ছাদে ৭০ প্রজাতির ফলের গাছ

ছাদে ৭০ প্রজাতির ফলের গাছ

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁও শহরের ঘোষপাড়ার মিন্টু আহমেদ। গাছের প্রতি তার ভালোবাসা ছোট থেকেই। প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল বাগান করার। শহরে বাগান করার মতো ভালো কোনো পরিবেশ নেই। তাই বাসার ছাদেই গড়ে তুলেছেন। যেখানে রয়েছে ৭০ প্রজাতির ফলের গাছ। আছে সবজিও। ফল ও সবজির বাগান করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের সঙ্গে ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন তিনি। মিন্টু আহমেদ বলেন, ইউটিউবে প্রথম ছাদবাগান দেখেন তিনি। এরপর থেকে আগ্রহ জাগে, কীভাবে নিজের বাসার ছাদে করা যায় একটি বাগান। যা একইসঙ্গে পুষ্টির অভাব দূর করবে, পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাও করবে। তিনি আরও বলেন, আমি বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যেতাম, সেখানেও এই বিষয়টি নজরে পড়ে। এই থেকেই ধীরে ধীরে বাগান করা শুরু। ‘আমি প্রথমে তিনটি গাছ নিয়ে এই বাগান শুরু করি। একটি লেবু গাছ, একটি আম গাছ ও একটি মাল্টা গাছ। এরপর যখন দেখি ফলন অনেক ভালো হচ্ছে, তখন আমি আরও ফলের চারা নিয়ে আসা শুরু করি।’

ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মিন্টুর বাগানে গাছের সংখ্যা। তার ছাদ বাগানে রয়েছে- আম (১৪ জাতের), লিচু, কাঁঠাল, কমলা (৪ জাতের), মাল্টা (৩ জাতের), পেয়ারা (২ জাতের), কামরাঙা, আমড়া, জলপাই, সফেদা, শরিফা, আমলকী, বেদেনা, জাম্বুরা, জামরুল (২ জাতের), বেল, আতা, করম-চা, আপেল, নাশপাতি, ড্রাগন, আঙ্গুর (৩ জাতের), বরই (২ জাতের), লেবু (২ জাতের), ডালিমসহ দেশি-বিদেশি ৭০ প্রজাতির ফলের গাছ। ছাদের এই বাগানের উৎপাদিত ফল যেমন নিজেদের চাহিদা মেটায়, অন্যদিকে প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেও বিতরণ করেন। বাগান দেখতে অনেকেই আসছে তার বাড়িতে। ফেসবুকে মিন্টুর বাগানের কথা জেনে দেখতে এসেছেন প্রকৃতিপ্রেমী রাকিব আল রিয়াদ। তিনি বলেন, এই বাগানের কথা বেশ কিছুদিন ধরেই শুনছি, সেই সঙ্গে ফেসবুকে দেখেছি। আজ চলে এলাম দেখার জন্য, বেশ ভালো লাগল। প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন দেখি মিন্টু ভাইয়ের বাসায় লোকজন আসেন বাগানটি দেখার জন্য। মিন্টু আহমেদ বলেন, আমার মতে, যাদের বাসার ছাদ আছে, তারা সবাই এমন বাগান করতে পারে। এটি যেমন ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, ঠিক তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, মিন্টু আহমেদ বাসার ছাদে অসাধারণ একটি বাগান করেছেন।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *