ঢাবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা তুলে ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে দেশটি নিজেই ভালো করছে। তাদের বিদেশি পরামর্শের দরকার নেই। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ডিসাইডস্ : দ্য ইয়ুথ স্পিকস (বিডিওয়াইএস)’ শীর্ষক সংলাপের প্রথম পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাস ও হারনেট ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার, মেঘনা ব্যাংকের এমডি মো. সোহেল হোসেন, রোটারির গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, আইটোর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান, জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের গভর্নর ড. জারিন দেলাওয়ার হুসেন এবং জেসিআইয়ের জাতীয় সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, অভিনেত্রী সোহানা সাবা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হারনেট টিভি ও হারনেট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলিশা প্রধান।
অনুষ্ঠানে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ, অন্যতম বৃহৎ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশ। তাদের উন্নতি করার সক্ষমতা আছে এবং তারা এটি করছে। কেননা এ দেশে ভালো বিজ্ঞানী, ভালো কৃষিবিদ, খাদ্যবিজ্ঞানী আছে। আমরা পারস্পরিক লাভের জন্য কাজ করতে পারি।
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি ইউরোপ থেকে অনেক বেশি ব্যবসায়িক বিনিয়োগ এ দেশে প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশ ২০৩০ সালে নবম বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে পরিণত হবে। আমাদের যেসব কোম্পানি নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে, তারা এ দেশে আসতে আগ্রহী। কিন্তু কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। কেননা এখানে আমাদেরও অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। অনুষ্ঠানে তরুণসমাজের ছয়জন প্রতিনিধি প্রতিপাদ্য বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন। তাঁরা নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তরুণসমাজের ভূমিকা ও বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে নিজেদের মত উপস্থাপন করেন। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন ও সরকারি পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।