দেওয়ানবাগ ডেস্ক: নতুন মজুরি কাঠামোর সঙ্গে মিল রেখে আগামী মাস থেকেই পোশাকের মূল্য বাড়াতে ব্র্যান্ড-ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এছাড়া মজুরি ইস্যুতে গত কয়েক দিন বন্ধ থাকা কারখানার পোশাক জাহাজীকরণে বিলম্বের কারণে জরিমানা আরোপ কিংবা রপ্তানি আদেশ বাতিল না করার জন্যও ক্রেতা প্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্র্যান্ড ক্রেতাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এইচ এন্ড এম, মার্কস অ্যান্ড স্ত্রেন্সার, ডেকাথলন, নেক্সট সোর্সিং, জিইএমও, সেলিও, কনতুর, স্ট্যানলি স্টেলা, ওইউএস, কেমার্ট, ওটো ইন্টারন্যাশনাল, জেনিফার, আলদি, সলস, অসান ও কিবাইয়ের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে বিজিএমইএর পক্ষে সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, ইনামুল হক খান (বাবলু) ও মোঃ ইমরানুর রহমান।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি পোশাক খাতে বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জসহ সামগ্রিক পরিস্থিতির বিস্তারিত অবহিত করেন ক্রেতা প্রতিনিধিদের। এ বাস্তবতায় নতুন মজুরি কাঠামোর বাস্তবায়ন পোশাক কারখানাগুলোর ওপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে। সার্বিক বিবেচনায় নতুন নুন্যতম মজুরি কাঠামো সফলভাবে বাস্তবায়নে সরবরাহকারী এবং ক্রেতা দুই পক্ষকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যে পণ্য জাহাজীকরণ হবে, সেগুলোর মূল্য নতুন মজুরি কাঠামোর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান তিনি।
গত ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে নি¤œতম মজুরি বোর্ড। বর্তমান কাঠামোর চেয়ে সর্বনি¤œ গ্রেডে মজুরি বাড়ানো হয় ৫৬ শতাংশ। সে হিসেবে এই গ্রেডে নূন্যতম মজুরি দাঁড়ায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা। বর্তামানে যা ৮ হাজার টাকা। আগামী মাস থেকে নুতন মজুরি কার্যকর হচ্ছে। নতুন কাঠামোয় মজুরি যথেষ্ট বাড়ানো হয়নি– এ অভিযোগে কয়কটি শ্রমিক সংগঠন কাজ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে। এতে রাজধানীর মিরপুর, আশুলিয়া, গাজীপুরের ১৩০টি কারখানা প্রায় এক সপ্তাহের মতো বন্ধ থাকে।