অনলাইন ডেস্ক: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের লাশ গত বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে আনা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ রানির শবাধারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ধারণা করা হয়, চার দিন ধরে সেখানে ১০ লাখ মানুষ রানিকে শ্রদ্ধা জানাবেন। সোমবার তার শেষকৃত্য হবে। বাকিংহাম প্যালেসে একইভাবে শেষবারের মতো বের হলেন!
এলিজাবেথ প্রথম প্রবেশ করেছিলেন তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের সঙ্গে, কিশোরী বয়সে! এই প্রাসাদে বসে এলিজাবেথ ৭০ বছর শাসন করেছেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। যে সাম্রাজ্য রানির শাসনামলে হয়তো আয়তনে কমেছে, কিন্তু এই সাম্রাজ্য আরও বেশি করে প্রভাব বিস্তার করেছে পৃথিবীতে। ব্রিটেনে বহু জাতি, ধর্মের মানুষের সম্মিলন করেছে। রানির লাশ বাকিংহাম প্যালেস থেকে শেষবারের মতো বের হয় বুধবার বেলা ২টা ২২ মিনিটে, ৩৮ মিনিটের যাত্রা শেষে বিকাল ৩টায় লাশ পৌঁছায় ওয়েস্টমিনস্টার হলে। সেন্ট্রাল লন্ডনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তা দেখার জন্য কুইন্স গার্ডেন, দ্যা মল, হর্স গার্ড, হর্স গার্ড আর্চ, হোয়াইট হল, পার্লামেন্ট স্ট্রিট, পার্লামেন্ট স্কোয়ার এবং নিউ প্যালেস ইয়ার্ড- এসব এলাকায় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো ছিল শোকার্ত মানুষ। এ সময় লাশের পেছনে হেঁটেছেন রানির চার সন্তান। এ ছাড়াও ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি।
ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানির শবাধার রাখা হয়েছে একটি উঁচু বেদির ওপর, শবাধারটির প্রতিটি কোনায় পাহারায় আছেন রাজকীয় সেনা দল। আর্চবিশপ অব ক্যানটারবারি জাস্টিন ওয়েলবি সেখানে রাজা চার্লস এবং রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যের উপস্থিতিতে রানির আত্মার সদগতির জন্য প্রার্থনা করেন। এরপর হলটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিকাল ৫টা থেকে সাধারণ মানুষ রানির কফিনে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন।
জনগণকে আগেই সতর্ক করা হয়েছে যে তাদের হয়তো কফিনটি দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে, এমনকি সারা রাত ধরেও অপেক্ষা করতে হতে পারে। তাছাড়া মানুষের লাইন সবসময় সামনে এগোতে থাকবে তাই বসার সুযোগও থাকবে খুব কম। সোমবার রানির শবাধার ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে নেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যের জন্য। সেদিন যুক্তরাজ্য জুড়ে সাধারণ ছুটি থাকবে। শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের পর শবাধার নেওয়া হবে উইন্ডসর গির্জার সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে। সেখানেই রানিকে সমাহিত করা হবে রয়েল ভল্টের চেম্বারে।