আগামী মহামারির জন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে
দেওয়ানবাগ ডেস্ক: আগামী মহামারির জন্য তৈরি থাকার তাগিদ দিলেন করোনা প্রতিরোধে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট। সম্প্রতি ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিনের এক অধিবেশনে এ সতর্কবার্তা দেন ব্রিটিশ এ টিকা বিশেষজ্ঞ।
যুক্তরাজ্যের স্বনাম খ্যাত শিক্ষায়তন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট লিট ফেস্টে বিকেলের এক অধিবেশনে কথা বলেন। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সাইন্স ভেক্সারস’ শীর্ষক এই অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সায্।
সারাহ গিলবার্ট এ সময় বলেন, ‘প্রতি শতাব্দীতেই আমরা মহামারির শিকার হচ্ছি। কখনো সেটা কাকতালীয়ভাবে হচ্ছে, কখনো কারণবশত। পাখির মাধ্যমেও অনেক সময় ভাইরাস ছড়ায়। ফলে মহামারির আশঙ্কা সব সময় থাকে। আমাদের নিজেদের এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।’
কোন টিকা বেশি কার্যকর জানতে চান একজন দর্শক। উত্তরে সারা গিলবার্ট বলেন, ‘শুরুর দিকে ধরন ও নির্দিষ্ট দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা দেখেছি, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বেশ উচ্চ মাত্রায় কার্যকর। পরে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে গেছে। করোনার নতুন নতুন ধরন আসার পর এখন আসলেই বলা কঠিন কোন টিকাটি দীর্ঘ মেয়াদে বেশি কার্যকর। আমরা সাধারণ মানুষকে বলতে চাই, টিকা তৈরি করা কোনো প্রতিযোগিতার বিষয় নয়; সারা বিশ্বই মহামারির শিকারে পরিণত হয়েছে। সুতরাং এখানে কারো জয়ী হওয়ার ব্যাপার নেই।’
সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘যখনই মহামারি আসুক, আমরা যেন করোনার চেয়েও দ্রুত ও কার্যকরভাবে সাড়া দিতে পারি, তার প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যদি ছড়িয়ে পড়া একটি রোগকে মহামারিতে রূপ নেওয়া থেকে ঠেকাতে পারি, তাহলে অনেক অর্থ সাশ্রয় ও জীবন রক্ষা করা যাবে।’
দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে সারাহ গিলবার্ট আরো বলেন, ‘নতুন ধরনের ক্ষেত্রে টিকা খুব ভালো কাজ করছে। নতুন ডোজ শরীরে প্রয়োগ করা হলে তা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। চতুর্থ ডোজের ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি বেশ ভালোভাবে লক্ষ করেছি। নতুন ধরনের কথা মাথায় রেখে টিকা বদলাতে গেলে খুব বেশি সুবিধা পাওয়া যায় না। আবার নতুন টিকা তৈরি করা এবং উৎপাদন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।