খেলাধুলা ও বিনোদন শিশুর অধিকার

খেলাধুলা ও বিনোদন শিশুর অধিকার

আহমাদ মাইমুন: শিশু-কিশোর বলতে আমরা বুঝি বয়সের স্বল্পতার কারণে যাদের দেহ, মন ও মগজ পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়নি। আজকের শিশু আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক। ইসলামে শিশু-কিশোরদের ওপর সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উৎসাহ দিয়েছে নিরাপদ পরিবেশে জীবন-যাপন করার।
মহান আল্লাহ্ অত্যন্ত সুন্দরভাবে আমাদের শারীরিক অবকাঠামো তৈরি করেছেন। অতঃপর সুস্থ থাকার জন্য খেলাধুলা, বিনোদন ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খাদ্য-খাবার, আহারবিহার ও শরীরচর্চার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের এই সুন্দর শরীর আল্লাহ্ প্রদত্ত নিয়ামত। মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘আমি মানুষকে সুন্দর অবয়বে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা তিন ৯৫: আয়াত ৪)
শরীর অসুস্থ থাকলে ইবাদত, আনুগত্য, পরিশ্রম, বিনোদন ইত্যাদি কোনো কিছু ভালো লাগে না। এক্ষেত্রে ভালো স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ব্যয়াম করা। তাই শিশুদের স্বাস্থ্য, বিনোদন ও খেলাধুলার প্রতি অভিভাবকদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। খেলাধুলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে।
খেলাধুলার পরিশ্রমের কারণে রক্ত সঞ্চালন হেতু পরিপাকতন্ত্র সবল হয়, খাদ্য হজমে সহায়ক হয় এবং ঘাম নির্গত হয়ে শরীরের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। সাময়িক ক্লান্তি হলেও দৈহিক শক্তি সঞ্চয় হয়। খাদ্যের চাহিদা বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে। এটা শিশুদের অধিকার। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমার শরীরের প্রতি তোমার কর্তব্য ও অধিকার আছে।’ (মুসলিম, হাদিস ২৭৮৭))
খেলবে শিশুরা, খেয়াল রাখবে অভিভাবকরা। তাস, পাশা, জুয়া, দাবা, কেরাম, লুডু ইত্যাদি খেলা বাচ্চাদের অলস, দুর্বল ও নেশাগ্রস্ত করে তোলে। সুতরাং এসব খেলা পরিত্যাগ করে শ্রমনির্ভর খেলা দৌড়, সাঁতার, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল ইত্যাদি খেলায় অভ্যস্ত করে গড়ে তুলতে হবে। তবে পড়াশোনা ও ইবাদতে যেন ব্যাঘাত না ঘটে-সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *