বাণিজ্য ডেস্ক: শিক্ষা, চিকিৎসা, কেনাকাটা বা ব্যাবসায়িক প্রয়োজন-সব কিছু মিলেই প্রতিবছর বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভারতে যাচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। ২০২২ সালে ভারতে যে পরিমাণ পর্যটক গমন করে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যায় বাংলাদেশ থেকে। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
মূলত অভিবাসন ব্যুরোর সাময়িক তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২২ সালে ভারতে যত পর্যটক এসেছিল, তার অর্ধেকের বেশি আসে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক গিয়েছিল মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৭ জন, বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিল ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬০ জন আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্য থেকে গিয়েছিল ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৬৮ জন। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা।
গত বছর বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের কাছ থেকে ভারতের আয় হয়েছে ১৬.৯৩ বিলিয়ন বা এক হাজার ৬৯৩ কোটি ডলার। তবে চলতি বছর বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ আবার শীর্ষস্থানে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতে গত বছর মোট ৬১ লাখ ১৯ হাজার পর্যটক আসে, আগের বছরের চেয়ে যা ৩০৫.৪ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালে ভারতে রেকর্ড এক কোটি ৯৩ লাখ পর্যটক এসেছিল। কিন্তু এরপর করোনা মহামারি শুরু হলে সেই ধারায় ছেদ পড়ে।
২০২২ সালের মতো ২০২১ সালেও ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যদিও এর আগের পাঁচ বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গেছে বাংলাদেশ থেকে।
তবে ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে চলতি বছর আবারও বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভারতে যত পর্যটক গেছে, তার মধ্যে ২৩.৫ শতাংশ বাংলাদেশি; এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক ১৮.১ শতাংশ আর যুক্তরাজ্যের ৯.২ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপের বেশ কিছু দেশের কনস্যুলেট না থাকার কারণে অনেকে ভারতে এসে ভিসার আবেদন করতে বাধ্য হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতে চিকিৎসা করাতে যায়। ভুটান ও নেপালের অধিবাসী ছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের ভারতে আসতে ভিসা নিতে হয়। ভারতে চিকিৎসার মান ভালো ও ব্যয় কম হওয়ায় দেশটির পর্যটন খাত আরো সম্প্রসারিত হবে বলে দেশটির বিশ্লেষকরা মনে করছেন।