এমনকি চীন আরও বাজারমুখী হওয়ার পরও, দেশটি তার জনগণের মধ্যে প্রভাব ফেলার মতো উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক কর্মশক্তি সৃজনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মান বাড়াতে তারা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের মানবসম্পদ সূচকে (যা ০ থেকে ১ স্কেলে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অগ্রগতি পরিমাপ করে) ভারতের স্কোর ছিল ০.৪৯, যা নেপাল ও কেনিয়ার মতো অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশের চেয়ে কম। অন্যদিকে চীনের স্কোর ছিল ০.৬৫। বর্তমানে চীনের উৎপাদনক্ষমতা ভারতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ৪৫ শতাংশ ভারতীয় শ্রমিক এখনো অনুৎপাদনশীল কৃষি খাতে রয়েছেন। অন্যদিকে চীন উৎপাদন খাতে তার শ্রমশক্তি নিয়োগের হার বাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী গাড়ির বাজারে, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে এই জনসম্পদ কাজ করেছে।
১৯৮০-এর দশক থেকে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির দৌড়ে শেষ পর্যন্ত কর্তৃত্ববাদী চীনা খরগোশ হেরে যাবে এবং গণতান্ত্রিক ভারতীয় কচ্ছপেরই জয় হবে। জিরো কোভিড নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্যে কড়াকড়ি আরোপে চীনের অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ায় অনেকে এই ধারণাকে সঠিক বলে ভাবেন। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, চীন তার দক্ষ মানবসম্পদের শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে আছে, যা ভারতের হাতে নেই। ফলে ভারতের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আছে।
ইংরেজি থেকে অনূদিত