ড. মো. মোরশদেুল আলম
বলেজয়িামরে বখ্যিাত লখেক গুন্টার পাওলি তার ‘দ্য ব্লু ইকোনমি গ্রন্থে লখিছেনে, ব্লু ইকোনমি হলো র্অথনীতরি এমন একটি বষিয়, যখোনে একটি দশেরে সামুদ্রকি পরবিশে কংিবা সামুদ্রকি সম্পদরে সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষণাবক্ষেণ নয়িে আলোচনা করা হয়। এর আরকে নাম ‘সুনীল র্অথনীত’ি। একে ‘সমুদ্র র্অথনীত’ি হসিবেওে আখ্যায়তি করা যায়। ব্লু ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্র সম্পদনর্ভির র্অথনীত।ি সমুদ্ররে বশিাল জলরাশি ও এর তলদশেরে বভিন্নি ধরনরে সম্পদ কাজে লাগানোর র্অথনীতি হচ্ছে এট।ি সমুদ্র থকেে আহরণকৃত যকেোনো সম্পদ দশেরে র্অথনীততিে যুক্ত হলে তা-ই ব্লু ইকোনমরি আওতায় পড়ব।ে জাতসিংঘ ব্লু ইকোনমকিে মহাসাগর, সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলরে সঙ্গে সর্ম্পকতি র্অথনতৈকি র্কমকাণ্ডরে একটি পরসির হসিবেে উল্লখে কর।ে সমুদ্র র্অথনীতরি একটি গুরুত্বর্পূণ বষিয় হলো টকেসই মাছ ধরা, সমুদ্ররে স্বাস্থ্য, বন্যপ্রাণী ও দূষণ বন্ধ করা।
বশ্বিব্যাংকরে মতে, ব্লু ইকোনমি এমন একটি ধারণা, যা র্অথনতৈকি প্রবৃদ্ধ,ি সামাজকি অর্ন্তভুক্তি এবং জীবকিার সংরক্ষণকে উন্নীত করতে চায় এবং একই সঙ্গে সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলরে পরবিশেগত স্থায়ত্বি নশ্চিতি কর।ে সুনীল র্অথনীতরি মূল উদ্দশ্যে হচ্ছে র্কমসংস্থান সৃষ্টতিে সহায়তা করা, দশেরে সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজকি পুঁজি সৃষ্টি করা, আয় বৃদ্ধি এবং র্সবােপরি পরবিশেে সঞ্চয় ও বনিয়িোগরে মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।
বশিষেজ্ঞদরে মত,ে ২০৫০ সালরে মধ্যে পৃথবিীর জনসংখ্যা প্রায় ৯০০ কোটি হতে পার।ে এই বপিুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর খাবাররে জোগান দতিে তখন সমুদ্ররে ওপর নর্ভির করতে হব।ে জাতসিংঘ ২০১৫ সাল-পরর্বতী যে টকেসই উন্নয়ন র্কমসূচি গ্রহণ করছে,ে তার মূল বক্তব্যই হচ্ছে ব্লু ইকোনম।ি আর ব্লু ইকোনমরি মূল ভত্তিি হচ্ছে টকেসই সমুদ্র নীতমিালা। বশ্বি র্অথনীততিে সমুদ্র র্অথনীতি বভিন্নিভাবে অবদান রখেে চলছে।ে বছরব্যাপী ৩ থকেে ৫ ট্রলিয়িন র্মাকনি ডলাররে র্কমকাণ্ড সংগঠতি হয় সমুদ্রকে ঘরি।ে বশ্বিরে ৪৩০ কোটি মানুষরে ১৫ ভাগ প্রোটনিরে জোগান দচ্ছিে সামুদ্রকি মাছ, উদ্ভদি ও প্রাণী। পৃথবিীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানি তলে সরবরাহ হচ্ছে সমুদ্ররে বভিন্নি গ্যাস ও তলেক্ষত্রে থকে।ে বগিত বছরগুলোতে যতগুলো আর্ন্তজাতকি সম্মলেন হয়ছে,ে তার সবগুলোতইে আলোচনার কন্দ্রে ছলি ব্লু ইকোনম।ি ২০১২ সালে রওি+২০, সমুদ্রবষিয়ক এশীয় সম্মলেন, ২০১৩ সালে বালতিে অনুষ্ঠতি খাদ্য নরিাপত্তা এবং ব্লু গ্রোথ প্রভৃতি সম্মলেনরে নাম আমরা উল্লখে করতে পার।ি র্অথনতৈকি সহায়তা এবং উন্নয়ন সংস্থা, জাতসিংঘরে পরবিশে র্কমসূচ,ি বশ্বিব্যাংক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনয়িনসহ বভিন্নি আর্ন্তজাতকি সংস্থার উন্নয়ন কৌশলরে মূলওে রয়ছেে ব্লু ইকোনম।ি
বাংলাদশে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে প্রথম সমুদ্রে মৎস্য জরপি হয়। বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে ম.ি ওয়স্টে এই জরপিকাজে অংশ ননে। সমুদ্র থকেে কী পরমিাণ মাছ আহরণ করা যাব,ে তার একটি সুপারশি তনিি করছেলিনে। দক্ষণি এশয়িার প্রথম দশে হসিবেে বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র তনি বছররে মধ্যে ১৯৭৪ সালে ঞবৎৎরঃড়ৎরধষ ডধঃবৎং ধহফ গধৎরঃরসব তড়হবং অপঃ পাশ কর।ে তাছাড়া ভারত ও ময়িানমাররে সঙ্গে সমুদ্রসীমা নর্ধিারণে আলোচনাও ১৯৭৪ সালে শুরু হয়। পরর্বতী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় সমুদ্রবজ্ঞিান ইনস্টটিউিট প্রতষ্ঠিার জন্য একটি রভিউি কমটিি গঠন করা হয়। উক্ত কমটিরি সুপারশিরে ভত্তিতিে ২০০০ সালে জাতীয় সমুদ্রবজ্ঞিান গবষেণা ইনস্টটিউিট প্রতষ্ঠিার সদ্ধিান্ত গৃহীত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিার নতেৃত্বে ২০০৯ সালে জাতীয় সমুদ্রবজ্ঞিান গবষেণা ইনস্টটিউিট প্রতষ্ঠিার দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়। ২০০৯ সালরে ২ জুলাই একনকে সভায় চার একর থকেে ৪০ একর বৃদ্ধি করে প্রকল্প এলাকায় গবষেণাগার, আবাসকি ভবন, মরেনি একুরয়িাম এবং বায়ুবদ্যিুত্ ব্যবস্থাসহ প্রকল্পটি পুর্নগঠনরে নর্দিশে দনে।
র্দীঘ কয়কে দশকওে আলোচনার মাধ্যমে ময়িানমার ও ভারতরে সঙ্গে সমুদ্রসীমা বরিোধ নষ্পিত্তি না হওয়ায় ময়িানমাররে সঙ্গে সমুদ্রসীমা নর্ধিারণরে জন্য বাংলাদশে ২০০৯ সালে র্জামানরি হামর্বুগভত্তিকি সমুদ্র আইনবষিয়ক আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মামলা কর।ে ২০১২ সালরে ১৪ র্মাচ ‘ইটলস’ রায় ঘোষণা করলে সটেকিে সরকাররে পক্ষ থকেে বাংলাদশেরে বজিয় হসিবেে আখ্যায়তি করা হয়। এদকিে ভারতরে সঙ্গওে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাংলাদশে নদোরল্যান্ডসেরে দ্য হগে শহরে অবস্থতি আর্ন্তজাতকি সালশিি আদালতে যায়। ২০১৪ সালরে ৮ জুলাই এক রায়ে বাংলাদশে নতুন প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার র্বগকলিোমটিার সমুদ্র এলাকা পয়েছে;ে যা নঃিসন্দহেে বাংলাদশেে সরকাররে এক অভাবনীয় কূটনতৈকি র্অজন। এর ফলে নজিস্ব সমুদ্রসীমার বাইরে মহীসোপানে এক বরিাট এলাকার ওপর বাংলাদশেরে র্সাবভৌমত্ব প্রতষ্ঠিতি হয়ছে।ে এই এলাকায় মৎস্য আহরণ এবং সমুদ্ররে তলদশেে প্রাকৃতকি সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদশেরে অধকিার নশ্চিতি হয়ছে।ে এই রায়রে ফলে বাংলাদশে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ র্বগকলিোমটিাররে বশেি টরেটিোরয়িাল সমুদ্র, ২০০ নটক্যিাল মাইল একচ্ছত্র অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থকেে ৩৫৪ নটক্যিাল মাইল র্পযন্ত মহীসোপানরে তলদশেে অবস্থতি সব ধরনরে প্রাণজি ও অপ্রাণজি সম্পদরে ওপর র্সাবভৌম অধকিার প্রতষ্ঠিা করতে পরেছে।ে ময়িানমাররে সঙ্গে সমুদ্র বরিোধর্পূণ ১৭টি ব্লকরে ১২টি পয়েছেে বাংলাদশে। ভারতরে কাছ থকেে দাবকিৃত ১০টি ব্লকরে সবগুলো পয়েছেে বাংলাদশে। দুই বছররে ব্যবধানে আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত এ রায় দুটকিে বাংলাদশেরে ‘সমুদ্রবজিয়’ বলে অভহিতি করা হয়ছে।ে
সমুদ্রসীমা র্অজনরে পররে বছরই ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান মরেটিাইম ইউনভর্িাসটিি প্রতষ্ঠিা করা হয়। সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনায় ২০১৪ সালে একটি কমটিি গঠন করা হয়। ২০১৫ সালরে ৫ র্মাচ ‘বাংলাদশে ওশানোগ্রাফকি রচর্িাস ইনস্টটিউিট আইন, ২০১৫’ পাশ হয়। ফলে ২০১৭ সালরে ডসিম্বের মাসে প্রকল্পরে কাজ সমাপ্তরি মাধ্যমে ইনস্টটিউিটরে র্কাযক্রম শুরু হয়, যা দশেরে সমুদ্রসম্পদ ব্যবহার এবং দশেরে র্অথনতৈকি উন্নয়নরে জন্য একটি মাইলফলক। ২০১৭ সালে জ্বালানি ও খনজি সম্পদ মন্ত্রণালয়রে অধীনে ‘ব্লু ইকোনমি সলে’ গঠন করা হয়। ২০১৮ সালে নৌবাহনিীর সদর দপ্তররে সহায়তায় গবষেণা প্রতষ্ঠিান বাংলাদশে ইনস্টটিউিট অব মরেটিাইম রসর্িাচ অ্যান্ড ডভেলেপমন্টে প্রতষ্ঠিতি হয়ছে।ে বদ্বীপ পরকিল্পনা বা ডলেটা প্ল্যানে সমুদ্র র্অথনীতকিে অগ্রাধকিার দওেয়া হয়ছে।ে এই পরকিল্পনার আওতায় ব্লু ইকোনমরি সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পাঁচ ধরনরে কৌশল নর্ধিারণ করা হয়ছে।ে বশিষেজ্ঞরা মনে করনে, বাংলাদশেরে সমুদ্রসীমায় তলে ও গ্যাস রয়ছে।ে এখানে নতুন গ্যাসক্ষত্রে আবষ্কিৃত হলে তা দশেরে ব্লু ইকোনমরি একটি বড় শক্তি হয়ে উঠব।ে দশেরে সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান চালয়িে বপিুল পরমিাণ গ্যাস হাইড্রটে বা মথিনে গ্যাসরে জমাট স্তররে উপস্থতিি সর্ম্পকে নশ্চিতি হওয়া গছে।ে বশিষেজ্ঞরা আরো বলনে, বাংলাদশেরে সমুদ্রসীমার একান্ত র্অথনতৈকি এলাকায় শূন্য দশমকি ১১ থকেে শূন্য দশমকি ৬৩ ট্রলিয়িন কউিবকি ফুট সম্ভাব্য প্রাকৃতকি গ্যাস হাইড্রটে থাকার বষিয়টি অনুমতি হয়ছে,ে যা ১৭ থকেে ১০৪ ট্রলিয়িন কউিবকি ফুট প্রাকৃতকি গ্যাসরে সমান।
টকেসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৪ নম্বরে বলা আছ,ে ‘লাইফ বলিো ওয়াটার’ র্অথাৎ পানরি নচিে জীবন। বাংলাদশেও এসডজিরি লক্ষ্য র্অজনরে জন্য প্রতজ্ঞিাবদ্ধ। বশ্বৈকি দকি থকেে আটটি দশে মলিে ‘বে অব বঙ্গেল র্লাজ মরেনি ইকো সস্টিমে প্রোজক্টে’টি খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বশ্বিব্যাংকরে সহায়তায় বাস্তবায়ন করছ।ে বাংলাদশেও এর সঙ্গে যুক্ত আছ।ে ইতমিধ্যে একটি কৌশলগত র্কমপরকিল্পনা তরৈি করা হয়ছে।ে এর মধ্যে মৎস্য আহরণরে সক্ষমতা নরিূপণ প্রশক্ষিণরে ব্যবস্থা আছ।ে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বস্তু দূষণ দূর করার প্রযুক্তি আছ।ে বাংলাদশেরে শতর্বষী ডলেটা প্ল্যান একটি বড় সফলতা।
উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে সামুদ্রকি মাছ আহরণরে পরমিাণ বাড়ব।ে সামুদ্রকি বভিন্নি জীব থকেে কসমটেকি, পুষ্ট,ি খাদ্য ও ওষুধ পাওয়া যায়। মরেনি সলেফশি, ফনিফশি র্ফামংি করে ব্যাপক বদৈশেকি মুদ্রা আয় করা সম্ভব। মরেনি জবৈপ্রযুক্তি ব্যবহাররে মাধ্যমে মৎস্য সম্পদরে উন্নয়ন ঘটানো যায়। বঙ্গোপসাগরে ভারী খনজিরে সন্ধান পাওয়া গছে।ে এগুলোর মধ্যে ইলমনোইট, টাইটনেয়িাম অক্সাইড, রুটাইল, জরিকন, র্গানটে, ম্যাগনটোইট, মোনাজাইট, কোবাল্ট প্রভৃতি উল্লখেযোগ্য। এগুলো সঠকিভাবে উত্তোলন করতে পারলে হাজার কোটি টাকার বদৈশেকি মুদ্রা আয় করা সম্ভব। দশেরে শপিইর্য়াড ও ওর্য়াকশপরে মাধ্যমে র্বতমানে ছোট ও মাঝারি আকাররে জাহাজ নর্মিাণ করে রপ্তানি করা হচ্ছ।ে বড় জাহাজ তরৈরি সক্ষমতা বাড়াতে পারলে রপ্তানি আয়ও বাড়ব।ে ক্রুশ শপিরে মাধ্যমে ভ্রমণরে ব্যবস্থা এবং র্পযাপ্ত নরিাপত্তা দতিে পারলে র্পযটন খাত আয়রে অন্যতম প্রধান উৎস হব।ে