ড. পিয়ার মোহাম্মদ: আশেক অর্থ প্রেমিক। সেই বিচারে আশেকে রাসুল বলতে বুঝায় যিনি হযরত রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসেন। এ ভালোবাসার অর্থ হযরত রাসুল (সা.)-কে নিজের জান, মাল, পিতামাতা ও স্ত্রী-সন্তান এমনকি সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা এবং তাঁর নির্দেশমত সাধনার মাধ্যমে দয়াল রাসুল (সা.) ও মহান আল্লাহ্র দিদার লাভ করে আত্মসমর্পণ করা। আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) মুরিদদের সেই সাধনা শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তাঁর শিক্ষামত মোরাকাবা করে অনেকেই দয়াল রাসুল (সা.) ও মহান আল্লাহ্ পাকের দিদার লাভ করছেন। সেজন্য তিনি মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারীদের আশেকে রাসুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
দয়াল মোর্শেদ তাঁর নিজ মোর্শেদ পিরানে পির দস্তগির সুলতানুল মাশায়েখ সুলতানিয়া মোজাদ্দেদিয়া তরিকার ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর প্রেমের টানেই বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের সূচনা করেন। নিরন্তর প্রেমের স্মারক হিসেবে তিনি তাঁর জীবদ্দশায় মোর্শেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতি বছর তিনি বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন করেছেন। তাঁকে দেখেছি নিজের মোর্শেদের প্রেমে তিনি কতটা বিভোর ছিলেন। দয়াল মোর্শেদের স্মরণে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে যেন কোনোরকম ঘাটতি না হয় সেজন্য সব সময় তৎপর থাকতেন। থাকবেনইবা না কেন, দয়াল মোর্শেদের শানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘাটতি হলে যে দয়াল মোর্শেদের প্রতি যথার্থ ভালোবাসা প্রদর্শন করা হবে না। তাতো হতে পারে না। সেজন্য বাবাজানের কাছে এ অনুষ্ঠান ছিল সবার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আবার এ অনুষ্ঠানে আগত আশেকে রাসুলদের তিনি দয়াল মোর্শেদের মেহমান হিসেবে চিন্তা করতেন। সেজন্য এ অনুষ্ঠানে এসে কেউ যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন সেই বিষয়ে সচেতন থাকতেন। তাদের আপ্যায়নের বিষয় তদারকি করতেন। মোর্শেদের কথা বলতে গিয়ে অঝোর নয়নে কাঁদতেন। তাঁর প্রতি বছরের সেই সফল বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ছিল মোর্শেদ প্রেমের অনন্য নিদর্শন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দয়াল মোর্শেদের জীবদ্দশায় মোহাম্মদী ইসলামের বর্তমান নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর আমাদের মোর্শেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ আয়োজন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু দয়াল মোর্শেদ রাজি হননি। কেননা তাঁর কাছে মোর্শেদ প্রেমই গুরুত্ব পেয়েছে। তাই তিনি বলেছিলেন আমি আমার মোর্শেদের সম্মানেই এ সম্মেলন করব, তোমরা তোমাদের সময় তোমাদের মোর্শেদের সম্মানে করতে পার। সেসময় আমি নালায়েক সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং মোর্শেদ প্রেমের এ নিদর্শন দেখে নিজের মধ্যে প্রেমের ঘাটতি অনুভব করেছি। সেদিন দয়াল মোর্শেদ দয়াল কুদরত এ খোদা (মা. আ.)-এর আবদার মেনে না নিলেও পরবর্তী সময়ের একটি পথ নির্দেশনা ছিল সেই বক্তব্যে। আর সেই মোতাবেক দয়াল কুদরত এ খোদা (মা. আ.) তাঁর দয়াল মোর্শেদের ওফাতের পর তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে একই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের আয়োজন করছেন। এ যেন মোর্শেদ প্রেমের আবহমান ধারায় বহমান নদীর একই ধারা। সেই ধারা যেন কখনো ম্লান হবার নয় বরং দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। কালের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে মোর্শেদ প্রেমের সেই বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। ধন্য হচ্ছেন আশেকে রাসুলগণ।
মোহাম্মদী ইসলামের বর্তমান নেতৃত্বদানকারি মহামানব মোর্শেদ প্রেমের নিদর্শন হিসেবে আরো জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে আয়োজন করছেন বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। সেই সম্মেলনে এতো বেশি লোকের সমাগম হয় যে ঢাকায় তার সংকুলান না হওয়ায় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে অবস্থিত বাবে বরকত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে গত ২০২২ সাল থেকে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুলগণ সমবেত হচ্ছেন। এ আয়োজন যেমন করা হয় দয়াল মোর্শেদের প্রেমের টানে তেমনি আশেকে রাসুলগণও এ সম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন মোর্শেদ প্রেমে। দয়াল মোর্শেদ মুরিদের অন্তরে এমন প্রেম সৃষ্টি করেছেন যে আশেকে রাসুলদের এ সম্মেলনে আসতে কোনো কিছুই বাধা হতে পারে না। মোর্শেদ প্রেমে আশেকে রাসুলদের অন্তরে যেন সৃষ্টি হয় এক অজানা আকর্ষণ। দয়াল মোর্শেদের আলোচনায় এবং তাঁকে স্মরণে যেন সবার অন্তরে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল। আশেকে রাসুলদের মন প্রাণ ভরে যায় মোর্শেদ প্রেমের আহŸানে। এ যেন মোর্শেদ প্রেমের এক অনন্য নিদর্শন। যেখানে নেই কোনো দুনিয়াদারীর পাওনা। সবাই চাই শুধু মোর্শেদের প্রেম আর প্রেম। শুধু মোর্শেদ প্রেমকে পুঁজি করে সবাই ভুলে যান সব কিছু। এটাই মোর্শেদ প্রেমের অনন্য নিদর্শন।
বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের দিন ঘোষণার সাথে সাথে আশেকে রাসুলদের প্রাণে আসে নতুন জোয়ার। সবাই এ সম্মেলনকে সফল করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেন। যার যা সামর্থ ও যোগ্যতা সেটাই ব্যবহার করে ধন্য হতে চান। আমাদের দয়াল মোর্শেদ তাঁর জীবদ্দশায় এ সম্মেলন করার জন্য আহŸান করার সাথে সাথে যেমন সব আশেকে রাসুলকে দেখেছি তৎপর হতে, বর্তমান নেতৃত্বদানকারি মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের নেতৃত্বেও একইভাবে সবার মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। গত বছরের সম্মেলন ছিল ঢাকা থেকে অনেকটা দুরে এবং সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে। সেজন্য দয়াল কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে দেখেছি সবাইকে নিয়ে বারবার আলোচনা করতে। দেখেছি বারবার ত্রিশালে ছুটে গিয়ে কার্যক্রম পরিদর্শন ও পরামর্শ দিতে। দেখেছি সকল প্রতিবন্ধকতাকে মোর্শেদ প্রেমের আলোকে সমাধান করতে। আশেকে রাসুলগণ দীর্ঘ দেড় মাস ধরে কাজ করে পরিকল্পনা মাফিক সব কিছুর আয়োজন করেছেন। যার ফলে দয়াল মোর্শেদের দয়ায় সফল হয়েছে সেই সম্মেলন। এ সফলতার পিছনে একমাত্র শক্তি ছিল মোর্শেদ প্রেম। এতে আবারও প্রমাণিত হয়েছে প্রেম কখনো পরাজিত হয় না। প্রেমের শক্তিতে বলীয়ান হতে পারলেই মোর্শেদ তথা হযরত রাসুল (সা.) এবং মহান আল্লাহ্র পথে চলা যায়।
মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী আমাদের দয়াল মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) সবাইকে আহম্মদি চরিত্র অর্জনের জন্য আয়োজন করে গেছেন বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরও একই উদ্দেশ্যে আয়োজন করছেন এ সম্মেলন। এ সম্মেলনে দয়াল মোর্শেদের প্রেমের বাণী উচ্চারিত হয়, যার ফলে এ সম্মেলনে বয়ে যায় পরম শান্তির সুবাতাস। দেশি বিদেশী আশেকে রাসুলগণ যেন মাটিতে বসে ও শুয়ে ভোগ করেন বেহেশতি সুখ। সবাই খালি পায়ে নীরবে শ্রবণ করেন মোর্শেদ প্রেমের বাণী। মোর্শেদের শানে গজল হয়ে উঠে তাদের কাছে অমৃত। মোর্শেদ প্রেমের আকর্ষণেই আশেকে রাসুলগণ এ সম্মেলনে হাজির হওয়ার জন্য সারা বছরই অপেক্ষায় থাকেন এবং ছুটে আসেন অন্তরের টানে। এ সম্মেলন হয়ে উঠে আশেক মাশুকের প্রেমের সম্মেলন।
দয়াল কুদরত এ খোদা (মা. আ.) এ সম্মেলনের জন্য কত যে ত্যাগ স্মীকার করেন তা আমরা যারা কাছে থেকে দেখি তারাই বুঝতে পারি। সব ব্যথা তিনি হাসি মুখে মেনে নেন শুধু মাত্র মোর্শেদ প্রেমের কারণে। দয়াল মোর্শেদ ওফাতের পূর্বে আমাদের নালায়েকদের মুক্তির জন্য তাঁর হাতে উঠিয়ে দিয়ে গেছেন। আমাদের মুক্তির ব্যবস্থা না হলে দয়াল মোর্শেদকে কি জবাব দিবেন সে চিন্তায় তিনি বিভোর। সেজন্য তিনি এ সম্মেলনের আয়োজন করে আমরা যেন সফলকাম হতে পারি সে চেষ্টা করেন। আমরা যে দয়াল কুদরত এ খোদা (মা. আ.)-এর মোর্শেদের মুরিদ সন্তান সেজন্য আমরা যেন সম্মেলনে এসে কোনো রকম কষ্টের সন্মুখীন না হই সেজন্য তাঁর চেষ্টার অন্ত থাকে না। আমরা নালায়েকদের প্রার্থনা ওগো দয়াল মোর্শেদ মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর আমাদের কথা ভাবেন। আপনি আমাদের প্রতি সহায় হন আমরা যেন এ প্রেমের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তির সন্ধান পাই।
মোহাম্মদী ইসলামের বর্তমান কান্ডারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর আরো বড় পরিসরে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন আয়োজন করার চেষ্টা করছেন। বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মোহাম্মদী ইসলাম ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া তিনি মোহাম্মদী ইসলামের জন্য দেশে বিদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন। প্রতিটি আশেকে রাসুলের খোঁজ খবর রাখছেন এবং সবার যেন কল্যাণ হয় সেই চেষ্টা করছেন। সকলের সহযোগিতার কারণেই মোহাম্মদী ইসলাম এখন বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে সফলভাবে প্রচারিত হচ্ছে। গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘গ্লোবাল আশেকে রাসুল (সা.) কনফারেন্স’ যাতে সারা বিশ্বের মানুষের মোহাম্মদী ইসলামের প্রতি অনুরাগের প্রমাণ মেলে। বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনে এসে বিশ্ববাসী যেন মোর্শেদ প্রেমের শক্তিতে শক্তিমান হয়ে উঠেন। নিজ নিজ দেশে ফিরে সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মোহাম্মদী ইসলামের সৈনিক হিসেবে কাজ করেন। মুক্তিকামী আশেকে রাসুলদের তাই উচিত বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নিজেদেরকে খেদমতে নিয়োজিত রেখে প্রকৃত আশেকে রাসুল হওয়ার জন্য রহমত ও বরকতে সম্পৃক্ত হওয়া।
গত ২০২২ সালের ২৩শে ডিসেম্বর ত্রিশালের বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফেই মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর আয়োজন করেন বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। এ সম্মেলনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রেমের টানে যেমন যোগদান করেন আশেকে রাসুলগণ তেমনি বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে নানা বর্ণের আশেকে রাসুলগণ ছুটে আসেন এ সম্মেলনে। সমাজের কত উঁচু স্তরের মানুষ, বিদেশের কত ধনী ব্যক্তি সেখানে এসে এক কাতারে মাটিতে বসেই যেন শান্তি পান। তারা সব কিছু ভুলে গিয়ে মোর্শেদ প্রেমে বিহ্বল হয়ে পড়েন। নানান দেশের নানান বর্ণের নানান ভাষার মানুষের সেদিন যেন এক ভাষা তা হলো অন্তরে মোর্শেদ প্রেম। সেদিন মনে হয়েছে প্রেমের একমাত্র ভাষা অন্তরের আকুলতা। তার বহিঃপ্রকাশ আশেকে রাসুলদের মোর্শেদ প্রেমের এ সম্মেলন।
মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের আহŸানে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকে এবং সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল ও মুক্তিকামী মানুষ এসে যোগদান করবেন। এ সম্মেলন একদিকে যেমন আল্লাহ্র অলীদের সম্মেলন অন্যদিকে মোর্শেদ প্রেমের এক অভাবনীয় মিলন মেলা।
সারা পৃথিবীর রাসুলপ্রেমী ও মোর্শেদ প্রেমীদের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান এ বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর দয়াল মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)-এর শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আহ্বান করেন বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন। এ সম্মেলনে একদিকে যেমন আশেকে রাসুলগণের মহামিলন ঘটে অন্যদিকে একজন মহামানবের জন্ম উপলক্ষ্যে বিশেষ রহমত ও বরকতের আশাও করা যায়। এ বরকতময় অনুষ্ঠানে সরোয়ারে কায়েনাত, মোফাখ্খারে মওজুদাত হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা আহমদ মোজতবা (সা.) ও তাঁর আহলে বায়েত, সাহাবায়ে কেরাম, খোলাফায়ে রাশেদিন, জামে আম্বিয়া, জামে আওলিয়া ও পৃথিবীর সমস্ত আশেকে রাসুল এবং মোমেন মু’মেনাদের উপর বিশেষভাবে দোয়া করা হয়ে থাকে। এ প্রেমের অনুষ্ঠানে হাজির হলে তার অংশীদার হওয়ার সুযোগ মেলে। প্রেমের টানে প্রেমিক হওয়ার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়।
আল্লাহ্ তায়ালার প্রিয় বন্ধুগণের অনুষ্ঠান বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনে হাজির হয়ে আশেকে রাসুলগণ যেমন মোর্শেদ প্রেমে আরো বলীয়ান হতে পারেন তেমনই অন্যদেরও মোর্শেদের প্রেম অনুধাবন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। মহান আল্লাহ্ পাকের নিকট প্রার্থনা তিনি যেন আমাদের এ বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের জন্য দয়া করে কবুল করেন। আমিন।