বাণিজ্য ডেস্ক: করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও ভুগছে। এমনকি বিদ্যুৎ সংকট ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যানশিয়াল টাইমসে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশকে নানা ধরনের দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে জর্জ সরস পরিচালিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস-এর প্রধান মার্ক ম্যালোক ব্রাউন বলেন, ‘এই সংকট বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও মডেলের দেশগুলোকে বিপদে ফেলছে। গার্মেন্টশিল্পের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যান্য জায়গার অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ধসে পড়ছে। ’
দুই দশকের মধ্যে গত মে মাসে শ্রীলঙ্কা প্রথম এশিয়া-প্যাসিফিক দেশ হিসেবে ঋণখেলাপি হয়। পাকিস্তানের অবস্থাও আরো খারপ হচ্ছে। যদিও দেশটি আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে, যা তাকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। ছোট্ট দেশ নেপাল এবং মালদ্বীপও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ধাক্কা থেকে সুস্থ আছে, যার বড় কারণ এর সফল রপ্তানি খাত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রিজার্ভ বাড়ানো ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় সহায়তার জন্য আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করেছেন।