নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় ও অতিবৃষ্টির প্রভাবে লক্ষীপুরে রোপা আমন, শীতকালীন শাকসবজি, রবিশস্য ও বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে প্রায় ১শত ৩৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, লক্ষীপুর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান আমন মৌসুমে লক্ষীপুরে ৭৪ হাজার ৪শত ১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ১৮ হাজার ৭ শত ৪ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪ শত ৪৩ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১৬ হাজার ২ শত ৬১ হেক্টর জমির ধান। মোট আবাদের ৬.৭২% ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৬ কোটি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৩১ হাজার ২ শত ৪৫ জন।
চলমান মৌসুমে চাষ হওয়া ২ হাজার ২০ হেক্টর শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে ৮ শত ৭৫ হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ১০ হাজার ৪ শত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
এছাড়া ৩ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া বোনা আমনের মধ্যে ১ শত ৮৩ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৬৭ হেক্টর বীজ সয়াবিনের জমি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ১১ হেক্টর সরিষা, ১৫ হেক্টর খেসারী, ২ হেক্টর মসুর ও ১৮ হেক্টর বোরো বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, লক্ষীপুর সূত্র বলছে, জেলার আবাদকৃত ৮২ হাজার ৯ শত ৪৪ হেক্টর আবাদকৃত জমির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সৃষ্ট দমকা ও ঝড়ো হাওয়া এবং অতিবৃষ্টিতে ২০ হাজার ৮ শত ৩৭ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ২ শত ৫৫ হেক্টর জমির ফসল। ১৭ হাজার ৫ শত ৮২ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে। আর্থিকমূল্যে ১ শত ৩৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকার ফসলহানি হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৪৫ হাজার ৫ শত ৫ জনকৃষক।