কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মহামারির মতোই ঝুঁকিপূর্ণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মহামারির মতোই ঝুঁকিপূর্ণ

আইটি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার আগামী দিনগুলোয় বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে, না দুর্ভোগ বাড়াবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে রয়েছে নানা জল্পনা। এরই মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামাজিক প্রভাব নিয়ে সতর্কও করেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একটি দল। মহামারি ও পারমাণবিক যুদ্ধের মতো একই শ্রেণিতে বিলুপ্তির ঝুঁকি হিসাবে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এ প্রযুক্তিকে।
মঙ্গলবার শত শত স্বাক্ষর সংবলিত বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর এআই সেফটি। স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে গুগলের ডিপমাইন্ড, ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি ও এআই স্টার্টআপ অ্যানথ্রপিকের প্রধান নির্বাহীরাও রয়েছেন। বিবৃতিতে ওপেনএআই-এর সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা অস্তিত্বসূচক ভয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে এ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য আহ্বান জানান। তারা বলেন, এআই চাকরির বাজারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে, লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া বিভ্রান্তি, বৈষম্য ও জালিয়াতির কারণে অস্ত্রের রূপ নিতে পারে। এআই-এর গডফাদার হিসাবে খ্যাত জিওফ্রে হিন্টনও রয়েছেন স্বাক্ষরদাতার মাঝে। চলতি মাসে এই প্রযুক্তিকে ‘অস্তিত্বগত ঝুঁকি’ উল্লেখ করে গুগল ছেড়ে যান তিনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেশিন লার্নিং-এর অধ্যাপক ও মাইন্ড ফাউন্ড্রির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল অসবোর্নের মতে, চিঠিটি প্রথম হিসাবে নয়, বরং বিস্তৃত পরিসর থেকে স্বাক্ষরদাতা ও ‘অস্তিত্বের উদ্বেগের’ কারণে প্রভাবশালী।
তিনি বলেন, এই চিঠি দেখায় যে আমাদের মধ্যে যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অস্তিত্বের ঝুঁকি একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তব উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহামারি ও সামরিক অস্ত্রকে নতুন রূপ দিয়ে মানব অস্তিত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে এআই। অসবোর্ন জানান, অভিনব এ হুমকি তাকে স্বাক্ষর করতে পরিচালিত করেছিল। গত নভেম্বরে চালু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী চাঞ্চল্য তৈরি করে চ্যাটজিপিটি। তখন থেকে ভাষার যান্ত্রিক মডেলটি লাখ লাখ মানুষ ব্যবহার করে আসছেন ও যা প্রযুক্তির যে কোনো ভবিষ্যদ্বাণীর চেয়ে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। বিষয়টি অনুধাবন করে তখন থেকেই সতর্কতা উচ্চারণ করে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *