দেওয়ানবাগ ডেস্ক: দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে প্রায় ২৪ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর। এই জনগোষ্ঠী ৭ বছরের বেশি বয়সী। অবশ্য প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার আরও কম।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাক্ষরতার হার ও দিবস উদ্যাপনের তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে সাক্ষরতার হারের তথ্য জানান তিনি। সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপনের তথ্য জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অবশ্য সার্বিকভাবে সাক্ষরতার হার বেশি হলেও প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার আরও কম। বিবিএসের প্রায়োগিক সাক্ষরতা জরিপ-২০২৩ এর তথ্য বলছে, ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৩ শতাংশ। আর ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের এই হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন তারা এই হার শতভাগ অর্জন করতে চান।
ইউনেসকোর সঙ্গে মিল রেখে এবার বাংলাদেশে সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।