নারী ডেস্ক: নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিনিয়ত শেখার মনমানসিকতা থাকতে হবে, সময়োপযোগী দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। কোনো পণ্য বাজারে আনার আগে গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে। নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে, তবেই একজন উদ্যোক্তা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন হবেন। ভালো করতে পারবেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় উইমেন ই-কমার্স এন্টারপ্রেনারশিপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা দেশের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) এই সামিটের আয়োজন করেছে। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত সামিটে সহযোগিতা করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইয়িং অথরিটিজ ও উইমেন এন্টারপ্রেনারস ফিন্যান্স ইনিশিয়েটিভ (উই-ফাই)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘দেশের বিপুলসংখ্যক নারীর মধ্যে উই এখন অন্তত পাঁচ-ছয় লাখ নারীকে এক করেছে। যদি এটা কোনোভাবে আর ছয় থেকে আট গুণ হয়, তাহলে সেটা কী হবে, একবার ভেবে দেখুন। সারা দেশে এখন তাঁরা কাজ করছেন। এটা তখন বিশ্বদরবারে পৌঁছতে সময় লাগবে না।’
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কভিডের সময় আমাদের লাইফলাইন ছিল ই-কমার্স।
তখন থেকে এই পর্যায়ে এসে একটা সফল উদ্যোগও বলা যায় দেশের ই-কমার্স।’ এর আগে সাড়ে চার হাজার নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। সামনে আরো পাঁচ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অপারেশন অফিসার গায়লে মার্টিন বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করছে।
এমজিআই গ্রুপের পরিচালক ও উদ্যোক্তা ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারীদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা খুব কঠিন।
সেটা সামলে সামনে এগোনোও খুব কঠিন। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা তাঁদের আত্মবিশ্বাস কম থাকা। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে, তাহলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।’
উই ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, ‘বাজারে একই পণ্য থাকবে, কিন্তু আপনি তাদের থেকে আলাদাভাবে কী উপস্থাপন করেছেন, সেটাই জরুরি। পণ্যে নতুনত্ব আনতে হবে। নিজেদের রিসার্চ করে দেখতে হবে বহির্বিশ্ব কী করছে, কতটা ইনোভেশন আনছে, সেগুলো জানতে হবে। তবেই একজন উদ্যোক্তা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন হবেন।’
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ছিল ছয়টি প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা ও ইনফ্লুয়েন্সার স্পিচ। এসব সেশনে বিশেষ আলোচক হিসেবে দেশ-বিদেশের অসংখ্য বক্তা এবং বিভিন্ন খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। সামিটের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডিএমপি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সিটিটিসির এডিসি নাজমুল ইসলাম, আইসিটি অধিদপ্তরের ডিজি মোস্তফা কামাল প্রমুখ।