বিশেষ সংবাদদাতা: মানুষের আসা এবং যাওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। মানুষ মাতৃগর্ভে আসে এবং মাটিতে তাকে মিশে যেতে হয়। পৃথিবীতে যত নবি-রাসুল, অলী-আল্লাহ এবং যত ব্যক্তি জীবিত এসেছেন তাকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। অর্থাৎ জীবন্ত যত প্রাণী এই পৃথিবীতে আছেন তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। সৃষ্টি যা হয়েছে ধ্বংস একদিন হবেই। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আসি এবং ৩০ বছর, ৪০ বছর, ৫০ বছর, ৬০ বছর, ৭০ বছর, ৮০ কখনও ৯০ বছর পর্যন্ত এই ভূমিতে থাকি। ভূমিতে এসে নিজের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করি তারপর পরাজিত হয়ে আবার ফেরত যাই। আসলে এটাই বাস্তবতা, এটাই সত্য কথা কেউ মানুক আর না মানুক।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, মাতৃগর্ভে যখন আমার সৃষ্টি হয় ৩ মাসের মধ্যে একটি অবয়ব তৈরি হয় তখন আমি এক অবুঝ শিশু। দেখুন, এই অবুঝ শিশুর কোনো ক্ষমতা নেই; কোনো যোগ্যতা নেই এমন এক অবুঝ শিশু মায়ের পেটের মধ্যে থাকে, মা খেলে মায়ের খাবার থেকে একটু খাবার নিজের কাছে আল্লাহর রহমতে আসে ঐটা খেয়ে নিজে জীবন ধারণ করে। প্রস্রাব-পায়খানা ঐ পানির মধ্যেই করে, ঐগুলোও খেয়ে থাকে। ঐ মায়ের পেটে একটি কথা বলতে পারে না; চোখ খুলতে পারে না; নড়াচড়া করতে পারে না। প্রথম ৯ মাস মা তাকে পেটেই লালন-পালন করেন। আমরা মনে করি, মা পেটের বাইরেই লালন-পালন করছেন। মাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন এই ৯টি মাস নিজের দেহের মধ্যে একটি শিশুকে বড় করা যে, কত কঠিন এটা এই জগতে মা ছাড়া আর কারও বোঝার ক্ষমতা নেই। তারা আস্তে আস্তে সমাজে আসে, সমাজের মানুষের সাথে মিশতে থাকে। মিশতে মিশতে এক পর্যায়ে সে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পাশ করার পরে অনার্স, মাস্টার্স করে নিজেকে শিক্ষিত বানায়। এরপরে শুরু হয় সমাজে তার রাজত্ব কায়েম করা, নিজের একটি পরিচয় তৈরি করা।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, সবাই চাকরির জন্য দৌঁড় শুরু করে। কেউ ব্যাংকার, কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ প্রফেসর, কেউ উকিল, কেউ সরকারি চাকরিজীবী, কেউ আমলা ইত্যাদি। এক একজন এক এক পেশায় দৌঁড় শুরু করেন। কি হয়ে নিজের আইডেন্টিটি করা যায়। আইডেন্টিটি হওয়ার পরে এবার চিন্তা করে একটি বিয়ে করার, ঘর-সংসার এবং নিজের জীবনের এই আইডেন্টিটা প্রকাশ করি। শুরু হয় আইডেন্টিটি প্রকাশের দৌঁড়। বিয়ে করলাম এবার একটি সন্তান খুঁজি। ছেলে হলে ভালো হয়; বংশের বাতি জ্বলবে। বাতি জ্বলবে না বাতি নিভবে, তা কি আমরা জানি? তাতো আল্লাহ্ ঠিক করবেন। বান্দা কি বলতে পারে বাতি জ্বালায় না নিভায়? যাই হোক আমাদের এইরকম দৌড়াদৌড়ি, ছেলে হবে ছেলেদের মানুষ করবো। এই জীবনে নিজের রাজত্ব কায়েম করা। আল্লাহর জমিন, আমি আল্লাহর কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া কি? তাও আমার এই ভাড়ার কোনো খবর নেই। এই জমিনে বসে একটি বাড়ি বানাই। বাড়ি বানিয়ে বলি, এই ৩ তলা আমার। এই আমার বলে অন্যের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হই। এটা আমি বানিয়েছি। এজন্যেই তো আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগীর সংস্কার আসমান-জমিনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্; ভোগদখলকারী হিসেবে জমিনের মালিক আমি। এই যে আমার অস্তিত্ব,আমার জীবন, আমার আমরা করলাম; চোখ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই তো আমি আর আমার নেই। একবার ভেবে দেখি আমি কি আমার আছি? আমি আমার নেই। আমি, কার হয়ে গিয়েছি? আমি তো আল্লাহর হয়ে গিয়েছি। মানবদেহে ২টি আত্মা আছে। জীবাত্মা এবং পরমাত্মা। পরমাত্মা যখন আপনার দেহ থেকে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে ফেরত চলে যায় আপনি সাথে সাথে মৃত, আপনার খেলা শেষ। আপনি আর আপনার নেই, আপনি লাশ। এই যে মানুষের মৃত্যু আমাদের সবকিছু ছেড়ে চলে যাবে তাহলে আমরা এখান থেকে কি শিক্ষা লাভ করবো? এখান থেকে কোন লেসন আমাদের নিতে হবে? আসলে কি দুনিয়ার কোনো কিছু আমার না-কি এটা একটি ছলনার নাম? আল্লাহর কসম, আপনি-আমি যা করছি যেভাবে চলছি আর যাকে আমার বলছি, কিছুই আমার নয়। এইসব কিছু আপনার-আমার সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামিনের। তার সবকিছু আমি ভোগদখলকারী হিসেবে মালিক।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আল্লাহর কাছে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে শুকরানা করতে হয় (মালিক তুমি যে আমাকে এতো সুন্দর নাজ-নেয়ামত দিয়েছ সেজন্যে তোমার কাছে শুকরিয়া করি)। কিভাবে সেই শুকরিয়া করতে পারি আমরা? তার নির্দেশ মতো চলতে পারি; তার হুকুম-আহকামগুলো মেনে চলতে পারি; তার ইচ্ছায় নিজেকে পরিচালিত করতে পারি, এটাই আল্লাহর কাছে ভাড়া আদায় করা। এখন নিজেকে যদি আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত করতে হয় তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে সেটা করতে হয়? প্রথমত আল্লাহকে নিজের মাঝে খুঁজে বের করতে হবে। অলী-আল্লাহগণ, নবি-রাসুলগণের একটি আদিমতম বিদ্যা হচ্ছে নিজের মাঝে মালিককে খুঁজে বের করা। বাবা আদম (আ.)-এর পরে যত নবি-রাসুল এবং অলী-আল্লাহ এসেছেন তারা প্রত্যেকেই মোরাকাবা বা ধ্যান করেছিলেন মূলত তাদের সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে বের করার জন্যে। তাদের মোরাকাবার উদ্দেশ্য ছিল সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে বের করা। যিনি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পেয়েছেন এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন। তিনি আস্তে আস্তে তাঁর বন্ধুত্বের মর্যাদা লাভ করেছেন। মূলত যিনি আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছেন এবং তার বন্ধুত্বের মর্যাদা লাভ করেছেন নবুয়তের যুগে তিনি ছিলেন নবি-রাসুল এবং বেলায়াতের যুগে হয়েছেন আউলিয়ায়ে কেরাম। বন্ধুত্বের মর্যাদা হচ্ছে যার মাঝে আল্লাহ্ আছেন এবং যিনি আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছেন। অলী-আল্লাহ্ আর সাধারণ মানুষ দেখতে একই রকম, কোনো পার্থক্য নেই। তিনি আপনার সাথে গল্প-গুজব করবেন, হাসি-ঠাট্টা করবেন সবই ঠিক আছে কিন্তু তিনি সাধনা করে তার ভিতরে আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছেন এবং তিনি আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আল্লাহর সাথে যোগাযোগের বিদ্যা যুগে যুগে নবি মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.), ইব্রাহিম (আ.), মুসা (আ.)-সহ সকল নবি-রাসুলগণ শিক্ষা দিয়েছেন। যত অলী-আল্লাহগণের জীবনী আছে আপনি যদি আজ তা পর্যালোচনা করেন, দেখবেন তার মুরিদদের তিনি তার কাছে ১২ বছর কাউকে ২৪ বছর রেখেছেন, সাধনা শিক্ষা দিয়েছেন এবং মুরিদকে আল্লাহর সাথে যোগাযোগের বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। এখনকার এই ডিজিটালাইজড যুগে এটা অনেক কঠিন। বলুন, ১২ বছর আমার কাছে এসে কেউ থাকতে পারবেন, সুযোগ আছে? আল্লাহর মহান বন্ধু আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহ.) তিনি ওয়াজিফাকে বই আকারে এনেছেন। কেন এনেছেন? তিনি এনেছেন এই কারণে যাতে আমরা ঐ বই নিয়ে নিজের ঘরে বসে বইয়ের আমলগুলো করতে পারি পাশাপাশি সামাজিকভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। পূর্বে ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.) পর্যন্ত হয়তো লিবারেল ছিল আরও আগে যদি যান দেখবেন যারা মোর্শেদের কদমে সাধনা করে আল্লাহকে পেয়েছেন, মুরিদ সন্তানকে মোর্শেদের দরবারে একটি লম্বা সময় আপন মোর্শেদের দরবারে গিয়ে থাকতে হয়েছে। এখানে পুরাতন আশেকে রাসুল যারা আছেন তারাও জানেন, ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.)-এর দরবারে গেলে একদিনের জন্যে গিয়ে পরদিন ফেরত আসা যায়নি। মুরিদরা ব্যাগে কাপড়-চোপড় নিয়ে গিয়েছে, ২ দিন, ৩ দিন, ৪ দিন, ৫ দিন থেকে তারপর আসতে হয়েছে। এনায়েতপুরীর বেলাতেও তাই হয়েছে এবং আমাদের সিলসিলায়েও তাই হয়েছে। কিন্তু আজ এতোগুলো আশেকে রাসূল এখন যারা আমাদের সাথে অনলাইনে আছেন। আমার ধারণা আজ ১০ থেকে ১২ হাজারেরও বেশি (কম নেই, এর চেয়ে বেশি আছে) বা আরও বেশি, ২০ হাজার আশেকে রাসূলও হতে পারে এই মুহূর্তে আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের সাথে আছেন। এই ২০ হাজার আশেকে রাসূল যদি এখন চিন্তা করেন যে, আমি ব্যাগ নিয়ে মেজো হুজুরের সাথে দেখা করতে আসি; মেজো হুজুর জায়গা দিবে কোথায়? আল্লাহকে পাওয়া এতো সহজ নয়। যিনি সাধনা করবেন; যিনি চরিত্রবান হবেন; যিনি নিজের ভিতরের আল্লাহকে খুঁজবেন; বাবাজান যেই ওয়াজিফা দিয়েছিলেন এবং তরিকতের আমলগুলো (মোরাকাবা/সাধনা,ফাতেহা শরীফ ইত্যাদি) করতে বলেছেন প্রত্যেকটি আমল ইন্ডিকেট করবে যে, আপনি আল্লাহতে আত্মসমর্পণ করবেন নিজের ভিতরে আল্লাহকে খুঁজে পাবেন এবং আপনাকে নিয়ে যাবে আল্লাহর পথে। আপনি যখন সেই আমলগুলো করবেন না অথচ নিজেকে জ্ঞানী ভাবাপন্ন করবেন, নিজেকে চরিত্রবান ভাবাপন্ন করবেন, কি হবে? আপনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে আমি এই মোহাম্মদী ইসলামে এসে এই তরিকায় সামিল হয়ে তরিকার আমল করে মৃত্যুর আগে আমি আল্লাহকে পেতে চাই, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই এবং তার সন্তুষ্টি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে চাই। এটাই তো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হবে না-কি অন্য কিছু? এখন এই লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে আমরা সরে গিয়েছি; সরে গিয়ে ফেতনা, মিথ্যা, চাপাবাজীতে লিপ্ত হয়েছি। তরিকায় আছি ঠিকই কিন্তু চরিত্রবান হইনি। আশেকে রাসূল পরিচয় দিচ্ছি ঠিকই, নিজের ভিতরের রিপুগুলোর (কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য) প্রভাব থেকে নিজেকে বের করতে পারিনি। সেজন্যে মোহাম্মদী ইসলাম আছে কিন্তু ইমানদার মুরিদ তৈরি হচ্ছে না; মোহাম্মদী ইসলাম আছে কিন্তু মুরিদ নিজের ভিতরকে আল্লাহময় করতে পারছে না; মোহাম্মদী ইসলাম আছে কিন্তু মুরিদের মধ্যে রাসূলের আদর্শ নেই।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, নিজের ভিতরে আল্লাহকে কিভাবে খুঁজে বের করবো? আল্লাহ্ বলেন, মানবদেহে একখানা মাংসপিণ্ড আছে যে মাংসপিণ্ড পাক থাকলে মানবদেহের সর্বাঙ্গ পাক; মাংসপিণ্ড নাপাক থাকলে মানবদেহের সর্বাঙ্গ নাপাক। সেই মাংসপিণ্ড হচ্ছে ক্বালব? পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-“ফাওয়াই লুল্লিল ক্বাছিয়াতি ক্বুলুবুহুম মিন জ্বিকরিল্লাহি উলাইকা ফি দ্বলালিম মুবিন।” অর্থাৎ- যেই ব্যক্তির ক্বালবে আমি আল্লাহর জ্বিকির জারি নেই, সে প্রকাশ্য গোমরাহির মাঝে বিরাজমান। আল্লাহকে পাওয়ার জন্যে প্রথম কাজ হচ্ছে মানুষের ভিতরে আল্লাহ্ নামের জ্বিকির জারি করা। আল্লাহ্ নামের জ্বিকিরের জন্যে অলী-আল্লাহর সংস্পর্শে গিয়ে তার শাহাদাত অগুলী দ্বারা নিজের ক্বালবে আল্লাহ্ নামের জিকির জারি হয়। [এখন তো শাহাদাত আঙ্গুলী মানে আমার শাহাদাত আঙুলী দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। তাই আমি এখানে অনলাইনে বলে দেই, মোশের্দের হুকুমে আপনাদের ক্বালবে আল্লাহ্ নামের জ্বিকির জারি হয়, তাই সেটাই করছি এখন)। শাহাদাত আঙুলী দ্বারা ক্বালব স্পর্শ করে নিজের ভিতরে আল্লাহ্ নামের স্পন্দনকে অনুভব করা, এটা হলো প্রথম কাজ। আল্লাহ্ নামের স্পন্দনকে যখন আপনি অনুভব করবেন। ভিতরে আল্লাহ্ নামের জ্বিকির শুরু হয়। সেজন্যে মোহাম্মদী ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী তরিকতের প্রথম শিক্ষাই হচ্ছে দিলজিন্দা করা, দিলের মাঝে আল্লাহ্ নামের জ্বিকির স্পন্দন করা। আল্লাহকে পাওয়ার জন্যে প্রথম কাজ হচ্ছে আল্লাহ্ নামের বীজ নিজের মাঝে বপন করা, এটাই হচ্ছে দিলজিন্দা। আল্লাহ্ নামের জ্বিকির যত বেশি করতে থাকবেন নিজের ভিতরের ময়লাগুলো সাফ হতে থাকবে আর আল্লাহর রাজত্ব কায়েম হতে থাকবে। আল্লাহর রাজত্ব মানে হচ্ছে পরমাত্মা শক্তিশালী হতে থাকবে। দিনে দিনে আপনি যখন আরও সাধনা করবেন আরও মোরাকাবা করবেন আস্তে আস্তে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবেন একসময় আল্লাহ্ আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, এটাই হচ্ছে রাস্তা। এই জন্যে এই রাস্তার প্রথম কাজ হচ্ছে দিলজিন্দা করা।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমি মালিকের কাছে সাহায্য চাই, তিনি দয়া করুক আমরা যাতে তার ইচ্ছায় নিজেকে পরিচালিত করতে পারি এবং আমি, আমি, আমি, আমার, আমার, আমার না; আমরা যাতে তার হয়ে যাই, তার প্রতি আনুগত্য করি এবং তাকেই নিজেকে বিলীন করে দিতে পারি আর তার ইচ্ছায় নিজেকে বিলীন করতে পারি, মালিক আমাদের সেই তৌফিক দান করুন।
পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।