আইএমএফসহ দাতা সংস্থাগুলোর পরামর্শ গলাধঃকরণে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশসহ সব দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায়ও বিপদ ডেকে আনছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সব খাতের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের সুবিধা প্রদান ও বিদেশি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে সুদহার বৃদ্ধি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্ধারিত দরে ডলার কিনতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করলে গভর্নর বলেছেন এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে, অচিরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গভর্নর। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম। ঋণ পাওয়ার জন্য একজন নারী উদ্যোক্তাকে তার বাবা, ভাই কিংবা স্বামীকে জামানতকারী হিসেবে দেখাতে হয়। কোনো নারীকে জামানতকারী হিসেবে দেখালে ব্যাংকগুলো সেটি গ্রহণ করতে চায় না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে কামনা করা হলে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন গভর্নর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র বৈঠক শেষে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআই সভাপতিকে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিকহারে সুদহার বাড়বে না। ধাপে ধাপে কিছু বাড়তে পারে। ডলারের দাম প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ট্রেড ব্যালেন্স সমান হওয়ায় ডলারের দাম বেশি হওয়ার কথা নয়। বিশ্বমন্দার মুহূর্তে ব্যবসা বাণিজ্যের শ্রীবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে ব্যাংক ঋণের হার ব্যবসায়ীদের সাধ্যের মধ্যে রাখার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে উদার হতে হবে। ডলার সংকট অবসানেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।
You can share this post!
editor