বিশেষ সংবাদদাতা: আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী (রহ্) সংস্কার করলেন, হযরত রাসুল (সা.) ১২ই রবিউল আউয়াল জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১লা রবিউল আউয়াল ওফাত লাভ করেন। তখন এই কথা বলার পরে দেখা গেল মোর্শেদ কেবলাজানের বিরুদ্ধে বহু মিছিল-মিটিং, আন্দোলন হয়েছে। শুধু কি মোর্শেদ কেবলাজানের বিরুদ্ধে; আপনাদের বিরুদ্ধে হয়নি? আপনি যখন আপনার এলাকায় এসে বলেছেন যে, আরে এটা তো ঈদে মিলাদুন্নবি। সবাই আপনাকে গালাগালি শুরু করেনি, বলুন! আপনার বাড়ি-ঘরে আপনার প্রতিবেশী; আপনার আশপাশের মানুষ; আত্মীয়-স্বজন বলেছে, এই তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস! নতুন আবার কি শুরু করলি? দেওয়ানবাগী একা পরীক্ষা দেননি, দেওয়ানবাগীর প্রত্যেক মুরিদকে দেওয়ানবাগীর সাথে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তখন থেকেই এই যে বাস্তবতা- হযরত রাসুল (সা.) ১২ই রবিউল আউয়াল জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১লা রবিউল আউয়াল ওফাত লাভ করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, বিদায় হজের ৮১তম দিনে রাসুল (সা.) ওফাত লাভ করেন অর্থাৎ বিদায় হজের ৮১তম দিন রাসূল (সা.)-এর ওফাত দিবস এবং বিদায় হজের ৮১তম দিন কোনো ভাবেই ১২ই রবিউল আউয়াল হয় না। ২+২ কত হবে? ৪ হবে। ৮১তম দিন গুণতে কি আমাদের অসুবিধা আছে, বলুন? এটা গাণিতিক বিষয়, কবে বিদায় হজ হয়েছে তার থেকে ৮১ দিন গুণতে হবে। মতান্তর আর গণনার মধ্যে পার্থক্য আছে। রাসুল (সা.) বিদায় হজের ৮১তম দিনে ওফাত লাভ করেন। আঙুল দিয়ে গুণে বের করলেও হবে ১লা রবিউল আউয়াল; ক্যালেন্ডার দিয়ে গুনে বের করলেও হবে ১লা রবিউল আউয়াল; ক্যালকুলেটর দিয়ে গুণে বের করলেও হবে ১লা রবিউল আউয়াল; কম্পিউটারের গাণিতিক সংখ্যায়ও আসবে ১লা রবিউল আউয়াল। এখন যদি কেউ বলে, মতান্তরে ১২ই রবিউল আউয়াল তাহলে বুঝতে হবে তার এই মত পছন্দ হয়নি তাই অন্তরে নতুন একটি মত খুঁজে বের করছে। যুগে যুগে এই মতের অন্তর করে করেই এই মোহাম্মদী ইসলামকে ধ্বংস করা হয়েছে। এক কথার অপব্যাখ্যা করে এই মোহাম্মদী ইসলামকে ধ্বংস করা হয়েছে এবং তাই হয়ে এসেছে আর এই কারণে আজ মোহাম্মদী ইসলামের এই দৈন্য দশা, আমার রাসুলের জন্মদিন আমি করতে পারি না। আমার মোর্শেদ কেবলা আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী (রহ্.) তিনি মোহাম্মদী ইসলামের ঝান্ডাকে শক্ত করে ধরলেন এবং ধরে বললেন, আমি তোমাদের এই মোহাম্মদী ইসলামকে আবার আলোকিত করবো; আবার রাসুলের এই মোহাম্মদী ইসলামকে সমাজের মাঝে প্রতিষ্ঠা করবো; আবার রাসুলের এই মোহাম্মদী ইসলামকে সারা বিশ্বে আলোকিত করে ছাড়বো। তিনি সংস্কার করলেন ১লা রবিউল আউয়াল রাসুলের ওফাত দিবস। হে দুনিয়ার জমিনে এমন কে আছো, আমার এই সংস্কারকে মিথ্যা প্রমাণ করে দেখাও? কেউ সামনে এসে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পেল না কারণ তারাও জানে আসলে মিথ্যা তো মিথ্যাই। এই জন্যে মানুষের এই কনসেপ্টকে আমার মোর্শেদ কেবলাজান সংস্কার করে ১লা রবিউল আউয়াল রাসুল (সা.)-এর ওফাত দিবস বলেছেন এবং তার এই সংস্কারে ১লা রবিউল আউয়াল রাসূল (স.)-এর ওফাত দিবস পালন করেন এবং ১২ই রবিউল আউয়াল আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দের দিন হিসেবে আমরা তা পালন করি।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, মোর্শেদ কেবলাজান আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন “সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ, দয়াল রাসুলের জন্ম ঈদ।” উনিই তো বলেছেন, সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ। সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ মানে কি? সৃষ্টি কুলের শ্রেষ্ঠ খুশি কি? আমার রাসুলের জন্মের খুশি। এটাই তো কথা ঈদ মানে খুশি। এই সৃষ্টির যত খুশি আছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ খুশি হচ্ছে যেইদিন আমার রাসুল (সা.)-এর শুভ আগমন আমাদের মাঝে হয়েছে কারণ তার জন্যেই তো আপনি-আমি মুসলমান, তার জন্যেই তো আমরা আল্লাহকে পেয়েছি। সেইজন্যে এইদিন আমাদের কাছে অত্যন্ত নিয়ামতপূর্ণ, ফজিলতপূর্ণ এবং আল্লাহর দেওয়া ঐ দিনের অসিলায় লক্ষ-লক্ষ আশেকে রাসূল ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ পায়। আমার মোর্শেদ কেবলাজান এই সংস্কার করেছেন কি শুধু আশেকে রাসুলের জন্যে? নো, সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্যে। তাদের ভ্রান্ত ধারণাকে ভেঙে দিয়েছেন, তাদের মুক্তি পাওয়ার, তাদের ক্ষমা পাওয়ার একটি অসিলা এবং দিন তৈরি করে দিয়েছেন তা হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)। যে কারণে ঐদিনে মানুষ ক্ষমা পাওয়া শুরু করেছে। মানুষ এখন ঐদিন চ্যারিটি শুরু করেছে, দান করা শুরু করেছে, খাবার দেওয়া শুরু করেছে এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে। এই সবকিছু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা যে রাসুলকে ভালোবাসি; আমরা যে রাসুলের আনুগত্য করি; আমরা যে রাসুলকে দিল ও জানছে মহব্বত করি, তারই প্রদর্শনস্বরূপ আমরা এই কাজগুলো করি।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমরা ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ আয়োজন করতে চাই। আমরা আল্লাহর বন্ধু শাহ্ দেওয়ানবাগীর মুরিদ সন্তান। আমাদের দায়িত্ব শাহ্ দেওয়ানবাগীর আদর্শ ধরে রাখা; আমাদের দায়িত্ব শাহ দেওয়ানবাগীর চরিত্রে নিজেকে চরিত্রবান বানানো তাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি হবে আশেকে রাসুলদের জন্যে সবচেয়ে আনন্দের দিন, সবচেয়ে বরকতের দিন, সবচেয়ে রহমতের দিন। আমি গত সপ্তাহেই আপনাদের বলেছি এইদিনে আপনাদের কি কি করণীয় আছে। আমি পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। আপনারা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী এইদিনের আয়োজন করুন। যিনি একটু মিষ্টি খাওয়াতে পারেন মিষ্টি খাওয়াবেন, যিনি চকলেট খাওয়াতে পারেন চকলেট খাওয়াবেন, বাসায় বাচ্চাদের ভালো খাবার-দাবার দিবেন, পরিবারকে ভালো খাবার-দাবার দিবেন, গরিবের মাঝে খাবার দান করুন। আজ আপনি অভাবী মানুষকে দুই প্লেট খাবার খাওয়ালেন, কাল যখন ঐ আগুনে আপনি জ্বলবেন, মালিক কি ঐ দুই প্লেট খাবারের অসিলায় আপনাকে মাফ করতে পারে না? শুধু আশেকে রাসূলদের খাওয়াবেন না। গরিব-দুঃখি, অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ান। বলবেন, শুধু আমার ভাইদের খাইয়েছি এটা কেমন কথা? ভাই আমাদের সবাই, সবাইকেই খাওয়াতে পারবেন যার যেমন সামর্থ্য আছে যে যেইভাবে পারেন এইদিনের আয়োজন করুন পাশাপাশি আমি একটি জাগরণ দেখতে চাই।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, সবার বাড়িতে ঘরোয়া মিলাদ দিন। যার যার বাড়িতে আমি ঘরোয়া মিলাদ দেখতে চাই, রাখবেন? আমাদের আলেম-ওলামাদের নিয়ে যান, উনি আল্লাহ্-রাসূলের কথা বলবে এবং দুটি শব্দ বলে ২ জন আশেকে রাসুলকে তরিকা দিয়ে আসবে, এতে এক মাসের মধ্যে ১০ হাজার আশেকে রাসুল তৈরি হতে পারে, দুই মাসের মধ্যে ২০ হাজার আশেকে রাসূল তৈরি হতে পারে। আপনি কি আমাকে একটু সহযোগিতা করবেন? আমি মাইক লাগাতে বলিনি, আমি মারামারি করতে বলিনি। আত্মীয়-স্বজন,পরিবার-পরিজন নিয়ে মিলাদ পড়ুন এবং এই মিলাদে আমাদের একজন হুজুরকে দাওয়াত করুন, উনি গিয়ে দুইজনকে সবক দিলে আপনার এই ২ জনই ১০ হাজার আশেকে রাসুলে পরিণত হবে। আমি আপনার কাছ থেকে কোনো জমিন চাইনি; আমি কোনো সম্পত্তি চাইনি; কোনো খাবার চাইনি। বড় সম্মেলন করার দরকার নেই, মাইকেরও দরকার নেই উনি মাইক ছাড়া আপনার বেড রুমে বসে আপনার চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, আত্মীয় স্বজন, বংশ পরিক্রমার লোকজন নিয়ে মিলাদ পড়ে চলে আসবে। তাহলে মিলাদে যে, আপনার বাড়িতে বরকত, রহমত আসে এটা হলো প্লাস আপনার পরিবারের ৫ জন লোক তরিকাও নিলো। একটি পরিবারে স্ত্রী যদি মিলাদ দেয় স্বামী তরিকা নেয়, সন্তান তরিকা নেয় এবং বাচ্চারা আশেকে রাসুল হয়, বাবা-মা আশেকে রাসুল হয়, আত্মীয়-স্বজন আশেকে রাসুল হয় মানে আপনার বাড়িকে আমি মোহাম্মদী ইসলামের দুর্গ হিসাবে তৈরি করতে পারি। আমার তো দরকার বাড়িকে দুর্গ বানানো। মাঠে-ময়দানে গিয়ে প্রোগ্রাম করবো! কাল যেই মাঠে আমি প্রোগ্রাম করেছি; আগামীকাল ঐ মাঠে চরমোনাই প্রোগ্রাম করবে; এরপরের দিন ঐ মাঠে জামায়াত ইসলাম প্রোগ্রাম করবে; পরের দিন তাবলীগ প্রোগ্রাম করবে। মাঠ তো কারো হয় না। আপনার অন্তরকে যদি আল্লাহকে পাওয়াতে পারি সে অন্তর তো আপনার বাড়িকে দুর্গ বানাতে পারে। যখন মোর্শেদ কেবলাজানকে এ বিষয় বোঝালাম মোর্শেদ কেবলাজান হাসি দিয়ে বললেন, সাব্বাশ! এটাই ঠিক আছে। এর জন্যই তো তিনি আমাকে বলতেন, সমস্যার ফয়সালাকারী। তিনি জানতেন, যেখানে সমস্যা আছে আমি সমাধান দিলে এবং ঐটা মানলে সমাধান হবেই। ইভেন এমনও হয়েছে বহু সমস্যা ওনার কাছে আসতো, উনি সমাধান করেননি। বলতেন, এই মেজো মিয়াকে ডাক দাও। বলতো, এই তুমি বলে দাও। যারা ওনার আশপাশে ছিলেন এবং কাছে ছিলেন জানেন। উনি নিজে সমাধান না দিয়ে, আমাকে ডাক দিয়ে বলেছেন, তুমি দেখ। কারণ আমি জানি, আপনার রোগ কি এবং আমি জানি ঐ রোগের সমাধান। এই মোহাম্মদী ইসলামকে যদি পুনরায় শক্তিশালী করতে হয়, এর সমাধান হলো ঘরোয়া মিলাদ দিতে হবে। আমার অনেক মিলাদ দরকার নেই। প্রত্যেক আশেকে রাসূল বছরে ২/৩টি মিলাদ দিন। কত টাকা লাগে? আপনি তো বাসায় ভাত-মাংস রান্না করেনই। ঐদিন বিরিয়ানি না খাওয়াতে পারলে ভাত-মাংস খাওয়াবেন; না পারলে ডাল-ভাত খাওয়াবেন; না পারলে সবজি খাওয়াবেন। আপনার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে একটি ঘরোয়া মিলাদ দিন। ঘরোয়া মিলাদ দিলে যা আছে তা বাদ দিয়ে আগামী ২ বছরের মধ্যে আমি ১ লক্ষ নতুন আশেকে রাসূল তৈরি করে দিবো, মোর্শেদের কদমে এসেছেন; মোর্শেদের আদর্শে নিজেকে আদর্শবান বলছেন কিন্তু মোর্শেদের ওয়াজিফা আমল করছেন কি-না; মোর্শেদের আদর্শে চলছেন কি-না; মোর্শেদকে নিজের মাঝে খুঁজে পেয়েছেন কি-না, একবার একটু খুঁজে দেখুন? যদি পেয়ে থাকেন, আলহামদুলিল্লাহ্। আর যদি না পেয়ে থাকেন আপনিও কিন্তু ঐ ছাত্র যিনি বলছেন, আমি ছাত্র কিন্তু স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করছেন না। মুরিদের পড়াশোনা কি? মুরিদের পড়াশোনা মোরাকাবা করা; মুরিদের পড়াশোনা তরিকতের আমল করা; মুরিদের পড়াশোনা আল্লাহকে পাওয়ার জন্যে আরাধনা করা; মুরিদের পড়াশোনা সৎ পথে চলা; মুরিদের পড়াশোনা অন্যায় থেকে দূরীভূত হওয়া; মুরিদের পড়াশোনা নিজের মধ্যে যে রিপুগুলো আছে (কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য) সেগুলো দূরীভূত করা এবং সেগুলোর প্রভাব নিজের থেকে কমিয়ে নিজেকে আল্লাহময় করা। এটাই তো মুরিদের পড়াশোনা। আপনি কি কোনো পড়াশোনায় আছেন? আপনি ভাবুন, আপনি কি ঐ ছাত্র যিনি ফুটবল খেলার মাঠে গিয়ে আড্ডা মারছেন? কেমন আড্ডা মারছেন? অন্যান্য জাকের ভাইদের নিয়ে আমি তরিকার এটা বুঝি; আমি এতো বড় নেতা; আমার জ্ঞান ওমুক, আমি এই, আমি ঐ আসলে আপনার ভিতর অন্ধকার। আপনি অন্ধকারে থেকে নিজেকে সিনিয়র ভাই বানিয়ে মানুষের সম্মান নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু আপনি নিজে কিচ্ছু জানেন না। এরকম মুরিদ কি আমাদের মাঝে আছে, না নেই? তাহলে আমাদের কি পরিবর্তিত হতে হবে, না হবে না?
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমরা সবাই পর-সমালোচনা করতে চাই। তুমি খারাপ, তুমি দোষী, তুমি অপরাধী, তুমি এটা ভুল করেছো। দেখুন, অপরের দিকে ১টি আঙুল তুললে নিজের দিকে ৩টি আঙুল আসে। ১টি অপরকে দেখালে ৩টি নিজের দিকে আসে। আমি কি, একবার অপরকে বলার আগে ৩বার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। আমি কি? আমি কেমন? আমি অপরাধী কি-না? এটা মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা। মোহাম্মদী ইসলামে আমরা সবাই অপরকে পরিবর্তন করার এক কঠিন বিদ্যায় নেমেছি। নিজেকে পরিবর্তন করি; নিজেকে আলোকিত করি; নিজের চরিত্রকে পরিবর্তন করি; নিজে আল্লাহময় হওয়ার চেষ্টা করি। অতঃপর অপরকে পাওয়ানোর চেষ্টা করি।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমার কথায় মনে কষ্ট নিয়েন না। আমি টু দ্যা পয়েন্ট কথা বলি, এতে আমার শত্রুও বেশি মিত্রও বেশি। শত্রু বেশি কারণ আমি যখন নিজেকে পরিবর্তনের গল্প বলি তখন যারা পরিবর্তিত হতে চায় না এবং চাপাবাজী করতে চায়, তাদের চাপাবাজীর ব্যবসা তো খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। কেন শেষ হবে জানেন? আমি মোহাম্মদী ইসলামের তালিম নামে নতুন একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছি। যেই বইয়ে কিভাবে সাধনা করে আপনি আল্লাহকে পাবেন, এই পুরোপুরি বিদ্যা নিয়ে আমি কাজ করেছি। আল্লাহ্ যদি আমাকে সুযোগ দেন, ইচ্ছে আছে খুব শীঘ্রই সেই বই আপনাদের কাছে দিবো। যদি তাই হয় এবং আল্লাহ্ যদি সুযোগ দেন আমি ঘরে-ঘরে, বাড়ি-বাড়ি চরিত্রবান আশেকে রাসূল তৈরি করতে শুরু করে দেই, তখন কি আমাদের মধ্যে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে না? আসবে, না আসবে না বলুন? অনেক আশেকে রাসূল নামাজ পড়তেন না। আজ আপনারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নামাজ পড়েন, অনেক আশেকে রাসূল মোরাকাবার সাথে সংযুক্ত থাকেননি, আজ আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আপনারা মোরাকাবা করছেন। আলহামদুলিল্লাহ্। দেখুন আমি আজ গর্বের সাথে বলতে পারি (আমি এখান থেকেই দেখতে পাই) আজ সারা বিশ্বের আশেকে রাসুলদের মধ্যে এমন এক পরিবর্তন এসেছে।
পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।