নারী ডেস্ক: চট্টগ্রামে ৪ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছে। নিম্নে তাদের
সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
জান্নাতুল নাঈমা: উপজেলার পূর্ব কেশুয়ার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জান্নাতুল নাঈমা ৩ বোনের মধ্যে একজন। অল্প বয়সে মাকে হারান, বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। সেই ঘরে আরেকটি মেয়ে সন্তান হওয়ার পর তার পিতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একটি পা অবশ হয়ে যায়। সংসারে নেমে আসে আর্থিক সংকট। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করে এখন ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। টিউশনি করে নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি ২ বোনকে পড়াচ্ছেন তিনি।
সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে সেলাই মেশিনের কাজ শিখে, সেলাই কাজ শুরু করে। মহিলা সংস্থার সহযোগিতায় একটি চাকরি পান। কোনোরকমে চলে তার সংসার।
শামীম আকতার: দক্ষিণ জোয়ারা গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে অভাবের সংসারে অতিকষ্টে ১৬ সালে অনার্সসহ মাস্টার্স পাস করেন। বর্তমানে ব্র্যাক চন্দনাইশ অফিসের ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি শত প্রতিকূলতার মাঝে নিজে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।
আরতী ঘোষ: দোহাজারী জামিজুরী গ্রামে দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় লেখাপড়া তেমন করতে পারেননি। ১৯৭১ সালের ১৪ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে স্বামীকে নিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে আসে। অতিকষ্টে ৪ ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন।
১ম সন্তান দীপক কান্তি ঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, রূপক কান্তি ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কৃঞ্চ কান্তি ঘোষ জামিজুরী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের শিক্ষক, সুজন ঘোষ একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বেবী আকতার: সৈয়দাবাদ গ্রামের আবদুল বারীর স্ত্রী বেবী আকতার সংসার জীবনে ১০ বছর যাবৎ ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি সভায় প্রধান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন তিনি। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা, লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি এলাকার অসহায় মেয়েদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।