুলদের ২টি পর্দা করতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্যে পর্দা হচ্ছে শুধুমাত্র দেহের পর্দা আর আশেকে রাসুলদের জন্যে পর্দা হলো ২ রকম। একটি দেহের পর্দা, অপরটি রিপুর পর্দা। রিপুর উপরে পর্দা ফেলে দিয়ে রিপুকে ঢাকতে হয়; নিজের আত্মাকে সংযমী করতে হয়; নিজেকে চরিত্রবান বানাতে হয়। আপনাদের কাছে আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই, আপনারা যদি নিজেদের সংযমী না বানান শুধুমাত্র দেহের পর্দা করে, না আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি পাবেন, না আপনি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। তাই দেহের পর্দার পাশাপাশি অন্তরের পর্দাও আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আপনারা (জাকের বোনরা) আসুন অনলাইনে। আমি বর্তমানে হেদায়েতপ্রাপ্ত মহামানব, আমি আপনাদের হেদায়েত করার জন্যে এসেছি। আপনি আমার কাছে না আসলে হেদায়েত পাবেন কোথা থেকে? আমার কথা না শুনে হেদায়েতের জ্ঞান কোথা থেকে লাভ করবেন? আমি এখানে বসে আপনাকে চরিত্রবান হওয়ার বিদ্যা শিক্ষা দিচ্ছি। আমি কি আপনাদের মন্দপথে ধাবিত করছি না-কি আল্লাহর পথে ধাবিত করছি? আর একটি বিষয় হচ্ছে সমালোচনায় যাবেন না। মোর্শেদের আওলাদ আমরা কাউকে ছোট করবো, এটি আমাদের কাজ নয়। আমরা আজকে সমালোচনায় নিজেকে মগ্ন না করে নিজেকে চরিত্রবান হতে হবে এর নাম মোহাম্মদী ইসলাম। মহান মালিকের অপার দয়ার বদৌলতে আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছি। আমি আপনাদের নিয়ে গর্ব করি। আজকে আমাদের জাকের বোনদের তাদের ঘরের ভিতরে রাখার জন্যে ব্লেম (তিরষ্কার) করা হয়। আমি বলতে চাই, এই বোনদের কারণে আমরা আজকের মোহাম্মদী ইসলাম পেয়েছি। এই বোনেরা যদি না থাকতো মোহাম্মদী ইসলাম কারবালার প্রান্তরে ধ্বংস হয়ে যেতো। ইমাম হোসাইন (রা.)-কে যখন কারবালার প্রান্তরে হত্যা করা হয়। এই বোনেরাই ইমাম হোসাইনের মাথা মোবারক নিয়ে মিশরে গমন করেন এবং সেখানে গিয়ে আবার একটি খানকাহ্ শরীফ প্রতিষ্ঠা করে সেখান থেকে আবার মোহাম্মদী ইসলামের ধারাকে সূচনা করেন। তাহলে বোনদের ভূমিকা মোহাম্মদী ইসলামে অনেক বেশি। একজন পুরুষের চাইতে সমাজে আপনারা অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ হচ্ছে আপনি হলেন মা, আপনি হলেন বোন, আপনি হলেন স্ত্রী, আপনি হলেন বাসার ঠান্ডা মাথার মানুষটি। আপনার এই বন্ধনে আপনি সবাইকে ধরে রাখেন। আপনি যখন সন্তান জন্ম দেন আপনি তখন মায়ের বন্ধনে সবাইকে ধরে রাখেন; আপনি যখন ছোট থাকেন বোনের বন্ধনে সবাইকে আগলে ধরে রাখেন। আপনার মতো ভূমিকা এই জগতে আর কারো নেই। আপনি যদি নিজেকে চরিত্রবান বানান, আল্লাহর কসম আপনাকে দেখে পুরোপরিবার চরিত্রবান হয়ে যাবে। তাই আমার বোনদের কাছে অনুরোধ করি, চলুন না, আমরা সবাই আল্লাহ্ ও রাসুলকে পাওয়ার জন্যে সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করি। শাহ্ দেওয়ানবাগীর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে শুধু পুরুষরা পারবে না। পুরুষ এবং নারী আমরা উভয়ে যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রসর হই তাহলেই মোহাম্মদী ইসলাম অগ্রসর হবে। তবে সংযমী আচরণ করে, পর্দার মধ্যে থেকে যাতে আমাদের নিয়ে সমালোচনা না হয় এবং আপনিও এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনি আল্লাহর কাছে জবাব দিতে না পারেন সেই কথা খেয়াল রেখে। আমি আপনাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই আমরা সবাই যাতে চরিত্রবান হয়ে আল্লাহ্ ও রাসূলের পথে নিজেকে ধাবিত করতে পারি মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই তৌফিক দান করুক।
পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।