দেওয়ানবাগ ডেস্ক: ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প একটি দর্শন। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ যাবে, সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে, আধুনিক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগব্যবস্থা হবে, কৃষি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন হবে এবং লাভজনক হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে নাগরিক টিভি আয়োজিত ‘বসবাস যোগ্য ঢাকা কত দূর?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ফজলে রেজা সুমন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল হুদা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং স্থপতি ইকবাল হাবিব।
তাজুল ইসলাম বলেন, এ ছাড়া কর্মসংস্থান তৈরি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, বাজার ব্যবস্থাপনাও আধুনিকায়ন করা হবে। এতে করে শহরমুখী মানুষের ঢেউ কমে আসবে এবং ক্রমেই ঢাকার বাস যোগ্যতা বাড়বে। এ ছাড়া ঢাকাকে আরও বেশি বাসযোগ্য করতে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করাও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আলোচনায় অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, বাসযোগ্য ঢাকার স্বার্থে আমাদের যে ড্যাপ করা হয়েছে তাতে গণপরিবহন বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো সমাধান নাই। মেট্রোরেলের আশপাশের এলাকা নিয়ে ড্যাপে বিশেষ পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল। এ ছাড়া ঢাকা শহরের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে যদি মেট্রোরেলের সংযোগ দেওয়া যায় তাতেও শহরের ওপর মানুষের চাপ কমবে।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে নতুন এই ড্যাপে প্রথমবারের মতো জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য আবাসিক ভবনের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ঢাকা শহরে মানুষের চাপ কমে ও বাস যোগ্যতা বাড়ে। এটি করতে গিয়ে ড্যাপে এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিওর (এফএআর) মান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ড্যাপে এফএআরের যে মান দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ভবনের উচ্চতা আগের চেয়ে কমে আসবে। ফলে ঢাকায় বাসস্থানের সংকট তৈরি হবে।