পথভোলা মানুষকে তাওয়াজ্জোহ প্রদানের মাধ্যমে আল্লাহর দিকে আকৃষ্ট করার জন্য যুগে যুগে নবি-রাসুলগণ প্রেরিত হয়েছেন। দেহাকৃতিতে তাঁরা সমাজের অন্য সকল মানুষের মতো হলেও আত্মিকভাবে তাঁরা ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। আপন পবিত্র আত্মা থেকে অন্যের কলুষিত আত্মাকে তাওয়াজ্জোহ প্রদানের মাধ্যমে, তাঁরা মানুষকে হিদায়েত করতে সমর্থ ছিল। মহান আল্লাহ বলেন- “হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনি বলুন, আমি তো তোমাদেরই মতো মানবকোলে তশরিফ গ্রহণ করেছি। আর আমার প্রতি অহি প্রেরিত হয় যে, তোমাদের উপাস্য তো এক উপাস্য আল্লাহ।” (সূরা আল কাহফ ১৮: আয়াত ১১০)
সেই সাথে অশেষ দয়াময় আল্লাহ্ অন্য আয়াতে এরশাদ করেন- “সকল মানুষ একই উম্মত ছিলো। তারপর আল্লাহ নবিদের পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। আর তাঁদের সাথে সত্যসহ কিতাব নাজিল করলেন। যেন মানুষের মাঝে যে বিষয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছিল, সেটির মীমাংসা করতে পারেন।” (সূরা আল বাকারাহ ২: আয়াত ২১৩)
মহাকালের অবিরাম যাত্রায় আম্বিয়ায়ে কেরামের এ ধারাকে অব্যাহত রেখে সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হিসেবে সর্বশেষে প্রেরিত হয়েছে- হযরত রাসুল (সা.)। তিনি আল্লাহর নুর হতে সৃষ্ট এবং তাঁর নুর হতে সমগ্র জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। মহিমান্বিত আল্লাহ বলেন- “আল্লাহর নিকট থেকে এক নুর ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট এসেছে।” (সূরা-আল মায়িদাহ ৫: আয়াত ১৫)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে- “হে রাসুল (সা.)! আমি তো আপনাকে জগৎসমূহের প্রতি কেবল রহমতস্বরূপই প্রেরণ করেছি।” (সূরা আল আম্বিয়া ২১: আয়াত ১০৭)