ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিশেন (আইওআরএ)
দেওয়ানবাগ ডেস্ক: ঢাকায় শেষ হলো ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৩ দেশের সংগঠন ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিশেন (আইওআরএ) বিজনেস ফোরামের লিডারশিপ সামিট। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সদস্য দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সমাপনী অধিবেশনে গত সোমবার প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার সঙ্গে কাজ করতে চায়। আঞ্চলিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে।’ সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের ডেপুটি প্রধান ব্রেন্ড স্পেনিয়ার, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি নুকুথুলা নকি এনডিলোভু এবং ফোরামের চেয়ারপারসন শেখ ফজলে ফাহিম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। কিন্তু আমি ব্যবসা করব আর আপনি দরজা বন্ধ রাখবেন, এটা হবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সহজ করতে হবে। এজন্য এক দেশের নাগরিকের অন্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা ইস্যুসহ জটিল বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে। কারণ যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। সম্পদ বাড়বে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি নুকুথুলা নকি এনডিলোভু বলেন, বৈশ্বিক সংকট কাটাতে কানেক্টিভিটির ওপর জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পূর্বাভাস আসছে, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা আসছে। এ সময়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ২.৭ শতাংশে নেমে আসবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জরুরি।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘দুই দিনের আলোচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু পণ্যের তালিকা হবে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব। ’ তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে মুদ্রার বিনিময়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশে যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ পড়েছে, সেই চাপ কতটুকু কমানো যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মধ্যে যাচ্ছি। ’
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়াতে ১৯৯৭ সালে গঠন করা হয় আইওআরএ। বর্তমানে এর সদস্য দেশ ২৩টি। সংগঠনটির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বিজনেস ফোরামের সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এই জোটের সদস্যদের সম্মিলিত অর্থের আকার ২০.৫ ট্রিলিয়ন ডলার।