মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অপরাধপ্রবণ করে। সেই অপরাধের স্বীকারোক্তি নিয়ে কখনো বা বান্দা হাজিরা দেয় আল্লাহর দরবারে। বিগলিত হৃদয়ে বিনয়াবনত হয়ে দুই হাত তুলে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করে। ক্ষমা পাওয়ার পরম আশায় চোখ থেকে নীরবে অশ্রু ঝরে।
আল্লাহ তাআলা এ দৃশ্য খুবই পছন্দ করেন। তিনি চান বান্দা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক। অতীতের মন্দকর্মের কারণে লজ্জিত হয়ে প্রত্যাশার অশ্রু ঝরাক। আল্লাহ তো ক্ষমা করেই দেন।
কোরআন কারিমে এসেছে, ‘তারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোনো মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের ওপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন।’ (সুরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ১৩৫)
ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে বহু পুরস্কারে ভ‚ষিত করেন। তন্মধ্যে কিছু পুরস্কার নিম্নে তুলে ধরা হলো-
ক্ষমাপ্রার্থনাকারী আল্লাহর প্রিয় ও স্নেহপাত্র:
আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে পছন্দ করেন। গুনাহমুক্ত হওয়ার জন্য বান্দা তাওবা করুক-এটা তিনি ভালোবাসেন। কোরআন কারিমে এসেছে ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা ২: আয়াত ২২২)
ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে পেরেশানিমুক্ত রিজিক দেন: ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত রাখেন। সব ধরনের পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করে বান্দার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন এবং প্রয়োজন পূরণ করে দেন। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা সর্বদা নিজের ওপর আবশ্যক করে নেয়, আল্লাহ তাকে সব ধরনের বিপদ থেকে মুক্তির পথ বের করে দেন, সব পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করেন এবং এমন স্থান থেকে রিজিক দান করেন, সে কল্পনাও করতে পারে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮)
পার্থিব নিয়ামতে ভরপুর করে দেন:
আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে পার্থিব জগতে উত্তম জীবন উপভোগ ও নিয়ামতে ডুবিয়ে রাখেন। একজন নবির জবানে কোরআনে এসেছে, ‘আর হে আমার জাতি! তোমাদের পালনকর্তার কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ করো, তিনি আসমান থেকে তোমাদের ওপর বৃষ্টিধারা প্রেরণ করবেন এবং তোমাদের শক্তির ওপর শক্তি বৃদ্ধি করবেন, তোমরা কিন্তু অপরাধীদের মতো বিমুখ হয়ো না।’ (সুরা হুদ, আয়াত ৫২)
ক্ষমা প্রার্থনাকারীর হৃদয় স্বচ্ছ করে দেন: আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীর হৃদয়কে স্বচ্ছ ও মসৃণ করে দেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই মুমিন যখন কোনো গুনাহ করে তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। তখন সে যদি তাওবা করে, গুনাহ ছেড়ে দেয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে যদি তার গুনাহ বাড়তে থাকে তাহলে অন্তরের কালো দাগও বাড়তে থাকে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৪)
তাই, আমাদের উচিত আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজ গুনাহর জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ক্ষমা প্রার্থনাকারীর প্রতি আল্লাহর পুরস্কার
মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অপরাধপ্রবণ করে। সেই অপরাধের স্বীকারোক্তি নিয়ে কখনো বা বান্দা হাজিরা দেয় আল্লাহর দরবারে। বিগলিত হৃদয়ে বিনয়াবনত হয়ে দুই হাত তুলে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করে। ক্ষমা পাওয়ার পরম আশায় চোখ থেকে নীরবে অশ্রু ঝরে।
আল্লাহ তাআলা এ দৃশ্য খুবই পছন্দ করেন। তিনি চান বান্দা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক। অতীতের মন্দকর্মের কারণে লজ্জিত হয়ে প্রত্যাশার অশ্রু ঝরাক। আল্লাহ তো ক্ষমা করেই দেন।
কোরআন কারিমে এসেছে, ‘তারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোনো মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের ওপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন।’ (সুরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ১৩৫)
ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে বহু পুরস্কারে ভ‚ষিত করেন। তন্মধ্যে কিছু পুরস্কার নিম্নে তুলে ধরা হলো-
ক্ষমাপ্রার্থনাকারী আল্লাহর প্রিয় ও স্নেহপাত্র: আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে পছন্দ করেন। গুনাহমুক্ত হওয়ার জন্য বান্দা তাওবা করুক-এটা তিনি ভালোবাসেন। কোরআন কারিমে এসেছে ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা ২: আয়াত ২২২)
ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে পেরেশানিমুক্ত রিজিক দেন: ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত রাখেন। সব ধরনের পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করে বান্দার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন এবং প্রয়োজন পূরণ করে দেন। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা সর্বদা নিজের ওপর আবশ্যক করে নেয়, আল্লাহ তাকে সব ধরনের বিপদ থেকে মুক্তির পথ বের করে দেন, সব পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করেন এবং এমন স্থান থেকে রিজিক দান করেন, সে কল্পনাও করতে পারে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮)
পার্থিব নিয়ামতে ভরপুর করে দেন: আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে পার্থিব জগতে উত্তম জীবন উপভোগ ও নিয়ামতে ডুবিয়ে রাখেন। একজন নবির জবানে কোরআনে এসেছে, ‘আর হে আমার জাতি! তোমাদের পালনকর্তার কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ করো, তিনি আসমান থেকে তোমাদের ওপর বৃষ্টিধারা প্রেরণ করবেন এবং তোমাদের শক্তির ওপর শক্তি বৃদ্ধি করবেন, তোমরা কিন্তু অপরাধীদের মতো বিমুখ হয়ো না।’ (সুরা হুদ, আয়াত ৫২)
ক্ষমা প্রার্থনাকারীর হৃদয় স্বচ্ছ করে দেন: আল্লাহ তাআলা ক্ষমা প্রার্থনাকারীর হৃদয়কে স্বচ্ছ ও মসৃণ করে দেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই মুমিন যখন কোনো গুনাহ করে তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। তখন সে যদি তাওবা করে, গুনাহ ছেড়ে দেয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে যদি তার গুনাহ বাড়তে থাকে তাহলে অন্তরের কালো দাগও বাড়তে থাকে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৪)
তাই, আমাদের উচিত আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজ গুনাহর জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।