দেওয়ানবাগ ডেস্ক: রান্নাবান্না ও পরিবারের সদস্যদের সেবাযতœসহ নিজ বাড়িতে দেশের নারীরা যেসব কাজ করে থাকে তার বার্ষিক মূল্য ৫৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা মোট দেশজ উৎসাদনের ১৪.৮ শতাংশ।
গত শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে ‘নারীর অবৈতনিক ও অ-বিপণন কাজ’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। মূলত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর ‘টাইম ইউজ সার্ভের’ প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়।
গবেষণা সম্মেলনে বলা হয়, করোনার কারণে নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়ে ২.৮ মিলিয়ন বা ২৮ লাখ মানুষ। ২০২২ সালের হিসাবে দারিদ্র্য বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে করোনা। একই বছর মন্দার কারণে বাড়তি ৫০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও করেন গবেষকরা। এমন যেকোনো নিষেধাজ্ঞা দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এদিন ছয়টি অধিবেশনে প্রায় ৯টি পেপার ও দুটি পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।
বিনায়ক সেন বলেন, শ্রীলঙ্কার নারীদের অবৈতনিক গৃহকর্মের বার্ষিক মূল্য তাদের জিডিপির ১৫ শতাংশ আর ২০১৯ সালের হিসাবে ভারতে তা ১৪ শতাংশ।
বাংলাদেশে নারীরাই যে শুধু ঘরের কাজ করে তা নয়, এর পাশাপাশি পুরুষরাও কাজ করে। পুরুষদের এই কাজের অবদান জিডিপির প্রায় ২.৮ শতাংশ।
বিআইডিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহস্থালির কাজের বিনিময়ে ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিক ধরা হলেও জিডিপিতে আরো ১৩ শতাংশ অবদান যুক্ত হতে পারে, যেখানে নারীদের অবদান থাকছে ১১ শতাংশ ও পুরুষের অবদান ২ শতাংশ। এমনকি ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিলেও জিডিপিতে আরো ৮.৮ শতাংশ অবদান বাড়ত।