দেওয়ানবাগ ডেস্ক: চলমান মৌসুমি বন্যা অর্থসংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। খাদ্যমূল্য বেড়ে এখন আকাশছোঁয়া। গরিব মানুষ হিমশিম খাচ্ছে খাবার পেতে।
বন্যায় এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে দেশটির। পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলছেন, হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ লাগবে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, চলতি বন্যার ক্ষতি মোকাবেলায় বিশ্ববাসীর সহায়তা লাগবে পাকিস্তানের।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, বন্যায় জুন থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। রাস্তাঘাট, ফসল, ঘরবাড়ি ও সেতুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০১০ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার পর এবারই এত মৃত্যু ঘটল। সেবছর বন্যায় দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
আহসান ইকবাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অতিবৃষ্টির কারণে এই মৌসুমি বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যাকে ‘বড় ধরনের সংকট’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এই অর্থ সহযোগিতার মাধ্যমে ৫২ লাখ ক্ষতিগুস্ত মানুষকে খাদ্য, পানি, পয়োনিষ্কাশন, জরুরি শিক্ষা, সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা দেওয়া হবে। বন্যায় পাকিস্তানের তিন কোটি ৩৩ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ।