মানুষের অপরিণামদর্শিতায় বিপন্ন পৃথিবী

মানুষের অপরিণামদর্শিতায় বিপন্ন পৃথিবী

মানুষের অপরিণামদর্শিতায় বিপন্ন পৃথিবী

নিকোলাস বিশ্বাস: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আমাদের পাশাপাশি এ পৃথিবীতে আরও রয়েছে পশুপাখি, গাছপালাসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক সম্পদ। এ পৃথিবীতে আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখি, তার প্রায় সবকিছুই আমাদের মহান স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন। এ স্রষ্টাকে কেউ আমরা ঈশ্বর, কেউ আল্লাহ্, আবার কেউ ভগবান বলে ডাকি।
আমরা তাঁকে যে নামেই অভিহিত করি না কেন, আসলে তিনি তো একজনই। নানাজনের নানা মত। এতে অবশ্য দোষের কিছু নেই। মানুষ স্রষ্টাকে যে নামে ডেকে সন্তুষ্ট হতে চায়, সৃষ্টিকর্তাও তাতে সন্তুষ্ট।
এখানে মুখ্য বিষয় হলো আমরা আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি কিনা। আর যদি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি, তাহলে অবশ্যই আমাদের ওপর একটা বিশেষ দায়িত্ব বর্তায়। এ দায়িত্ব নিয়েই এখানে কিছু বলার চেষ্টা করছি। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ভাবনা।
মানুষ যে সৃষ্টির সেরা জীব, এই ‘সেরা’ কথাটির গুরুত্ব বজায় রাখাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে মানুষের বাইরে আরও লাখ লাখ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। উদ্ভিদ নড়াচড়া করতে ও কথা বলতে পারে না। অন্যদিকে পশুপাখি নড়াচড়া করতে পারলেও মানুষের মতো এতটা বুদ্ধিবৃত্তিক নয়। এরা নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান করতে পারলেও মানুষের মতো কথা বলতে পারে না। অর্থাৎ আমাদের চারপাশে যে উদ্ভিদ ও পশুপাখি রয়েছে, তাদের অবস্থা অনেকটা সদ্যোজাত মানবশিশুর মতো, যারা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে কয়েক বছর বেশ অসহায় অবস্থায় থাকে। নানা প্রয়োজনে অবুঝ শিশুদের পিতা-মাতা ও অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাদের এ নির্ভরশীলতা আছে বলেই পিতা-মাতাসহ সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ভূমিকা পালনে ব্যত্যয় ঘটলে শিশুরা বিপদে পড়ে, তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে, কখনো কখনো মৃত্যুও ঘটে থাকে।
আমাদের চারপাশে মানুষ ছাড়া যেসব উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, তারা আমাদের ঘরের শিশুর মতোই অবুঝ ও পরনির্ভরশীল। শিশুদের মতো যতœ যদি আমরা তাদের না করি, তাহলে তারাও যথাযথভাবে বেড়ে উঠতে পারে না; ফুলে-ফলে শোভিত হয় না। মজার ব্যাপার হলো, মানবজাতির অস্তিত্ব টিকে থাকে এ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বদান্যতার ওপরই। এটা অনেক সময়ই আমরা বুঝে উঠতে পারি না অথবা বুঝলেও তাদের প্রতি যা যা করণীয়, তা করার চেষ্টা করি না।
আমরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সারা দিনের খাওয়া-দাওয়াসহ যত রকমের কর্মকাণ্ড সম্পাদন করি, তার পরতে পরতে উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান রয়েছে।
তাদের অনুপস্থিতিতে মানবজাতি এক মুহূর্তের জন্যও এ পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। উদ্ভিদ ও প্রাণীর কাছ থেকে খাদ্যশস্য ও ভেষজপথ্য ছাড়াও আমরা প্রতিমুহূর্তে আমাদের দেহের শ্বাসতন্ত্র দিয়ে যে অক্সিজেন গ্রহণ করি, তা উদ্ভিদ থেকেই পেয়ে থাকি। অক্সিজেন গ্রহণ করে আমরা যে দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শরীর থেকে নির্গমন করি, তা আবার এ উদ্ভিদই নীলকণ্ঠীর মতো গ্রহণ করে নেয়। এভাবে উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডলে গুণগত ভারসাম্য বজায় রাখে।
স্রষ্টার সৃষ্টির যতেœর ক্ষেত্রে মানবজাতিকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হয়। আগেই বলেছি, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু আমাদের বর্তমান বাস্তবতা কী বলে। আমরা কি সত্যিই এ গুরুদায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছি? আসলে এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা স্বার্থপরের মতো আচরণ করছি। এ স্বার্থপরতার ফল হতে পারে মারাত্মক, যা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলতে পারে। এমন এক সময় আসবে যখন এ থেকে উত্তরণের কোনো পথ খোলা থাকবে না। এ পরিণতির কিছুটা এখনই হয়তো আমরা প্রত্যক্ষ করতে শুরু করেছি এবং কোথাও কোথাও নিজেরা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েও যাচ্ছি। উন্নত বিশ্ব থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত বিশ্ব সর্বত্রই স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি, বিশেষত উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি অবিবেচনাপ্রসূত আচরণ প্রতিদিনই সংঘটিত হচ্ছে। এরূপ চলতে থাকলে প্রকৃতির প্রতিশোধ থেকে আমরা রেহাই পাব না।
ব্যক্তির ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বন উজাড় করছি, অধিক ফসল ফলানোর জন্য মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে মাটি ও বায়ু দূষিত করছি, জলজ-স্থলজ পশুপাখি ও মৎস্যসম্পদ নির্বিচারে ধ্বংস করছি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে যাচ্ছেতাই কার্যকলাপ সাধন করছি। এরূপ কার্যকলাপ ও আচরণের মাধ্যমে আমরা আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছি। আমাদের এহেন আচরণে ব্যক্তি বা সমাজ অথবা রাষ্ট্র কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই; নেই কোনো দায়বদ্ধতা। আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ দায়িত্বটুকু পালন করা; কিন্তু বাস্তবে আমরা বেশিরভাগ মানুষ অবলীলায় গা ভাসিয়ে চলছি। এর খেসারত আমাদের একদিন দিতে হবে, যা মোটেই সুখকর হবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বহু দেশ চরম মূল্য দিতে শুরু করেছে। আমরা প্রায়ই বিশ্ব গণমাধ্যমে দেখছি, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন দেশে সময়ে-অসময়ে বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঘনঘন অতিমাত্রার বজ্রপাত, আগুনে পুড়ে বন উজাড় হয়ে যাওয়া, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধিজনিত কারণে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফ গলে যাওয়াসহ পানির উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে পৃথিবীর বহু নিুাঞ্চল ধীরে ধীরে পানিতে ডুবছে এবং শুকনো ভূমির অভাবে অসংখ্য মানুষ আজ বানভাসি হচ্ছে।
স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি যদি আমরা যতœশীল হতাম এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতাম, তাহলে অবশ্যই প্রকৃতির এরূপ বৈরিতা ও ভয়াবহতা আমাদের দেখতে হতো না। অবশ্য এখন যা আমরা দেখছি এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি, তা পুরো ভয়াবহ চিত্রের অংশমাত্র। আমরা যদি এখনই সচেতন না হই এবং স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি যতœবান ও দয়ালু না হই, তাহলে প্রকৃতির ভয়াল রূপ অচিরেই আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হবে। এখন একমাত্র উপায় হলো সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া।
প্রকৃতির প্রতি আমাদের বিচারহীনতা, স্বার্থপরতা এবং অবিবেচনাপ্রসূত আচরণ অবধারিতরূপে একদিন আমাদের কুরে কুরে খাবে। তখন আমাদের করার মতো আর কিছু থাকবে না। এটা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমরা কেউই কারও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছি না। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য একটি দেশের মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ বনায়ন থাকতে হয়; কিন্তু আমাদের দেশে রয়েছে মাত্র ১৭.৪ ভাগ। এটা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। আমাদের এখনই সচেতন হওয়া ও গুরুত্বসহকারে এ বিষয়ে ভূমিকা গ্রহণ করা দরকার।
এক্ষেত্রে সমাধান কী? অবশ্যই এর সমাধান আমাদের হাতেই আছে; যা হলো স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি যতœশীল হওয়া ও দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করা। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র-এ তিনটি পর্যায়ের মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন ব্যক্তি স্বাধীন।
তার মতামতের ওপর ভালো-মন্দ নির্ভর করে। একজন ব্যক্তি চাইলেই তার বাড়িতে বা তার কোনো পতিত জমিতে গাছপালা লাগিয়ে সেসবের যতœ নিতে পারে। এ কাজটি করার জন্য তাকে কারও কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় না।
এ কাজটি করার ফলে তিনি তার নিজের ও পরিবারের কল্যাণই শুধু বয়ে আনেন না, বরং সমাজেরও মঙ্গল করেন। একটি গাছ লাগানো ও তার যতœ করা মানেই হলো অক্সিজেনের একটি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলা। এ ফ্যাক্টরি থেকে সমাজের সব মানুষ নিশ্চিতভাবে উপকৃত হতে পারে।
আমাদের গোটা জীবন-জীবিকা স্রষ্টার সৃষ্টির ওপর শতভাগ নির্ভরশীল। এটা অনেক সময় আমরা ভুলে যাই। গাছপালা, পশুপাখি ও প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না। অথচ স্রষ্টার সৃষ্টিগুলোর প্রতি আমরা কতই না অবিচার করি, যাচ্ছেতাই আচরণ করি অর্থাৎ আমরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে ফেলছি। এটা নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার শামিল।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলছে। এ যুদ্ধে ব্যবহৃত মারণাস্ত্রগুলো স্রষ্টা ও মানুষ উভয়ের সৃষ্টিগুলোকে অবলীলায় ধ্বংস করে দিচ্ছে। গাছপালা, পশুপাখি ও প্রাকৃতিক সম্পদ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে মারণাস্ত্রগুলো একটি সাজানো-গোছানো পরিপাটি ভূমিতে আঘাত হানছে, সেগুলোর আঘাতে শুধু মানুষের তৈরি ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিল্প-কলকারখানাই ধ্বংস হচ্ছে না, বরং স্রষ্টার সৃষ্ট গাছপালা, পশুপাখি ও প্রাকৃতিক সম্পদও বিনষ্ট হচ্ছে। এর দায় কোনোভাবেই সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারেন না। এ ব্যাপারে পৃথিবীর সব শান্তিকামী মানুষের সোচ্চার হওয়া দরকার।
যুদ্ধের দামামা শুধু এক জায়গায় নয়, এটি উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ খুব পরিকল্পনা করে আমরা মহান স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টিকে ধ্বংস করার আয়োজনে মেতে উঠছি। বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক বোমা মজুত রয়েছে।
এগুলো যদি কখনো যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, তাহলে স্রষ্টার সৃষ্টি নিমেষেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি। ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে যে পারমাণবিক বোমা ব্যবহৃত হয়েছিল, তার চেয়েও সহস্র গুণ শক্তিশালী ও ভয়ংকর অসংখ্য পারমাণবিক বোমা ও মারণাস্ত্র বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে মজুত রয়েছে। এটা আমাদের জন্য এক ভয়ংকর দুঃসংবাদ।
গণমাধ্যমে আমরা প্রায়ই দেখি রাশিয়া-ইউক্রেন, চীন-তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত-পাকিস্তান; এমনকি বাংলাদেশের গায়ে পড়ে মিয়ানমারও যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে। এ অঞ্চলে যদি সত্যিই যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তাহলে এশিয়া মহাদেশে জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে পড়বে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ নিদারুণ বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত হবে। ফলে প্রাণিকুল অস্তিত্বের সংকটে পড়বে; কারণ জীববৈচিত্র্য যদি বজায় না থাকে, তাহলে সেখানে কোনোভাবেই মানুষ ও জীবজন্তু বেঁচে থাকতে পারে না। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য গাছপালা, পশুপাখি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সমাহার এবং সহাবস্থান যথাযথভাবে থাকতে হয়। এগুলোর সঠিক ব্যবহার ও যতœ না থাকলে একসময় এগুলো হারিয়ে যাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিকুলও বিলীন হয়ে যাবে। পৃথিবীর ধ্বংস তখন অনিবার্য।
এবার যদি স্রষ্টার সৃষ্টির যতেœর প্রশ্নে আসি, তাহলে মানুষের প্রতিও মানুষের যতœ ও ভালোবাসা থাকতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো, কে কার যতœ নেবে? উদাহরণস্বরূপ, একজন ধনী লোক আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে যেমন একজন গরিব লোকের যতœ নিতে পারে, তেমনি একজন গরিব লোকও একজন অসুস্থ লোকের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে তার ভালোবাসা ও যতœ প্রকাশ করতে পারে।
সুতরাং আমরা অবশ্যই একে অপরের প্রতি যতœ ও ভালোবাসা দেখাতে পারি। তবে এর প্রকাশ হতে পারে ভিন্ন ভিন্নভাবে। এটি নির্ভর করে আমাদের মনমানসিকতার ওপর। আর্থিক সামর্থ্য এখানে মুখ্য বিষয় নয়। সমগ্র সৃষ্টির প্রতি আমাদের অনেক করণীয় রয়েছে। মানবতা ও ভালোবাসা সমগ্র সৃষ্টির প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে পারে।
[লেখক: জাতিসংঘ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত গণমাধ্যম ফ্রিল্যান্সার]

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *