কক্সবাজার সংবাদদাতা: বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছে। এত বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসায় দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন আছে। এর চিকিৎসা খুবই জটিল এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কিডনি রোগীদের বিদেশমুখী প্রবণতা কমাতে এবং দেশে চিকিৎসাসেবার মান বাড়ানোর কোনও বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক কনফারেন্সে কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা জানিয়েছেন। কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্র পাড়ে অবস্থিত সি পার্ল বিচ রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার রাতে তিন দিনের এ কনফারেন্স শুরু হয়।
কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে দেশের অধিকাংশ কিডনি রোগী সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এজন্য দেশে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা সহজলভ্য এবং চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। তরুণ চিকিৎসকদের কিডনি রোগের চিকিৎসায় আধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। এই কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদেশি রিসোর্স পারসন ও বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দেশের নবীন কিডনি চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে তারা দেশের সাধারণ ও গরিব কিডনি রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দিতে পারেন। সরকার জেলা পর্যায়ে প্রতিটি হাসপাতালে ১০ বেডের এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ বেডের কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেন্টার করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আরও অভিজ্ঞ কিডনি চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফের প্রয়োজন আছে।
কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্রসহ সার্কভুক্ত দেশসমূহের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় চার শতাধিক বাংলাদেশি কিডনি রোগী চিকিৎসক অংশ নিয়েছেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নিউরোলজির সভাপতি অধ্যাপক নারায়ণ প্রসাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ বাবরুল আলম।