ডা. নাজিয়া মেহেনাজ জ্যোতি
শিশুরা মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে। বিস্কিট, চকোলেট, আইসক্রিম খেয়ে শিশু দাঁত নষ্ট করে ফেলে। দাঁত ব্যথা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া এগুলো কমন সমস্যা শিশুদের।
শিশুর ৬ মাস বয়স থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যে মাড়িতে দাঁত ওঠা শুরু করে। ৩ বছরের মধ্যে সব দুধ দাঁত মাড়িতে উঠে যায়। শিশুর দাঁত ওঠা থেকেই যত্ন শুরু। রাতে দুধ খাওয়ানো শেষ হলে নরম পাতলা কাপড় দিয়ে শিশুর দাঁতের উপর দুধের আবরণ মুছে দিতে হবে।
শিশুর বেশিরভাগ দাঁত ব্যথার কারণ মাড়ির প্রদাহ ও দন্তক্ষয়। শিশুকে নিয়মিত দুই বেলা দাঁত পরিষ্কার করা বিশেষ করে আঠালো যেকোনো খাবার গ্রহণের পর দাঁত ব্রাশ করা আবশ্যক।
মা ও পরিবারের সবার উচিত শিশুর সামনেই দাঁত ব্রাশ করা। শিশুরা দেখে শিখে এবং নিজের হাতে ব্রাশ করা না পর্যন্ত শিশুকে ব্রাশ করিয়ে দিতে ৫ বছরের নিচে বয়স্কদের নন ফ্লুরাইড ও টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে হবে। ৫-১২ বছরের শিশুদের জন্য আছে ব্যালেন্সড ফ্লুরাইড পেষ্ট, যেখানে ফ্লুরাইড আছে ৫০০ পিপিএম। বড়দের জন্য ফু¬রাইড প্রয়োজন ১০০০ পিপিএম। শিশুকে আকর্ষণীয় ব্রাশ কিনে দিন যাতে দাঁত ব্রাশ করার আগ্রহ বাড়ে। এক ব্রাশ দুই বা তিন মাসের বেশি ব্যবহার করা নিষেধ। মাউথ ওয়াশ ও ফ্লশিং ছেলেবেলা থেকে শিখতে হবে। দাঁতের যেকোনো সমস্যা যেমন দাঁত ব্যথা, মাড়ির প্রদাহ, দন্তক্ষয়, দাঁত হলদে ভাব হলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
[লেখক: সহকারি অধ্যাপক, পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা]