স্বপ্নের মেট্রোরেল উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচল করছে গত ৫ নভেম্বর থেকে। গত ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলের এ রুটটি উদ্বোধন করেছেন। গত ৫ নভেম্বর থেকে তা সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে মেট্রোরেল গণপরিবহনের কাতারে ঠাঁই পেয়েছে। ১০ মাস আগে মেট্রোরেল চালু হলেও এতকাল তা একটি ক্ষুদ্র অংশের মানুষের চাহিদা মিটিয়েছে। অনেকে শখের বশে ভ্রমণ করেছেন মেট্রোরেলে। কিন্তু উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণ হওয়ায় প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথ বাড়ানো হচ্ছে এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই বর্ধিত কাজ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী গত ৪ নভেম্বর উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলের চলাচল উদ্বোধন করার পাশাপাশি এমআরটি-৫ নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করেছেন। এ লাইনটি হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে। এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনের দৈর্ঘ্য ৮.৭২ কিলোমিটার। ফার্মগেট-সচিবালয়-মতিঝিল এই তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন রয়েছে। নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় প্রথম পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলবে। মতিঝিল, সচিবালয় ও ফার্মগেট ছাড়া বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেশনগুলোতে এখন ট্রেন থামবে না। উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও সেকশনে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে। মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ লাইনটি চালু হলে রাজধানীর গণপরিবহন মেট্রোরেলের হিস্সা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। যানজট নিরসনেও তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
