হৃদয়ে আল্লাহর সুপ্ত নুর জাগ্রত করতে পারলে আপনি হবেন প্রকৃত
বিশেষ সংবাদদাতা: মহান মোর্শেদের অপার দয়ার বদৌলতে আজ মহান বিজয় দিবসে আমরা বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে উপস্থিত হয়ে মহান বিজয় দিবস ও মোজাদ্দেদিয়াত দিবস একসাথে পালন করার সুযোগ পেয়েছি। শুকরিয়া জ্ঞাপন করি মহান রাব্বুল আলামিনের নুরানিময় কদম মোবারকে। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, লালন করছেন, পালন করছেন; যার দয়ায় এবং কৃপায় আমরা বেঁচে আছি। শুকরিয়া জ্ঞাপন করি রাহমাতুল্লিল আলামিন দয়াল রাসূল (সা.)-এর নুরানিময় কদম মোবারকে। যার ডাকে সাড়া দিয়ে, নিজেকে তার উম্মত হিসেবে তাঁর আদর্শে আদর্শবান হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। শুকরিয়া জ্ঞাপন করি আমাদের মহান মোর্শেদ কেবলাজানের নুরানিময় কদম মোবারকে। যিনি ১৪শ বছর পরে পুনরায় আশেকে রাসুলের ডাক দিয়েছেন। আমরা রাসুলের জামানায় আসিনি, নবি মোহাম্মদ কেমন ছিল দেখিনি অথচ তার কথা শুনে আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজেকে চরিত্রবান বানিয়েছি, নিজেকে রাসুলের প্রেমিক হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।
গত ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের মোজাদ্দেদিয়াত বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনায় মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন-আজ আমরা একসাথে ২টি অনুষ্ঠান পালন করছি মহান বিজয় দিবস এবং মোজাদ্দেদিয়াত দিবস। ৯ মাসের যুদ্ধে লক্ষ মায়ের বুক খালি হয়েছে, লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হয়েছেন; লক্ষ ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; লক্ষ মানুষের লাশের হদিস খুঁজে পাওয়া যায়নি,বাবা-মা সন্তানের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পারেনি। এই যুদ্ধ কোনো ছোট-খাটো যুদ্ধ নয়। নিজের দেশকে স্বাধীন করতে পারার সৌভাগ্য সবার হয় না। আর ঐ স্বাধীনতায় নিজের দেশের জন্য যুদ্ধ করার সৌভাগ্য সবার হয় না। মুষ্টিমেয় সৌভাগ্যবান মানুষেরা এই সম্মান পান এবং এই কাজ তাদের ওপরে ন্যস্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান, গর্বিত সন্তান। যারা নিজের জীবনকে বাজি লাগিয়ে বন্দুকের গুলি, মিসাইল, বোমা, কামান, গ্রেনেডের সামনে দাঁড়িয়ে সহজ কথায় আত্মহুতি দেওয়ার মতো কাজে নিয়োজিত হয়েছেন। এটা সকলের পক্ষে সম্ভব না। আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি তাদের যারা এই মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, আমার মালিক যেন তাদের ক্ষমা করে দেন; তাদের মাফ করে দেন। যুদ্ধ পরবর্তীতে সকল মুক্তিযোদ্ধারাও প্রতিনিয়ত চলে যাচ্ছেন, তাদের জন্যেও আমরা মালিকের কাছে সাহায্য চাই, আমার মালিক যেন দয়া করে তাদেরকেও মাফ করে দেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন-মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় কথা। যদি মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশে যুদ্ধ না করতেন আজ আপনি আমি বাংলাদেশ বলতে পারতাম না; আজ বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা হতো না; আজও পূর্ব পাকিস্তান নামে আমাদের নিজেদের পরিচয় দিতে হতো। আজ আমরা বাংলা ভাষা বলি, আজ বাংলায় কথা বলি। ৫২-এর থেকে বাঙালি জাতি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যদি শহিদ না হতেন, নিজের জীবনকে উৎসর্গ না করতেন আমরা বাংলা ভাষা পেতাম না। আজও আমাদের মাতৃভাষা থাকতো উর্দু। আমাদের উর্দুতে কথা বলতে হতো। এই মুক্তিযুদ্ধে আমার পিতা আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহ.) সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এটা শুধু পুত্র হিসেবে আমার গর্ব নয়, তার আত্মার পুত্ররা যারা আছেন আমাদের সকলের গর্ব। আমার জানা নেই কতজন আলেম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। আলেম-ওলামারা বলেছেন, আমরা তো উর্দুতে পড়াশোনা করেছি; উর্দু ভাষা চাই। পাকিস্তান হলো মুসলমানদের দেশ, আমরাও মুসলমানদের সাথে আছি। শাহ্ দেওয়ানবাগী ছিলেন তার উল্টো দিকে। তিনি মাদ্রাসায় পড়েছেন। কিন্তু তিনি যখন দেখেছেন পূর্ব পাকিস্তানের নামে বাংলাদেশকে নিয়ে হচ্ছে ষড়যন্ত্র আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগী নিজে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। যুদ্ধে যোগদান করার পরে আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগী হেজামারায় (ভারত) ২টি মসজিদ নির্মাণ করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং তিনি সরাসরি বিভিন্ন গেরিলা অপারেশনে যুক্ত ছিলেন। ভারতের হেজামারার ট্রেনিং ক্যাম্পের মধ্যে নামাজ পড়িয়ে তিনি বলেছেন, আগামী বকরা ঈদের আগে দেশ স্বাধীন হবে এবং আপনাদের নিয়ে আমি ঈদের জামাত আদায় করবো, আল্লাহর কসম। আল্লাহ তায়ালা ঐ মহামানবের, ঐ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রন্দন শুনেছিলেন এবং তিনি দয়া করে বকরা ঈদ অর্থাৎ কোরবানির ঈদের আগে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। শুধু তাই নয় স্বাধীন বাংলাদেশের রেসকোর্স ময়দানে ঈদের জামাতের ইমামতি করেছিলেন। মোর্শেদ কেবলা ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.)-এর দরবারে যান, তার দরবারে গোলামি করেন। গোলামি করে যখন তিনি নিজেকে আলোকিত করার বিদ্যাকে নিজের মাঝে ধারণ করে যুগে যুগে মানুষকে আলোকিত করার রাস্তায় তিনি নেমে যান। সেই ধারাবাহিকতায় আল্লাহ তায়ালা তার উপরে সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৮৩ সনে ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মোর্শেদ কেবলাজানকে মোজাদ্দেদ বা সংস্কারকের দায়িত্ব দান করেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন-আমরা শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করি। শুক্রবার জুমার দিন বাংলাদেশে ছুটির দিন ছিল না, রবিবার ছুটির দিন ছিল। আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এই দেশে শুক্রবার ছুটির দিন কার্যকর করা হয়। মোর্শেদ কেবলাজান তৎকালীন সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছেন আসমান ও জমিনের মালিক আল্লাহ্, বান্দা তো মালিক নয়। বান্দা ভোগ দখলকারী মাত্র; আমরা শিরক করছি। আল্লাহর সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তি বলছি। ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালন করি, এটা বাবা দেওয়ানবাগীর সংস্কার। নবি মোহাম্মদ (সা.) ১২ই রবিউল আউয়াল ওফাত লাভ করেননি, উনি ১লা রবিউল আউয়াল ওফাত লাভ করেছেন এবং ১২ই রবিউল আউয়াল তিনি জন্মগ্রহণ করছেন। প্রমাণ স্বরূপ তিনি বলেন, বিদায় হজের ৮১তম দিনে রাসুল (সা.) ওফাত লাভ করেছেন। ৮১তম দিন কোনো ভাবেই ১২ই রবিউল আউয়াল হবে না, এটি ১লা রবিউল আউয়াল হবে। তিনি কুরআনের ব্যাখ্যা, হাদিসের ব্যাখ্যা, গাণিতিক হিসাব দিয়ে বিশ্লেষণ করে, বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনা করে তিনি প্রমাণ করলেন- ১লা রবিউল আউয়াল রাসুলের ওফাত দিবস এবং ১২ই রবিউল আউয়াল রাসুলের জন্ম দিবস। ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) হলো -সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ, দয়াল রাসুলের জন্ম ঈদ।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন-আমরা সারাজীবন পড়েছি কুরআনের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬টি। আমার মোর্শেদ আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহ.) বললেন, কুরআনের আয়াত ৬২৩৬টি। এই সংস্কারগুলো আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগী করেছেন। বলেন, ওনার মতো এতো বড় একজন মহামানব যিনি শুধু অলী-আল্লাহ্ হয়ে মানুষকে আল্লাহকে দেখানোর বিদ্যা শিক্ষা দেননি, মানুষকে শুধু চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দেননি, তিনি দেশকে স্বাধীন করার জন্যে যুদ্ধ করেছেন। তিনি ধর্মের সংস্কার করেছেন, তিনি মানুষকে আল্লাহর পথ দেখিয়েছেন। তিনি আল্লাহর আকার প্রমাণ করতে গিয়ে ৮ খন্ড তাফসীর শরীফ প্রণয়ন করেছেন। ৮ খন্ড তাফসীরে ১১ হাজার পৃষ্ঠা লিখে তিনি প্রমাণ করেছেন, আল্লাহর আকার আছে, তিনি নিরাকার নন। এমন গুণবান, এমন দয়াবান, এমন মহান অলী-আল্লাহ্, অলীদের বাদশা শাহ্ দেওয়ানবাগীর উপমা তিনি নিজেই। আমি যদি মোর্শেদের কদমে আসি, মোর্শেদের আদর্শ অনুসরণ করি, নিজেকে চরিত্রবান বানাই, নিজেকে আল্লাহর পথে ধাবিত করি তাহলে আমি মারিদ নয়, মুরিদ হব। যিনি আত্মসমর্পণকারী; যিনি চরিত্রবান ব্যক্তি; যিনি আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছেন; যিনি রাসূলকে খুঁজে পেয়েছেন ঐ ব্যক্তিত্ব আমি হব। আর যদি সেটা না করি মারিদে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হবে এই মারিদ অবস্থায়। মারিদ অবস্থায় যদি আপনার মৃত্যু হয় তাহলে আপনি আল্লাহকে পাবেন না, আপনার জন্যে মুক্তি হবে না। আমি ঐ রোগের বর্তমানে ডাক্তার। আপনার ঐ রোগের ঔষধ আমার কাছে আছে। এই ঔষধ কে দিয়েছে জানেন আমাকে? আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগী এই বিদ্যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। যে বিদ্যায় আপনার ঐ মারিদের রোগ দূর করে আমি আপনাকে মুরিদ বানাতে পারি। এটা শুধু শাহ্ দেওয়ানবাগী দেয়নি, দেওয়ানবাগীর সাথে রাসূল (স.) দিয়েছেন, তার সাথে আল্লাহ্ দিয়েছেন। আমি এই পদে আল্লাহর দ্বারা মনোনীত। মোর্শেদের মনোনীত ব্যক্তিকে যদি কেউ অস্বীকার করে, তার জন্যে কি ধর্ম আছে? তার জন্যে তরিকা আছে? মোর্শেদ কেবলাজান আমাকে ইমামদের নেতৃত্ব প্রদানকারী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। শুধু ইমামদের না, এই মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী। কেন বলেছেন? তিনি জানেন, তার তরিকাটা ধ্বংস হয়ে যাবে, তিনি জানতেন এই তরিকায় ভাঙবে। আমি মোহাম্মদী ইসলামের দারোয়ান, আমি দারোয়ানের চাকরি নিলাম। আজও দারোয়ানের চাকরি করছি। ঐদিন মোর্শেদকে নিরাপদ রাখার দারোয়ানের চাকরি করেছি, আজ আপনার ইমানকে নিরাপদ রাখার চাকরি করছি। ঐদিন মোহাম্মদী ইসলামকে নিরাপদ রেখেছিলাম, আজ আপনার ইমানকে নিরাপদ রাখছি। নেতা আমি নই। নেতা তো ছিলাম মায়ের পেট থেকে। ৭ দিনের দিন দাঁড়িয়েছি, ছিলাম নেতা। নেতা থেকে ৩৭ বছর লেগেছে গোলামি করে নিজের আমিত্ব-অহংকার দূর করে গোলাম হতে। নেতা তো জন্মের পরে হয়েছি। এই নেতা থেকে গোলাম হতে ৩৭ বছর লেগেছে, নিজেকে নিকৃষ্টতম গোলাম বানাতে। আমার কাজ আপনাকে আল্লাহকে পাওয়ানো। আপনি আমার কাছে আসুন, আপনি মারিদ থেকে নিজেকে মুরিদ প্রমাণ করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেই, আপনি কবরকে আলোকিত করুন; এইটুকু আমার কাজ। যিনি গালি দিবেন, যিনি মন্দ বলবেন তিনিও জানেন আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি কে? শুধু দুনিয়ার আমিত্বে মানতে পারছেন না। মোর্শেদকে আমি বলেছি, দুনিয়া আমার বিরোধিতা করবে। সারা দুনিয়া, আমার আত্মীয়-স্বজন আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। আমি কি করবো, আপনি যে দায়িত্ব আমাকে দিতে চাইছেন? উনি বলেছেন, যদি আমি তোমার সাথে থাকি! উনি বলেছেন, যদি আমি তোমার সাথে থাকি! তিনবার বলেছেন, যদি আমি তোমার সাথে থাকি! কি বলবো? আমি তো হুকুমের গোলাম। মোর্শেদ যদি বলেন আমি যদি তোমার সাথে থাকি, আমার আর কি বলার আছে? তখন আমি আত্মসমর্পণ করে বলেছি, আমার স্ত্রী-সন্তান আপনার কদমে কোরবান; আমার অর্থ, সম্পদ, ইজ্জত আপনার নামে কোরবান। আজ থেকে আমি আপনার হুকুমের গোলাম। আপনি যেভাবে চাইবেন আমি ঐভাবে নিজেকে পরিচালিত করবো, আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো। সেইদিন থেকে আমি এই তরিকার দায়িত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। মোহাম্মদী ইসলাম চলবে, আশেকে রাসুলদের অন্তরে মোহাম্মদী ইসলাম থাকবে। গোলামের দেহে যতক্ষণ প্রান আছে, আমি গোলাম এই মোহাম্মদী ইসলামে গোলামী করে যাবো। আমি আপনাদের কাছে একটু সাহায্য চাই, একটু সাহায্য আপনি আমাকে করুন। আপনি আপনাকে আলোকিত করুন, এই মোহাম্মদী ইসলাম আলোকিত হবে; আপনাকে চরিত্রবান বানান, মোহাম্মদী ইসলাম চরিত্রবান হবে। আপনি আমাকে একটু সাহায্য করুন, একটু ভিক্ষা চাই আপনার কাছে। একটু সাহায্য করুন, নিজেকে আলোকিত করুন; নিজেকে নিজে ক্ষমা করা শিখুন; নিজেকে চরিত্রবান বানান। আমাকে এইটুকু ভিক্ষা দিন, এইটুকু চাই। তাহলে মোহাম্মদী ইসলাম দাঁড়াবে। পর-সমালোচনা, পরনিন্দা ত্যাগ করুন; আত্মসমালোচনায় মগ্ন হয়ে নিজেকে আলোকিত করার নাম মোহাম্মদী ইসলাম। শাহ্ দেওয়ানবাগীর আদর্শ টিকে থাকবে সেইদিন, যেইদিন আপনার অন্ধকার কবর আলোকিত হবে; শাহ্ দেওয়ানবাগীর আদর্শ টিকে থাকবে সেইদিন, যেইদিন আপনি নিজের সিনার মধ্যে আল্লাহকে দেখতে পাবেন, রাসুলকে দেখতে পাবেন, দেওয়ানবাগীকে দেখতে পাবেন। দেখতে না পেলে মুখের বিদ্যার কোনো মূল্য নেই; ঐ মুখে মুখে মুরিদ হবেন ভিতরে মারিদ রয়ে যাবে। তাই আসুন, আমরা সবাই নিজেকে আলোকিত করি; আসুন,আমরা সবাই নিজেকে চরিত্রবান বানাই যাতে এই মোহাম্মদী ইসলামকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।