গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ

গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ

দেওয়ানবাগ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা এখনো পুড়ছে। প্রতিদিনই ট্যাংক ও আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে এ উপত্যকায়। বাংলাদেশের গাজীপুর শহরের চেয়েও অনেক ছোট আয়তনের গাজা নগরীতে এ যাবৎ যত বোমা ফেলা হয়েছে তা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা আনবিক বোমার চেয়ে কম বিধ্বংসী নয়। ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলায় এ যাবৎ ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ শিশু। হতাশার মধ্যে সান্ত¡না এতটুকু যে, সংঘাত অব্যাহত থাকলেও ইসরায়েল ও হামাস একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ আশার বাণী শুনিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার বাইডেন বলেন, উভয় পক্ষ একটি চুক্তির কাছাকাছি আছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জিম্মি নিয়ে সমঝোতার বিষয়ে বলেছেন, আমরা আগে যেখানে ছিলাম তার চেয়ে কাছাকাছি আছি। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহও। তবে জিম্মি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে হামাস কী দাবি উত্থাপন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাদের হাতে ২ শতাধিক জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৫ নভেম্বর রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গাজায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দিতে চায় হামাস। ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে এ নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছাতে চান কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হলেও স্থায়ী যুদ্ধ বিরতিতে তাদের আগ্রহ নেই বলেই মনে হচ্ছে। হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের বিনিময়ে তারা গাজায় ত্র্রাণ পাঠানোর সুবিধা দিতে চায়। কিন্তু তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হামাসের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া। গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ পথ ও আশ্রয়স্থল ধ্বংস করার পাশাপাশি সব স্থাপনা ধ্বংস এবং সর্বাধিক সংখ্যক হামাস সদস্যকে হত্যার টার্গেট নিয়েছে তারা। এ টার্গেট যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে ইরানের দিক থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে ইসরায়েল। গাজায় হামাস নিধনের নামে ফিলিস্তিনি নিধনের যে অপকর্ম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *